সরকার বাজারে অর্থবহ হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে -চিনি নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা
চিনি নিয়ে দেশের বাজারে এখন এক বিরাট বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা দিয়েছে। রমজানে এই অবস্থার সূত্রপাত হলেও এর জের এখনো চলছে। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকায় উঠে গেলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে আরম্ভ করে। আর তা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে চিনির পাইকারি ব্যবসায়ীদের পেছনে গোয়েন্দা লাগিয়ে দিয়ে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে আটজন ব্যবসায়ীকে চিনির দাম বাড়ানোর কারসাজির পেছনে অভিযুক্ত করে তাঁদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে অবশ্য সরকার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এর বদলে চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান এবং দাম বাড়া ঠেকাতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে, একদিকে সরকার বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। পণ্য সরবরাহ আদেশ (ডিও) হাতবদল করে মুনাফা তোলার অপচেষ্টা চিনির বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে, এটি যেমন সত্য, তেমনি ব্যবসায়ীদের আটক করার উদ্যোগটিও সঠিক হয়নি। মনে হয়েছে, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে, পরিণামে যা লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হতো। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভরতা বরং পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বস্তুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সরকারের হাতে যেসব অর্থবহ হাতিয়ার থাকা প্রয়োজন, সেগুলো পর্যাপ্ত নেই—এ সত্যটি বোধহয় নীতিনির্ধারকেরা ভুলে গেছেন। আর তাই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) দিয়ে চিনি আমদানি করা সম্ভব হয়নি। চিনির চাহিদা ও জোগানের বিষয়ে সরকারের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বড় আমদানিকারক ও পাইকারেরা কী পরিমাণ পণ্য মজুদ করে রাখেন, সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। এত সব ‘না’ নিয়ে কীভাবে সরকারের পক্ষে বাজারে অর্থবহ হস্তক্ষেপ করা সম্ভব? বাণিজ্যমন্ত্রী রমজান মাসে ও রমজান মাসের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ে যেভাবে যত কথা বলেছেন, এতে মনে হয়েছে কাজের চেয়ে কথার দিকেই তাঁর মনোযোগ বেশি। এই প্রবণতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদেরও সুযোগ পেলেই অতিরিক্ত মুনাফা তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেন কেজিপ্রতি ৪২ টাকা দরের চিনি ৬০ টাকায় বিক্রি হবে? কেন গুদামে মজুদ থাকার পরও সেসব পণ্য সময়মতো বাজারে ছাড়া হবে না? এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি চিনি ব্যবসায়ীদের হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুধু ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য দাবিদাওয়া পেশ করলেই হলো না, বরং ব্যবসায়ীরা যেন দায়িত্বশীল আচরণ করেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা রাখতে হবে।
পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে, একদিকে সরকার বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। পণ্য সরবরাহ আদেশ (ডিও) হাতবদল করে মুনাফা তোলার অপচেষ্টা চিনির বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে, এটি যেমন সত্য, তেমনি ব্যবসায়ীদের আটক করার উদ্যোগটিও সঠিক হয়নি। মনে হয়েছে, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে, পরিণামে যা লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হতো। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভরতা বরং পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বস্তুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সরকারের হাতে যেসব অর্থবহ হাতিয়ার থাকা প্রয়োজন, সেগুলো পর্যাপ্ত নেই—এ সত্যটি বোধহয় নীতিনির্ধারকেরা ভুলে গেছেন। আর তাই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) দিয়ে চিনি আমদানি করা সম্ভব হয়নি। চিনির চাহিদা ও জোগানের বিষয়ে সরকারের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বড় আমদানিকারক ও পাইকারেরা কী পরিমাণ পণ্য মজুদ করে রাখেন, সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। এত সব ‘না’ নিয়ে কীভাবে সরকারের পক্ষে বাজারে অর্থবহ হস্তক্ষেপ করা সম্ভব? বাণিজ্যমন্ত্রী রমজান মাসে ও রমজান মাসের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ে যেভাবে যত কথা বলেছেন, এতে মনে হয়েছে কাজের চেয়ে কথার দিকেই তাঁর মনোযোগ বেশি। এই প্রবণতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদেরও সুযোগ পেলেই অতিরিক্ত মুনাফা তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেন কেজিপ্রতি ৪২ টাকা দরের চিনি ৬০ টাকায় বিক্রি হবে? কেন গুদামে মজুদ থাকার পরও সেসব পণ্য সময়মতো বাজারে ছাড়া হবে না? এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি চিনি ব্যবসায়ীদের হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুধু ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য দাবিদাওয়া পেশ করলেই হলো না, বরং ব্যবসায়ীরা যেন দায়িত্বশীল আচরণ করেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা রাখতে হবে।
No comments