রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন
যেসব কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সম্পর্ক প্রায়ই শীতল হয়ে ওঠে, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা এর অন্যতম। সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিবাদের বিষয়টি। সম্প্রতি উভয় দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, নয় হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার। আশ্বাসটি ইতিবাচক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমানের আশ্বাস ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হবে তো? এ বিষয়ে অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
২০০৫ সালেও একইভাবে মিয়ানমার তাদের নয় হাজার শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। কিন্তু সে সময় মাত্র ৯০ জনকে ফেরত পাঠানো গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও নতুন করে শরণার্থী প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া শুরু হওয়া ইতিবাচক ঘটনা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার জন্ম ১৯৯০-৯১ সালে। সে সময় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারে রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় তাদের বেশির ভাগকেই শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়। বর্তমানে দুটি আশ্রয়-শিবিরে মোট ২৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর বাইরেও উপকূলীয় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আরও অনেকে। আশ্রয়-শিবিরে নিবন্ধিত না থাকায় তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। তাদের বেআইনি উপস্থিতি স্থানীয় সমাজে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক চাপ ছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের জন্য সমস্যার বীজ হিসেবে থেকে যাচ্ছে। বিষয়টির মানবিক পরিণতির স্বার্থে এবং বাংলাদেশের এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যত দ্রুত তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো যায়, ততই তাদের ও বাংলাদেশের মঙ্গল। সমস্যাটি প্রায় ২০ বছর ধরে ঝুলে থাকা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। মূলত মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অনীহা ও অসহযোগিতাই এর কারণ। তার চলতি উদাহরণ হলো, মোট ২৮ হাজারের মধ্যে মাত্র নয় হাজার শরণার্থীকে মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করা। বাংলাদেশের উচিত, মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখা। ভবিষ্যতে উভয় দেশের সম্পর্কে অধিকতর সহযোগিতার বাতাবরণ সৃষ্টির জন্যই শরণার্থী-সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
২০০৫ সালেও একইভাবে মিয়ানমার তাদের নয় হাজার শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। কিন্তু সে সময় মাত্র ৯০ জনকে ফেরত পাঠানো গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও নতুন করে শরণার্থী প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া শুরু হওয়া ইতিবাচক ঘটনা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার জন্ম ১৯৯০-৯১ সালে। সে সময় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারে রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় তাদের বেশির ভাগকেই শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়। বর্তমানে দুটি আশ্রয়-শিবিরে মোট ২৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর বাইরেও উপকূলীয় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আরও অনেকে। আশ্রয়-শিবিরে নিবন্ধিত না থাকায় তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। তাদের বেআইনি উপস্থিতি স্থানীয় সমাজে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক চাপ ছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের জন্য সমস্যার বীজ হিসেবে থেকে যাচ্ছে। বিষয়টির মানবিক পরিণতির স্বার্থে এবং বাংলাদেশের এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যত দ্রুত তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো যায়, ততই তাদের ও বাংলাদেশের মঙ্গল। সমস্যাটি প্রায় ২০ বছর ধরে ঝুলে থাকা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। মূলত মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অনীহা ও অসহযোগিতাই এর কারণ। তার চলতি উদাহরণ হলো, মোট ২৮ হাজারের মধ্যে মাত্র নয় হাজার শরণার্থীকে মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করা। বাংলাদেশের উচিত, মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখা। ভবিষ্যতে উভয় দেশের সম্পর্কে অধিকতর সহযোগিতার বাতাবরণ সৃষ্টির জন্যই শরণার্থী-সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
No comments