ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া অবরোধের পরিকল্পনা
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপের কথা চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন মনে করে, সাম্প্রতিক সময় ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা এবং সেখানকার পরমাণু কর্মসূচিতে কিছু অপ্রত্যাশিত সমস্যা তৈরি হয়েছে। কাজেই এই সুযোগে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপ করা গেলে দেশটির রাজনীতিবিদেরা পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নাজুক অবস্থায় পড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস গত শনিবার তাঁদের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। খবর এএফপির।
ওবামা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নতুন করে পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ওবামা প্রশাসন তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতিনির্ধারকদের বিশ্বাস, ইরানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে সেখানকার শীর্ষ রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতারা পরমাণু জ্বালানি তৈরির কর্মসূচির পথে অনেকটা হোঁচট খেয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, হোয়াইট হাউস মনে করে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ সে দেশের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডের হাতে। তাই ওবামা প্রশাসন ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের বিরুদ্ধেই অবরোধ আরোপের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করছে। গত জুনে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে রাজপথে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে রেভ্যুলুশনারি গার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অতীতে বিভিন্ন সময় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা যায়নি। ইরান নীতিবিষয়ক একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, তিন মাস আগে ইরানের পবিত্র নগর ক্বোমে নির্মাণাধীন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের একটি স্থাপনার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এ কারণে পরমাণু বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গোপন তত্পরতা বন্ধ হয়ে যায় তেহরানের।
আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শক দল তাঁদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কেন্দ্র নাতাঞ্জে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির যন্ত্রপাতির কার্যক্রম গত গ্রীষ্ম থেকে ২০ শতাংশ কমেছে। তাছাড়া পরমাণু বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেখানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তারা মনে করেন, ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পশ্চিমা বিশ্ব তেহরানের আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোর ওপর গোপনে যে তত্পরতা চালাচ্ছে, তাতেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ব্যাহত হয়ে থাকতে পারে।
এসব কারণেই ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবরোধ আরোপের বিষয়টি মার্কিন কর্মকর্তাদের উত্সাহিত করছে।
নিউইয়র্ক টাইমস ওবামা প্রশাসনের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, ‘পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার মতো অবস্থা এখন ইরানের নেই। এ জন্য দেড় থেকে তিন বছর সময় দরকার হতে পারে। তাই ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার আগেই দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ আরোপ করা গেলে তা কাজে আসবে।’
ওবামা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নতুন করে পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ওবামা প্রশাসন তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতিনির্ধারকদের বিশ্বাস, ইরানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে সেখানকার শীর্ষ রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতারা পরমাণু জ্বালানি তৈরির কর্মসূচির পথে অনেকটা হোঁচট খেয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, হোয়াইট হাউস মনে করে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ সে দেশের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডের হাতে। তাই ওবামা প্রশাসন ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের বিরুদ্ধেই অবরোধ আরোপের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করছে। গত জুনে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে রাজপথে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে রেভ্যুলুশনারি গার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অতীতে বিভিন্ন সময় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা যায়নি। ইরান নীতিবিষয়ক একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, তিন মাস আগে ইরানের পবিত্র নগর ক্বোমে নির্মাণাধীন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের একটি স্থাপনার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এ কারণে পরমাণু বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গোপন তত্পরতা বন্ধ হয়ে যায় তেহরানের।
আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শক দল তাঁদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কেন্দ্র নাতাঞ্জে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির যন্ত্রপাতির কার্যক্রম গত গ্রীষ্ম থেকে ২০ শতাংশ কমেছে। তাছাড়া পরমাণু বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেখানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তারা মনে করেন, ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পশ্চিমা বিশ্ব তেহরানের আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোর ওপর গোপনে যে তত্পরতা চালাচ্ছে, তাতেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ব্যাহত হয়ে থাকতে পারে।
এসব কারণেই ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবরোধ আরোপের বিষয়টি মার্কিন কর্মকর্তাদের উত্সাহিত করছে।
নিউইয়র্ক টাইমস ওবামা প্রশাসনের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, ‘পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার মতো অবস্থা এখন ইরানের নেই। এ জন্য দেড় থেকে তিন বছর সময় দরকার হতে পারে। তাই ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার আগেই দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ আরোপ করা গেলে তা কাজে আসবে।’
No comments