আবেগের ম্যাচে রিয়াল-মিলানে সমতা
সানসিরোতে ফুটবল তার সৌন্দর্যের পসরা মেলে ধরতে পারেনি। রিয়াল মাদ্রিদ আর এসি মিলান লড়াইয়ে ধ্রুপদী যে ছন্দের প্রত্যাশা থাকে, ১-১ গোলে ড্র ম্যাচে সেটাও পূরণ হয়নি। তবে সানসিরোতে পরশু ঠিকই বয়ে গেছে আবেগ। একদিন যিনি মিলানের নায়ক ছিলেন, কিন্তু আজ বর্ণে-ছন্দে রঙিন করছেন বার্নাব্যুকে; এসি মিলানের দর্শকদের সব ভালোবাসার প্রকাশ ছিল সেই কাকাকে ঘিরেই।
মিলানে তাঁর বর্ণাঢ্য ৬টি বছরকে ভোলেনি সমর্থকেরা। মিলানকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে এ মৌসুমেই রিয়ালে নাম লেখানো পুরোনো নায়ক এ ম্যাচ দিয়েই আবারও ফিরেছিলেন মিলানে। এতেই মিলান-সমর্থকদের যত্নে সাজিয়ে রাখা ভালোবাসার অর্গল গেল খুলে। প্রকাশ পেল গ্যালারিতে পতপত করে ওড়া ব্যানার আর ফেস্টুনে—‘আমরা তোমাকে ভুলিনি’ অথবা ‘আবেগের সেই ৬ বছর’।
কিন্তু ফুটবল তো ফুটবলই। এখানে ব্যক্তির ওপরে দল। আবেগ বেশিক্ষণ পাত্তা পায় না। তাই রেফারির প্রথম বাঁশি বাজতেই ব্যানার-ফেস্টুন সব উধাও। গ্যালারিতে তখন শুধুই ফুটবলের উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। সানসিরোর বড় অংশটাকে চুপ করিয়ে দিয়ে উত্তেজনার রেণু প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময়েই উড়ল বার্নাব্যু থেকে যাওয়া অল্প সংখ্যক সমর্থকের মাঝে। সব মিলে রিয়াল ২৩টি শট নিয়েছে মিলানের গোলে। ১০টিই ছিল গোলমুখে। উল্টোদিকে মিলান রিয়ালের গোলে হাতেগোনা কয়েকটি শটই নিতে পেরেছে। কিন্তু গোলের দিক দিয়ে দুই দলই সমান। দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
২৯ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। মিলান শিবিরকে স্তব্ধ করে দেওয়া গোলটির উত্স ছিলেন কাকাই। সিডর্ফকে বোকা বানিয়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর নিচু শটটি মিলানের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক দিদার হাত ফসকে বেরিয়ে আসে। ডান দিক থেকে সেই বল কঠিন এক কোণ থেকে জালে জড়িয়ে দেন করিম বেনজেমা।
এর ৬ মিনিট পরই মিলান সমতায় ফেরে। মিলানের ম্যাচে ফেরাও এক ব্রাজিলিয়ানের কল্যাণে। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন রোনালদিনহো। জামব্রোত্তার ক্রস পেপের হাতে লাগায় পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারি। রেফারির এই সিদ্ধান্তটিকে একটু কঠিনই মনে হয়েছে কারও কারও কাছে। সমালোচনা হচ্ছে রেফারির আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েও। মিলানের সমতাসূচক গোলের পরপরই মিলান সমর্থকদের উন্মাতাল করে দেন ব্রাজিলের ভবিষ্যত্ তারকা আলেক্সান্ডার পাতো। আন্দ্রে পিরলোর লম্বা এক পাস দারুণ দক্ষতায় বুকে নামিয়ে ছিটকে ফেলেন মার্কার রাউল আলবিওলকে, এরপর পরাস্ত করেন গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে। কিন্তু রেফারি উল্টো দেন ফাউলের নির্দেশ। যদিও টিভি রিপ্লে দেখিয়েছে, পাতোর শরীর কোনোভাবেই আলবিওলকে স্পর্শ করেনি।
রিয়াল কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি ফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন, আবার রেফারিং নিয়ে কোনো কথাও বলেননি। তাঁর মুখে ভালো খেলে হেরে যাওয়ার আক্ষেপ আর পাতো-প্রশংসা, ‘রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমরা ভালো খেলেছি এবং পুরো তিন পয়েন্টই পেতে পারতাম। তবে মিলানের একা পাতোই আমাদের জীবনটা কঠিন করে তুলেছিল।’ পুরো ৩ পয়েন্ট পেতে মরিয়া পেলেগ্রিনি রাউল আর নিস্টলরয়কে নামিয়েও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফল হয়নি। মিলানেও বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ইনজাগি।
তবে প্রথমার্ধের শেষের দিক থেকে রিয়াল-মিলান লড়াইটা হয়ে পড়ল ব্রাজিলের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত্ তিন তারকার ফুটবল প্রদর্শনী। রোনালদিনহো যেখানে অতীত, কাকা বর্তমান, আর পাতো ভবিষ্যতের প্রতীক।
এই প্রদর্শনীতে ব্রাজিলের বর্তমান আর ভবিষ্যতের কাছে বড্ড ম্লানই ছিলেন রোনালদিনহো। তবে নৈপুণ্যের ঝলকে কাকা-রোনালদিনহো এগিয়ে-পিছিয়ে থাকলেও পয়েন্ট তালিকায় কিন্তু রিয়াল-মিলান সাম্য। ৪ ম্যাচ থেকে দুই দলেরই ৭ পয়েন্ট। আর মার্শেইয়ের পয়েন্ট ৬।
মিলানে তাঁর বর্ণাঢ্য ৬টি বছরকে ভোলেনি সমর্থকেরা। মিলানকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে এ মৌসুমেই রিয়ালে নাম লেখানো পুরোনো নায়ক এ ম্যাচ দিয়েই আবারও ফিরেছিলেন মিলানে। এতেই মিলান-সমর্থকদের যত্নে সাজিয়ে রাখা ভালোবাসার অর্গল গেল খুলে। প্রকাশ পেল গ্যালারিতে পতপত করে ওড়া ব্যানার আর ফেস্টুনে—‘আমরা তোমাকে ভুলিনি’ অথবা ‘আবেগের সেই ৬ বছর’।
কিন্তু ফুটবল তো ফুটবলই। এখানে ব্যক্তির ওপরে দল। আবেগ বেশিক্ষণ পাত্তা পায় না। তাই রেফারির প্রথম বাঁশি বাজতেই ব্যানার-ফেস্টুন সব উধাও। গ্যালারিতে তখন শুধুই ফুটবলের উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। সানসিরোর বড় অংশটাকে চুপ করিয়ে দিয়ে উত্তেজনার রেণু প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময়েই উড়ল বার্নাব্যু থেকে যাওয়া অল্প সংখ্যক সমর্থকের মাঝে। সব মিলে রিয়াল ২৩টি শট নিয়েছে মিলানের গোলে। ১০টিই ছিল গোলমুখে। উল্টোদিকে মিলান রিয়ালের গোলে হাতেগোনা কয়েকটি শটই নিতে পেরেছে। কিন্তু গোলের দিক দিয়ে দুই দলই সমান। দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
২৯ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। মিলান শিবিরকে স্তব্ধ করে দেওয়া গোলটির উত্স ছিলেন কাকাই। সিডর্ফকে বোকা বানিয়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর নিচু শটটি মিলানের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক দিদার হাত ফসকে বেরিয়ে আসে। ডান দিক থেকে সেই বল কঠিন এক কোণ থেকে জালে জড়িয়ে দেন করিম বেনজেমা।
এর ৬ মিনিট পরই মিলান সমতায় ফেরে। মিলানের ম্যাচে ফেরাও এক ব্রাজিলিয়ানের কল্যাণে। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন রোনালদিনহো। জামব্রোত্তার ক্রস পেপের হাতে লাগায় পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারি। রেফারির এই সিদ্ধান্তটিকে একটু কঠিনই মনে হয়েছে কারও কারও কাছে। সমালোচনা হচ্ছে রেফারির আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েও। মিলানের সমতাসূচক গোলের পরপরই মিলান সমর্থকদের উন্মাতাল করে দেন ব্রাজিলের ভবিষ্যত্ তারকা আলেক্সান্ডার পাতো। আন্দ্রে পিরলোর লম্বা এক পাস দারুণ দক্ষতায় বুকে নামিয়ে ছিটকে ফেলেন মার্কার রাউল আলবিওলকে, এরপর পরাস্ত করেন গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে। কিন্তু রেফারি উল্টো দেন ফাউলের নির্দেশ। যদিও টিভি রিপ্লে দেখিয়েছে, পাতোর শরীর কোনোভাবেই আলবিওলকে স্পর্শ করেনি।
রিয়াল কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি ফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন, আবার রেফারিং নিয়ে কোনো কথাও বলেননি। তাঁর মুখে ভালো খেলে হেরে যাওয়ার আক্ষেপ আর পাতো-প্রশংসা, ‘রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমরা ভালো খেলেছি এবং পুরো তিন পয়েন্টই পেতে পারতাম। তবে মিলানের একা পাতোই আমাদের জীবনটা কঠিন করে তুলেছিল।’ পুরো ৩ পয়েন্ট পেতে মরিয়া পেলেগ্রিনি রাউল আর নিস্টলরয়কে নামিয়েও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফল হয়নি। মিলানেও বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ইনজাগি।
তবে প্রথমার্ধের শেষের দিক থেকে রিয়াল-মিলান লড়াইটা হয়ে পড়ল ব্রাজিলের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত্ তিন তারকার ফুটবল প্রদর্শনী। রোনালদিনহো যেখানে অতীত, কাকা বর্তমান, আর পাতো ভবিষ্যতের প্রতীক।
এই প্রদর্শনীতে ব্রাজিলের বর্তমান আর ভবিষ্যতের কাছে বড্ড ম্লানই ছিলেন রোনালদিনহো। তবে নৈপুণ্যের ঝলকে কাকা-রোনালদিনহো এগিয়ে-পিছিয়ে থাকলেও পয়েন্ট তালিকায় কিন্তু রিয়াল-মিলান সাম্য। ৪ ম্যাচ থেকে দুই দলেরই ৭ পয়েন্ট। আর মার্শেইয়ের পয়েন্ট ৬।
No comments