অস্ট্রেলিয়ায় গেইলদের উইন্ডিজ

অবশেষে পরিচিত চেহারায় ফিরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। শেষ হয়েছে ফ্লয়েড রেইফারদের ‘হানিমুন’। ক্যারিবিয়ান পত্রপত্রিকার খবরকে সত্যি প্রমাণিত করে অধিনায়ক হিসেবেই অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলে ফিরেছেন ক্রিস গেইল। অধিনায়ক একাই নন, ফিরেছেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের বিদ্রোহে তাঁর সঙ্গী সতীর্থরাও।
বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত ঝামেলায় গত জুলাই থেকেই মাঠের বাইরে আছেন গেইলসহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। ফ্লয়েড রেইফারের নেতৃত্বে জোড়াতালি দেওয়া একটি দল নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও নাকাল হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কয়েক দিন ধরেই অবশ্য শোনা যাচ্ছিল গেইলরা ফিরছেন। পছন্দমতো দল বাছাই করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক কমিটির প্রধান ক্লাইড বাটস, ‘আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন করেছি। আমাদের বোলিং আক্রমণ দারুণ, ব্যাটিং লাইনআপটাও খুব ভালো, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো খেলেছে। আমরা বিশ্বাস করি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করার সামর্থ্য আছে অভিজ্ঞ এই দলটির।’
রেইফারের দলে টেস্ট অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের মধ্যে ১৫ সদস্যের দলে টিকে গেছেন ব্যাটসম্যান ট্রাভিস ডাওলিন ও পেসার কেমার রোচ। আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য প্রথমে ঘোষিত দলে থাকা আদ্রিয়ান বারাথও। গেইল ছাড়া দলে স্পেশালিস্ট ওপেনার একমাত্র তিনিই, ব্রিসবেনে তাই টেস্ট অভিষেক হয়ে যাওয়ার যথেষ্টই সম্ভাবনা ১৯ বছর বয়সী এই ট্রিনির। টেস্ট খেলেননি, দলে এমন খেলোয়াড় আর দুজন—পেসার রবি রামপল ও গ্যাভিন টং। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে টংয়ের। ২০০৩ সালে অভিষেকের পর ৩৬টি ওয়ানডে খেলা রামপলের বাংলাদেশের বিপক্ষে গত সিরিজেই টেস্ট অভিষেক হওয়ার কথা ছিল। গেইলদের সঙ্গে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় পিছিয়ে যায় তাঁর স্বপ্নপূরণ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য তো বটেই, গেইল-চন্দরপলরা ফিরে আসায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও মহা আনন্দিত। সিরিজটা এখন জমজমাট হবে বলে আশা সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডের, ‘আমি নিশ্চিত এই গ্রীষ্মে ওরা দারুণ লড়াই করবে। বেশ কিছু সময় মাঠের বাইরে থাকার পর ওরা নতুন উদ্যমে ফিরে আসবে। আমরা সবাই এই গ্রীষ্মের দিকে তাকিয়ে আছি।’
২৬ নভেম্বর ব্রিসবেনে শুরু হবে তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটি।

No comments

Powered by Blogger.