চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
রিকি পন্টিং ও শেন ওয়াটসন—এই দুজন মিলে হারিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে। তাঁদের চমত্কার দ্বিতীয় উইকেট জুটির কল্যাণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের আরও একটি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ও টপঅর্ডার নিয়ে শঙ্কা আগেই ছিল। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো কাল। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের বিরামহীন ফর্মহীনতা গতকাল আরও একবার ইংল্যান্ডকে তাদের কাঙ্খিত ‘শুরু’ থেকে বঞ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে ওয়াইজ শাহকে হারিয়ে খেলার শুরুতেই টস জিতে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড পরিণত হয় ১৬/২ তে। এরপর জো ডেনলির সঙ্গে পল কলিংউড কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও সেই প্রতিরোধের ব্যাপ্তি ছিল ৭১ রান পর্যন্ত। দলীয় ৭১ রানে কলিংউড আউট হলে ফাইনালে খেলার আশাকে সেখানেই শেষ বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেক ‘বার্মি আর্মি’। একপর্যায়ে ডেনলি, ডেভিস ও মর্গানকে ইংল্যান্ড হারিয়ে বসে দলের রান ১০০ হওয়ার আগেই। কিন্তু এরপরের দেড় ঘণ্টা ব্রেসনান ও রাইট অসি বোলারদের নিদারুণ হতাশায় ডোবান। তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ১০৭ রানের জুটি। রাইট ৪৮ ও ব্রেসনান ক্যারিয়ার সেরা ৮০ রান করেন। এই জুটির ব্যাটিং দেখে হয়তো ইংলিশ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা লজ্জায় মুখ ঢাকছিলেন। তাঁরা যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন ততক্ষণ ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালকে অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আলোর রেখা হিসেবেই দেখতে পাচ্ছিল। এই দুজনের জুটি ভাঙার পর জিপি সোয়ানের ১৮ রান ইংল্যান্ডকে নিয়ে যায় ২৫৭ রানের একটি লড়াকু সংগ্রহে।
২৫৭ রান দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানে খুব একটা খারাপ সংগ্রহ নয়। কিন্তু গতকাল শেন ওয়াটসন ও পরবর্তীতে অধিনায়ক রিকি পন্টিং যে এমন অতিমানবীয় ঢংয়ে ঝলসে উঠবেন তা কে ভেবেছিল? একটি ক্ল্যাসিক লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা নিরপেক্ষ দর্শকদের আশার গুড়ে বালি ঢেলে ইংলিশ বোলারদের পাড়ার বোলারের স্তরে নামিয়ে এনে তাণ্ডব চালাতে থাকেন এই দুই অসি ব্যাটসম্যান। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য আশাজাগানিয়া। দলীয় মাত্র ৬ রানে টিম পাইনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান গ্রাহাম অনিয়ন। কিপার ডেভিসের হাতে ধরা পড়ের তিনি। এরপর থেকে বাকিসময়টা ছিল সম্পূর্ণ অসময়। শেন ওয়াটসন সংমিশ্রণ ঘটান দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্ট্রোকের অনুপম প্রদর্শনীকে। ১০টি চার ও সাতটি ছয়ের সমন্বয়ে গড়া শ্যেন ওয়াটসনের এই ইনিংস ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে একেবারেই বাইরে নিয়ে যায়। রিকি পন্টিং শেন ওয়াটসনকে স্ট্রোক প্লের সুযোগ করে দিয়ে খেলেন ১১৫ বলে ১১১ রানের শান্ত সৌম্য এক ইনিংস।
এই দুজনের কল্যাণে ইংলান্ডের একটি বিশ্ব আসরের শিরোপার স্বপ্ন অনেক দূরেই থেকে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ২৫৭/১০ (৪৭.৪ ওভার)
ব্রেসনান ৮০, রাইট ৪৮
সিডল ৩/৫৫, ব্রেট লি ২/৪৬ ওয়াটসন ২/৩৫
অস্ট্রেলিয়া ২৫৮/১ (৪১.৫ ওভার)
শেন ওয়াটসন ১৩৬*, রিকি পন্টিং ১১১*
গ্রাহাম অনিয়ন ১/৪৭
অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ও টপঅর্ডার নিয়ে শঙ্কা আগেই ছিল। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো কাল। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের বিরামহীন ফর্মহীনতা গতকাল আরও একবার ইংল্যান্ডকে তাদের কাঙ্খিত ‘শুরু’ থেকে বঞ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে ওয়াইজ শাহকে হারিয়ে খেলার শুরুতেই টস জিতে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড পরিণত হয় ১৬/২ তে। এরপর জো ডেনলির সঙ্গে পল কলিংউড কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও সেই প্রতিরোধের ব্যাপ্তি ছিল ৭১ রান পর্যন্ত। দলীয় ৭১ রানে কলিংউড আউট হলে ফাইনালে খেলার আশাকে সেখানেই শেষ বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেক ‘বার্মি আর্মি’। একপর্যায়ে ডেনলি, ডেভিস ও মর্গানকে ইংল্যান্ড হারিয়ে বসে দলের রান ১০০ হওয়ার আগেই। কিন্তু এরপরের দেড় ঘণ্টা ব্রেসনান ও রাইট অসি বোলারদের নিদারুণ হতাশায় ডোবান। তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ১০৭ রানের জুটি। রাইট ৪৮ ও ব্রেসনান ক্যারিয়ার সেরা ৮০ রান করেন। এই জুটির ব্যাটিং দেখে হয়তো ইংলিশ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা লজ্জায় মুখ ঢাকছিলেন। তাঁরা যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন ততক্ষণ ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালকে অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আলোর রেখা হিসেবেই দেখতে পাচ্ছিল। এই দুজনের জুটি ভাঙার পর জিপি সোয়ানের ১৮ রান ইংল্যান্ডকে নিয়ে যায় ২৫৭ রানের একটি লড়াকু সংগ্রহে।
২৫৭ রান দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানে খুব একটা খারাপ সংগ্রহ নয়। কিন্তু গতকাল শেন ওয়াটসন ও পরবর্তীতে অধিনায়ক রিকি পন্টিং যে এমন অতিমানবীয় ঢংয়ে ঝলসে উঠবেন তা কে ভেবেছিল? একটি ক্ল্যাসিক লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা নিরপেক্ষ দর্শকদের আশার গুড়ে বালি ঢেলে ইংলিশ বোলারদের পাড়ার বোলারের স্তরে নামিয়ে এনে তাণ্ডব চালাতে থাকেন এই দুই অসি ব্যাটসম্যান। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য আশাজাগানিয়া। দলীয় মাত্র ৬ রানে টিম পাইনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান গ্রাহাম অনিয়ন। কিপার ডেভিসের হাতে ধরা পড়ের তিনি। এরপর থেকে বাকিসময়টা ছিল সম্পূর্ণ অসময়। শেন ওয়াটসন সংমিশ্রণ ঘটান দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্ট্রোকের অনুপম প্রদর্শনীকে। ১০টি চার ও সাতটি ছয়ের সমন্বয়ে গড়া শ্যেন ওয়াটসনের এই ইনিংস ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে একেবারেই বাইরে নিয়ে যায়। রিকি পন্টিং শেন ওয়াটসনকে স্ট্রোক প্লের সুযোগ করে দিয়ে খেলেন ১১৫ বলে ১১১ রানের শান্ত সৌম্য এক ইনিংস।
এই দুজনের কল্যাণে ইংলান্ডের একটি বিশ্ব আসরের শিরোপার স্বপ্ন অনেক দূরেই থেকে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ২৫৭/১০ (৪৭.৪ ওভার)
ব্রেসনান ৮০, রাইট ৪৮
সিডল ৩/৫৫, ব্রেট লি ২/৪৬ ওয়াটসন ২/৩৫
অস্ট্রেলিয়া ২৫৮/১ (৪১.৫ ওভার)
শেন ওয়াটসন ১৩৬*, রিকি পন্টিং ১১১*
গ্রাহাম অনিয়ন ১/৪৭
অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
No comments