ইন্দোনেশিয়া থেকে সামোয়া পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধ্বংসযজ্ঞ
ইন্দোনেশিয়া থেকে সামোয়া। ভূমিকম্প, সুনামি আর টাইফুন কেটসানার ধ্বংসযজ্ঞ। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে হতাহত হয়েছে অনেক মানুষ। এক দুর্যোগের ধাক্কা সামলে না উঠতেই আঘাত হানছে আরেক দুর্যোগ। এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের সামোয়া ও টোঙ্গায় সুনামির ক্ষয়ক্ষতি বুঝে ওঠার আগেই আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। টাইফুন কেটসানার ধাক্কা সামলে না উঠতেই ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন পারমা।
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১০০ জনে। প্রাণহানির ওই হিসাব দিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৭৭৭ জন। গুরুতর আহত হয়েছে দুই হাজার ১০০ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ। নিখোঁজ লোকজন বিধ্বস্ত ভবনের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এরই মধ্যে দেশটিতে ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে শুরু করেছে। পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর শৈশবের একটি অংশ ইন্দোনেশিয়ায় কেটেছে। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য তল্লাশি ও উদ্ধার বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
এক ছাত্রীকে জীবিত উদ্ধার: ভূমিকম্পের ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সুমাত্রার পাদাংয়ের একটি বিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক ছাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সারি (২১) নামের ওই ছাত্রী ওই বিদ্যালয়েই পড়ালেখা করতেন। উদ্ধারকর্মীরা একটি সুড়ঙ্গপথ তৈরি করে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাঁকে টেনে বের করে আনতে সক্ষম হন।
সুনামির পর ভূমিকম্প: সামোয়া ও টোঙ্গায় সুনামির পর শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গতকাল শুক্রবার সেখানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ এখনো মেলেনি। মঙ্গলবারের সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
সামোয়ায় সুমামির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেক মানুষ। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার লোক।
সুনামিবিধ্বস্ত সামোয়ায় চিকিত্সাসেবা দিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দল পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। আহত লোকজনকে চিকিত্সাসেবা দেওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ডে নেওয়ার কাজও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে দেশটি।
ধেয়ে যাচ্ছে পারমা: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় কেটসানার ধাক্কা সামলে না উঠতেই ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী ঝড় পারমা। ঘণ্টায় ১৪৫ মাইল বেগে দেশটির উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়টি। আজ শনিবার সূর্যোদয়ের সময় ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজনের উত্তর উপকূলে পারমা আঘাত হানতে পারে।
কেটসানার ছোবলে ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৪২ জন। ২৫৬টি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে সোয়া চার লাখ মানুষ। ত্রাণকেন্দ্রগুলো থেকে ত্রাণসহায়তা নিয়েছে আরও তিন লাখ ৭৯ হাজার ৮০৫ জন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি লোক।
লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামেও ধ্বংসযজ্ঞ: কেটসানার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় লাওসে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৬ জন। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১০৫ জন। আরও ১৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ। অধিকাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার কারণে।
কেটসানার ছোবলে কম্বোডিয়ায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। শুক্রবার রেডক্রস এ খবর দিয়েছে। কেটসানার আঘাতে ভিয়েতনামে প্রাণ হারিয়েছে ৯৯ জন।
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১০০ জনে। প্রাণহানির ওই হিসাব দিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৭৭৭ জন। গুরুতর আহত হয়েছে দুই হাজার ১০০ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ। নিখোঁজ লোকজন বিধ্বস্ত ভবনের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এরই মধ্যে দেশটিতে ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে শুরু করেছে। পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর শৈশবের একটি অংশ ইন্দোনেশিয়ায় কেটেছে। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য তল্লাশি ও উদ্ধার বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
এক ছাত্রীকে জীবিত উদ্ধার: ভূমিকম্পের ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সুমাত্রার পাদাংয়ের একটি বিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক ছাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সারি (২১) নামের ওই ছাত্রী ওই বিদ্যালয়েই পড়ালেখা করতেন। উদ্ধারকর্মীরা একটি সুড়ঙ্গপথ তৈরি করে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাঁকে টেনে বের করে আনতে সক্ষম হন।
সুনামির পর ভূমিকম্প: সামোয়া ও টোঙ্গায় সুনামির পর শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গতকাল শুক্রবার সেখানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ এখনো মেলেনি। মঙ্গলবারের সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
সামোয়ায় সুমামির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেক মানুষ। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার লোক।
সুনামিবিধ্বস্ত সামোয়ায় চিকিত্সাসেবা দিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দল পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। আহত লোকজনকে চিকিত্সাসেবা দেওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ডে নেওয়ার কাজও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে দেশটি।
ধেয়ে যাচ্ছে পারমা: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় কেটসানার ধাক্কা সামলে না উঠতেই ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী ঝড় পারমা। ঘণ্টায় ১৪৫ মাইল বেগে দেশটির উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়টি। আজ শনিবার সূর্যোদয়ের সময় ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজনের উত্তর উপকূলে পারমা আঘাত হানতে পারে।
কেটসানার ছোবলে ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৪২ জন। ২৫৬টি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে সোয়া চার লাখ মানুষ। ত্রাণকেন্দ্রগুলো থেকে ত্রাণসহায়তা নিয়েছে আরও তিন লাখ ৭৯ হাজার ৮০৫ জন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি লোক।
লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামেও ধ্বংসযজ্ঞ: কেটসানার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় লাওসে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৬ জন। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১০৫ জন। আরও ১৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ। অধিকাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার কারণে।
কেটসানার ছোবলে কম্বোডিয়ায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। শুক্রবার রেডক্রস এ খবর দিয়েছে। কেটসানার আঘাতে ভিয়েতনামে প্রাণ হারিয়েছে ৯৯ জন।
No comments