নিয়ন্ত্রণবিধি সহজ করা ছাড়া এসএমইর উন্নয়ন হবে না
বিশ্বমন্দার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে দেশে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের (এসএমই) উন্নয়ন ছাড়া কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে তাই এসএমই খাতের জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণবিধি সহজ করার তাগিদ দেন উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর পান্থপথে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফান্ডের (বিআইসিএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এসএমই খাত উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণবিধির প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে গতকাল সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সরকারি বিধিবিধান সংস্কার করারও সুপারিশ করেন।
বৈঠকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব-উল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক আহমেদ আলী শাহ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিদ্দিক-ই-রব্বানী, আইএফসির ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দ আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক সালমা চৌধুরী জহির, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব-উল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত হলো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ এসএমই খাতের উন্নয়ন করেই অর্থনীতিকে উন্নয়ন করেছে।
আফতাব-উল ইসলাম আরও বলেন, এসএমই খাতের উন্নয়ন হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। সুতরাং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই এসএমই খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন।
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বমন্দায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশকে মন্দার হাত থেকে বাঁচাতে হলে প্রচুর কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। আর এ জন্য এসএমই খাতের উন্নয়ন করতে হবে।
মমতাজ উদ্দিন বলেন, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বাধাগুলো হচ্ছে সহজে ট্রেড লাইসেন্স না পাওয়া, আয়কর ও ভ্যাট নিবন্ধনে জটিলতা এবং ঋণ পেতে হয়রানি। তিনি এসএমই খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ সুদহারে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করেন।
সৈয়দ আকতার মাহমুদ বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে সরকারি নিয়ন্ত্রণবিধির সংস্কার করতে হবে। বিদ্যুত্সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক সময় লাগে। কিন্তু কেবল বিধিবিধান সংস্কার করে হয়রানি কমানো হলে দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
বেসরকারি খাতের উন্নয়নের স্বার্থে বেটার বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) ও রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশনকে (আরসিসি) কার্যকর করার সুপারিশ করেন সৈয়দ আকতার।
গোলাম মোয়াজ্জেম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সমস্যা সমাধানে এসএমই ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেন, ‘দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন না করে কেবল বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদে এসএমই খাতের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তা ছাড়া এ খাতের উন্নয়নে সরকারকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নয়, সহায়কের ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি এসএমই খাতের সব ধরনের কর ও ট্রেড লাইসেন্স নিবন্ধনের আওতার বাইরে রাখার প্রস্তাব করেন।
রাজধানীর পান্থপথে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফান্ডের (বিআইসিএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এসএমই খাত উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণবিধির প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে গতকাল সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সরকারি বিধিবিধান সংস্কার করারও সুপারিশ করেন।
বৈঠকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব-উল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক আহমেদ আলী শাহ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিদ্দিক-ই-রব্বানী, আইএফসির ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দ আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক সালমা চৌধুরী জহির, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আফতাব-উল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত হলো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ এসএমই খাতের উন্নয়ন করেই অর্থনীতিকে উন্নয়ন করেছে।
আফতাব-উল ইসলাম আরও বলেন, এসএমই খাতের উন্নয়ন হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। সুতরাং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই এসএমই খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন।
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বমন্দায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশকে মন্দার হাত থেকে বাঁচাতে হলে প্রচুর কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। আর এ জন্য এসএমই খাতের উন্নয়ন করতে হবে।
মমতাজ উদ্দিন বলেন, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বাধাগুলো হচ্ছে সহজে ট্রেড লাইসেন্স না পাওয়া, আয়কর ও ভ্যাট নিবন্ধনে জটিলতা এবং ঋণ পেতে হয়রানি। তিনি এসএমই খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ সুদহারে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করেন।
সৈয়দ আকতার মাহমুদ বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে সরকারি নিয়ন্ত্রণবিধির সংস্কার করতে হবে। বিদ্যুত্সহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক সময় লাগে। কিন্তু কেবল বিধিবিধান সংস্কার করে হয়রানি কমানো হলে দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
বেসরকারি খাতের উন্নয়নের স্বার্থে বেটার বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) ও রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশনকে (আরসিসি) কার্যকর করার সুপারিশ করেন সৈয়দ আকতার।
গোলাম মোয়াজ্জেম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সমস্যা সমাধানে এসএমই ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেন, ‘দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন না করে কেবল বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদে এসএমই খাতের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তা ছাড়া এ খাতের উন্নয়নে সরকারকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নয়, সহায়কের ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি এসএমই খাতের সব ধরনের কর ও ট্রেড লাইসেন্স নিবন্ধনের আওতার বাইরে রাখার প্রস্তাব করেন।
No comments