দারুণ জায়গায় পাকিস্তান
বেচারা রিকি পন্টিং! হায় ব্রেট লি!
অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা যখন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের আউট করতে হিমশিম খাচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ার একসময়ের এক নম্বর পেসার তখন স্যুট-টাই পরে মাঠের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন আর দর্শকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। লিগামেন্টের ইনজুরিতে অনেক দিন থেকেই মাঠের বাইরে থাকা লির দিকে তাকিয়ে নিশ্চয়ই দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলেন পন্টিং। সতীর্থদের লড়াই করতে দেখে ভালো লাগার কথা নয় লিরও।
প্রথম দুই সেশনে উইকেটের জন্য লড়াই করা অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেষ সেশনে, এক সেশনেই তুলে নিয়েছে ৭ উইকেট। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। সারা দিনে ৯ উইকেট হারালেও পাকিস্তান রান তুলেছে ৩১৭। সঙ্গে আগের দিনের ১৪ রান মিলিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষেই পাকিস্তানের লিড ২০৪ রানের, হাতে রয়েছে শেষ উইকেটটা।
ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে শেষ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী বোলার। আর কাল অস্ট্রেলিয়াকে হতাশ করেছে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আগের টেস্টে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে দুই ইনিংসেই এলবিডব্লু হয়েছিলেন ইমরান ফারহাত ও সালমান বাট। কিন্তু এবার দুজনেই ছিলেন সতর্ক, খেলেছেন সোজা ব্যাটে। এতে রানরেটটা কম থাকলেও গড়তে পেরেছেন বড় জুটি। প্রথম দিনের শেষ বিকেলটা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেওয়ার পর কাল প্রথম সেশনটাও ভালোভাবে পার করে দেন লাহোরের দুই বাঁহাতি।
ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ফিফটি পাওয়া ফারহাতকে আউট করে ১০৯ রানের জুটি ভাঙেন হরিজ। চার বছর আগে এই সিডনিতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন বাট। কাল অবশ্য পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি, ৭১ রানে আউট হয়েছেন জনসনের আউট সুইঙ্গারে। উদ্বোধনী জুটির পর পাকিস্তান অর্ধশত রানের জুটি গড়তে পেরেছে মাত্র একটি, সেটি তৃতীয় উইকেটে ফয়সাল-ইউসুফের। ফয়সাল ছিলেন সতর্ক আর ইউসুফ ইতিবাচক।
তবে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ইউসুফকেও ছাড়িয়ে যান উমর আকমল। দারুণ আত্মবিশ্বাসী এই তরুণের ব্যাটে যেন প্রতিফলিত হয় এই প্রজন্মের ক্রিকেট-দর্শন। কাল উইকেটে এসেই হরিজের প্রথম দুই বলে চার মারলেন, তৃতীয় বলে রান হয়নি, পরের দুটি বলই মিড উইকেট দিয়ে করলেন সীমানাছাড়া।
উমর-ইউসুফ কেউই ফিফটি পাননি। পাকিস্তানের ধসেরও সূচনা হয় এই দুজনের বিদায়ের মাধ্যমে। এক সময় যে পাকিস্তান ছিল ৩ উইকেটে ২৩৭ রানে, সেখান থেকেই পরের ৬ উইকেট হারায় ৯৪ রানে। ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের এক হাজার রান পূর্ণ করা মিসবাহ উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ, পারেননি কামরান-সামিরাও। দ্বিতীয় নতুন বলে উইকেট পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সব পেসারই। ৩ উইকেট নিয়ে আরও সেরা একবার বলিঞ্জার।
অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা যখন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের আউট করতে হিমশিম খাচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ার একসময়ের এক নম্বর পেসার তখন স্যুট-টাই পরে মাঠের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন আর দর্শকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। লিগামেন্টের ইনজুরিতে অনেক দিন থেকেই মাঠের বাইরে থাকা লির দিকে তাকিয়ে নিশ্চয়ই দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলেন পন্টিং। সতীর্থদের লড়াই করতে দেখে ভালো লাগার কথা নয় লিরও।
প্রথম দুই সেশনে উইকেটের জন্য লড়াই করা অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেষ সেশনে, এক সেশনেই তুলে নিয়েছে ৭ উইকেট। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। সারা দিনে ৯ উইকেট হারালেও পাকিস্তান রান তুলেছে ৩১৭। সঙ্গে আগের দিনের ১৪ রান মিলিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষেই পাকিস্তানের লিড ২০৪ রানের, হাতে রয়েছে শেষ উইকেটটা।
ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে শেষ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী বোলার। আর কাল অস্ট্রেলিয়াকে হতাশ করেছে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আগের টেস্টে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে দুই ইনিংসেই এলবিডব্লু হয়েছিলেন ইমরান ফারহাত ও সালমান বাট। কিন্তু এবার দুজনেই ছিলেন সতর্ক, খেলেছেন সোজা ব্যাটে। এতে রানরেটটা কম থাকলেও গড়তে পেরেছেন বড় জুটি। প্রথম দিনের শেষ বিকেলটা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেওয়ার পর কাল প্রথম সেশনটাও ভালোভাবে পার করে দেন লাহোরের দুই বাঁহাতি।
ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ফিফটি পাওয়া ফারহাতকে আউট করে ১০৯ রানের জুটি ভাঙেন হরিজ। চার বছর আগে এই সিডনিতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন বাট। কাল অবশ্য পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি, ৭১ রানে আউট হয়েছেন জনসনের আউট সুইঙ্গারে। উদ্বোধনী জুটির পর পাকিস্তান অর্ধশত রানের জুটি গড়তে পেরেছে মাত্র একটি, সেটি তৃতীয় উইকেটে ফয়সাল-ইউসুফের। ফয়সাল ছিলেন সতর্ক আর ইউসুফ ইতিবাচক।
তবে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ইউসুফকেও ছাড়িয়ে যান উমর আকমল। দারুণ আত্মবিশ্বাসী এই তরুণের ব্যাটে যেন প্রতিফলিত হয় এই প্রজন্মের ক্রিকেট-দর্শন। কাল উইকেটে এসেই হরিজের প্রথম দুই বলে চার মারলেন, তৃতীয় বলে রান হয়নি, পরের দুটি বলই মিড উইকেট দিয়ে করলেন সীমানাছাড়া।
উমর-ইউসুফ কেউই ফিফটি পাননি। পাকিস্তানের ধসেরও সূচনা হয় এই দুজনের বিদায়ের মাধ্যমে। এক সময় যে পাকিস্তান ছিল ৩ উইকেটে ২৩৭ রানে, সেখান থেকেই পরের ৬ উইকেট হারায় ৯৪ রানে। ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের এক হাজার রান পূর্ণ করা মিসবাহ উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ, পারেননি কামরান-সামিরাও। দ্বিতীয় নতুন বলে উইকেট পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সব পেসারই। ৩ উইকেট নিয়ে আরও সেরা একবার বলিঞ্জার।
No comments