সব দোষ উইকেটের
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ঘটনা বিরল। বাংলাদেশ দল ম্যাচ জিতেছে এবং সেই ম্যাচের পর হন্যে হয়ে সবাই কিউরেটরকে খুঁজছে! জিতেও অতৃপ্ত সবাই, উইকেটটাকে কেন ঠিক ওয়ানডের উইকেট মনে হলো না? জবাবদিহি চাই কিউরেটর শফিউল আলমের। শোনা গেল, ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালেও নাকি কিউরেটরের কাছে জানতে চেয়েছেন উইকেটের ‘বিচিত্র’ আচরণ সম্পর্কে।
দুই দলের দুই অধিনায়ক খেলা শেষে লো স্কোরিং ম্যাচের জন্য দায়ী করলেন উইকেটকে। মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হওয়ার দায় হ্যামিল্টন মাসাকাদজা চাপিয়ে দিলেন উইকেটের ওপর, ‘খুবই বাজে উইকেট...।’ সাকিব আল হাসান জিতেও একটা ‘কিন্তু’ রেখে দিচ্ছেন উইকেটে, ‘ওয়ানডের জন্য উইকেটটা উপযুক্ত ছিল না।’ জাতীয় দলের সাবেক এক বাঁহাতি স্পিনার তো উদাহরণ দিয়েই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন উইকেটের অবস্থা, ‘ওয়ানডেতে এই প্রথম দুইটা স্লিপ আর দুইটা সিলি নিয়ে কোনো দলকে খেলতে দেখলাম। ওয়ানডের জন্য একটু বেশি টার্নিং হয়ে গেছে উইকেটটা।’
কিন্তু বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স বলছেন পুরো অন্য কথা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে আগের দিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘বিগ স্কোরিং ম্যাচ হবে।’ কাল সেটা নিয়ে রসিকতা করতেই সিডন্স বললেন, ‘আমি অত বোকা নই। বিগ স্কোরিং ম্যাচই হওয়া উচিত ছিল।’ তাহলে হলো না কেন? সিডন্সের জবাবটা ফেলে দিতে পারবেন না কেউই, ‘কিউরেটরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা ফ্ল্যাট উইকেট। ও ঠিক কাজই করেছে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ সকালের ময়েশ্চার। আর আমরা চার উইকেট হারিয়েছি বাজে শট খেলে।’ সিডন্স মনে করেন, জিম্বাবুয়ের কম রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার আরেকটা কারণ বাংলাদেশি স্পিনারদের ভালো বোলিং। ‘ঢাকায় তো সবাই স্পিন উইকেট বানাতে বলে। তাহলে এখানে স্পিনাররা সফল হলে এত কথা কেন?’—স্বগতোক্তির মতো প্রশ্ন বাংলাদেশ কোচের।
উইকেট নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানের মতটাও সিডন্সের মতোই, ‘উইকেট ওয়ানডে উপযোগী কি না, সেটা বোঝার সময় পেলাম কই? তবে আমার কাছে মনে হয়েছে উইকেট ঠিকই আছে। শট খেলার মতো বাউন্স ছিল। ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারেনি বাজে শট খেলে আউট হয়ে যাওয়ায়। তা ছাড়া সকালের দিকে উইকেটের ময়েশ্চারটাই ঝামেলায় ফেলেছে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের।’
সিরিজের আগের তিনটা ম্যাচই হয়েছে দিবারাত্রির। দিনের ম্যাচ হলো কালই প্রথম। ঘড়ির কাঁটার বর্তমান সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে খেলা। তার মানে আগের সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে আটটায়। শীতের শুরুতে সকাল সাড়ে আটটায় উইকেটের যে রূপ থাকে, সেটা বদলানোর ক্ষমতা কি আর কোনো কিউরেটরেরই আছে?
দুই দলের দুই অধিনায়ক খেলা শেষে লো স্কোরিং ম্যাচের জন্য দায়ী করলেন উইকেটকে। মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হওয়ার দায় হ্যামিল্টন মাসাকাদজা চাপিয়ে দিলেন উইকেটের ওপর, ‘খুবই বাজে উইকেট...।’ সাকিব আল হাসান জিতেও একটা ‘কিন্তু’ রেখে দিচ্ছেন উইকেটে, ‘ওয়ানডের জন্য উইকেটটা উপযুক্ত ছিল না।’ জাতীয় দলের সাবেক এক বাঁহাতি স্পিনার তো উদাহরণ দিয়েই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন উইকেটের অবস্থা, ‘ওয়ানডেতে এই প্রথম দুইটা স্লিপ আর দুইটা সিলি নিয়ে কোনো দলকে খেলতে দেখলাম। ওয়ানডের জন্য একটু বেশি টার্নিং হয়ে গেছে উইকেটটা।’
কিন্তু বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স বলছেন পুরো অন্য কথা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে আগের দিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘বিগ স্কোরিং ম্যাচ হবে।’ কাল সেটা নিয়ে রসিকতা করতেই সিডন্স বললেন, ‘আমি অত বোকা নই। বিগ স্কোরিং ম্যাচই হওয়া উচিত ছিল।’ তাহলে হলো না কেন? সিডন্সের জবাবটা ফেলে দিতে পারবেন না কেউই, ‘কিউরেটরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা ফ্ল্যাট উইকেট। ও ঠিক কাজই করেছে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ সকালের ময়েশ্চার। আর আমরা চার উইকেট হারিয়েছি বাজে শট খেলে।’ সিডন্স মনে করেন, জিম্বাবুয়ের কম রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার আরেকটা কারণ বাংলাদেশি স্পিনারদের ভালো বোলিং। ‘ঢাকায় তো সবাই স্পিন উইকেট বানাতে বলে। তাহলে এখানে স্পিনাররা সফল হলে এত কথা কেন?’—স্বগতোক্তির মতো প্রশ্ন বাংলাদেশ কোচের।
উইকেট নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানের মতটাও সিডন্সের মতোই, ‘উইকেট ওয়ানডে উপযোগী কি না, সেটা বোঝার সময় পেলাম কই? তবে আমার কাছে মনে হয়েছে উইকেট ঠিকই আছে। শট খেলার মতো বাউন্স ছিল। ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারেনি বাজে শট খেলে আউট হয়ে যাওয়ায়। তা ছাড়া সকালের দিকে উইকেটের ময়েশ্চারটাই ঝামেলায় ফেলেছে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের।’
সিরিজের আগের তিনটা ম্যাচই হয়েছে দিবারাত্রির। দিনের ম্যাচ হলো কালই প্রথম। ঘড়ির কাঁটার বর্তমান সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে খেলা। তার মানে আগের সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে আটটায়। শীতের শুরুতে সকাল সাড়ে আটটায় উইকেটের যে রূপ থাকে, সেটা বদলানোর ক্ষমতা কি আর কোনো কিউরেটরেরই আছে?
No comments