ধানমন্ডি মাঠ সবার জন্য, ক্লাবের জন্য নয় -সাধারণ সম্পত্তি সাধারণের জন্যই উন্মুক্ত থাকুক
জমি মাত্রই সম্পদ, কিন্তু তা জনগণের ব্যবহারের হলেই কি তা দখলের সহজ লক্ষ্য হবে? ভূমি-ঘাটতির বাংলাদেশে সবার ভূমির দাম আকাশচুম্বী, কেবল খেলার মাঠই কি ফেলনা! সম্প্রতি ক্লাবের নামে ধানমন্ডি মাঠ দখল করার পাঁয়তারা লক্ষ করা গেছে। দখলের সুবিধার জন্য বাহারি নামও দেওয়া হয়েছে, ‘লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড’। অবৈধভাবে জমি দখল যদি অপরাধ হয়, তবে যেসব ব্যক্তির স্মৃতির সঙ্গে জাতীয় আবেগ জড়িত, অনৈতিক উদ্দেশ্যে সে রকম একজনের নাম ব্যবহার করা রীতিমতো অন্যায়।
একাধিক সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন ধানমন্ডি মাঠটিকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি তুলেছে। একটি গোষ্ঠী এই মাঠকে একটি ভুঁইফোড় ক্লাবের নামে দখল করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যে উদ্দেশ্যই তাদের থাকুক, এটি ধানমন্ডি এলাকার একমাত্র উন্মুক্ত মাঠ এবং এলাকার শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলার একমাত্র জায়গা। এটি এলাকার একমাত্র উন্মুক্ত স্থান, যেখান থেকে খোলা আকাশ আর খোলা হাওয়া উপভোগ করা যায়। সব ধরনের মানুষ এখানে শরীরচর্চা করেন।
কথায় বলে, বৃক্ষ দেখে বণিক দেখে কাঠ আর কবি দেখে প্রাণ। ক্লাবের পেছনে থাকা অসাধু গোষ্ঠী খোলা মাঠটিতে মানুষ ও প্রকৃতির স্ফূর্তি দেখেনি, দেখেছে ব্যবসার মওকা। এতই বেপরোয়া তাদের অভিলাষ যে দখল ঢাকতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু-তনয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই শেখ জামালের নাম ব্যবহার করতেও তারা দ্বিধা করেনি। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের স্মৃতি কিংবা ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে সারা দেশে বিপুল জমি দখল করা হয়েছে। এবং তা করা হয়েছে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের ভোগের উদ্দেশ্যে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটছে বলে আশঙ্কা।
এখানে বলা দরকার যে আওয়ামী লীগ সরকারের আগের আমলে ঢাকার ওসমানী উদ্যানের জায়গায় ন্যাম সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা হয়। ঢাকার নাগরিক সমাজ উদ্যানটিকে ঢাকার ফুসফুস আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা করে। একপর্যায়ে সরকারের শুভবোধের কারণে উদ্যানটি রক্ষা পায়। ধানমন্ডি মাঠটি জনসাধারণের হাত থেকে ক্লাবের হাতে নেওয়ায় সরকারের কোনো স্বার্থ জড়িত নেই। সুতরাং সিটি করপোরেশন এবং সরকার এ বিষয়ে আবারও শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে, এমন আশা তাই করাই যায়।
একাধিক সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন ধানমন্ডি মাঠটিকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি তুলেছে। একটি গোষ্ঠী এই মাঠকে একটি ভুঁইফোড় ক্লাবের নামে দখল করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যে উদ্দেশ্যই তাদের থাকুক, এটি ধানমন্ডি এলাকার একমাত্র উন্মুক্ত মাঠ এবং এলাকার শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলার একমাত্র জায়গা। এটি এলাকার একমাত্র উন্মুক্ত স্থান, যেখান থেকে খোলা আকাশ আর খোলা হাওয়া উপভোগ করা যায়। সব ধরনের মানুষ এখানে শরীরচর্চা করেন।
কথায় বলে, বৃক্ষ দেখে বণিক দেখে কাঠ আর কবি দেখে প্রাণ। ক্লাবের পেছনে থাকা অসাধু গোষ্ঠী খোলা মাঠটিতে মানুষ ও প্রকৃতির স্ফূর্তি দেখেনি, দেখেছে ব্যবসার মওকা। এতই বেপরোয়া তাদের অভিলাষ যে দখল ঢাকতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু-তনয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই শেখ জামালের নাম ব্যবহার করতেও তারা দ্বিধা করেনি। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের স্মৃতি কিংবা ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে সারা দেশে বিপুল জমি দখল করা হয়েছে। এবং তা করা হয়েছে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের ভোগের উদ্দেশ্যে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটছে বলে আশঙ্কা।
এখানে বলা দরকার যে আওয়ামী লীগ সরকারের আগের আমলে ঢাকার ওসমানী উদ্যানের জায়গায় ন্যাম সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা হয়। ঢাকার নাগরিক সমাজ উদ্যানটিকে ঢাকার ফুসফুস আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা করে। একপর্যায়ে সরকারের শুভবোধের কারণে উদ্যানটি রক্ষা পায়। ধানমন্ডি মাঠটি জনসাধারণের হাত থেকে ক্লাবের হাতে নেওয়ায় সরকারের কোনো স্বার্থ জড়িত নেই। সুতরাং সিটি করপোরেশন এবং সরকার এ বিষয়ে আবারও শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে, এমন আশা তাই করাই যায়।
No comments