পেরেছেন ফেদেরার
যমজ কন্যার বাবা হওয়ার পর প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পেরেছেন রজার ফেদেরার? কিংবা ১৯৬৯ সালে রড লেভারের পর প্রথম এক বছরে টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম? টানা ষষ্ঠ ইউএস ওপেন জিতে ছুঁয়েছেন আমেরিকার বিল টিলডেনকে? নাকি অল ইংল্যান্ড ক্লাবের মতো ফ্লাশিং মিডোতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে টানা ষষ্ঠ শিরোপার স্বপ্ন?
এই লেখা যখন পড়ছেন, তখন সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই জেনে যাওয়ার কথা। গত কিছুদিনের ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে নিউইয়র্কের আকাশ যদি কান্নাকাটিতে একটু ক্ষান্তি দেয়, তাহলে বাংলাদেশ সময় ভোররাতেই এবারের ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের শিরোপার ফয়সালা হয়ে গেছে। ফেদেরার আর এত সব কীর্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো। গত পরশু সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে যিনি জন্ম দিয়েছেন বড় এক আপসেটের।
একসঙ্গে এতগুলো কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ফেদেরার ছিলেন রোমাঞ্চিত, ‘বাবা হওয়ার পর প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়টা হবে অসাধারণ। টানা তিনটি স্লাম জয়টাও হবে বিশেষ কিছু। আমি দারুণ বোধ করছি, আশা করি আমি পারব।’ এটুকু বলার পরই হয়তো ২৮ বছর বয়সী সুইসের মনে পড়ে গিয়েছিল টানা ছয়টি শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার কথা, ‘এটা হবে অদ্ভুত। উইম্বলডনে অনেক কাছে গিয়েও আমি পারিনি, আশা করছি এবার সবকিছুই ভালোভাবে হবে।’ প্রতিপক্ষ দেল পোত্রোর বিপক্ষে মুখোমুখি ছয় লড়াইয়ের প্রতিটিতেই জিতেছেন, তবে তার পরও সতর্ক ফেদেরার, ‘আমি নিশ্চিত, দেল পোত্রো আমাকে সহজে ছাড় দেবে না। রাফার (নাদাল) বিপক্ষে সে দারুণ খেলেছে। প্রতি মাসেই সে উন্নতি করছে। টেনিস কোর্টে তার কী করা উচিত, সেটা সে এখন আরও ভালো জানে।’
ফেদেরারকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে সেমিফাইনালের পারফরম্যান্স। নোভাক জোকোভিচকে টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল থেকে ফিরিয়েছেন ৭-৬ (৭/৩), ৭-৫, ৭-৫ গেমে হারিয়ে। দর্শকদের মাতিয়েছেন ‘ফেড এক্সপ্রেস’ তাঁর উইনিং শটটি দিয়ে। নেটের দিকে পেছন ফিরে দুই পায়ের মাঝ দিয়ে দুর্দান্ত এক ফোরহ্যান্ড, হতভম্ব জোকোভিচের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করা ছিল না। ফেদেরার নিজেও এটিকে বলেছেন ক্যারিয়ারের সেরা শট, ‘প্র্যাকটিসে আমি এটা প্রচুর অনুশীলন করি, কিন্তু কখনোই ঠিকমতো পারি না। আর এখানে গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনালে ম্যাচ পয়েন্টের সময়...এ কারণেই আমার মনে হয় এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা শট।’
ফেদেরারের ফাইনালে ওঠায় কোনো বিস্ময় নেই। বিস্ময় বললে বলতে হয় রাফায়েল নাদালকে ৬-২, ৬-২, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়ে দেল পোত্রোর ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠা। এই সাফল্যে আকাশে উড়ছেন ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা এই আর্জেন্টাইন, ‘এটা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। রাফা গ্রেট খেলোয়াড়। সে পাঁচ-ছয় ঘণ্টাও দৌড়াতে পারে। কিন্তু আমার সেরাটা দিয়েছি এবং আমি ফাইনালে! আর গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে পরাজয়ের জন্য টানা খেলার ক্লান্তি এবং হাঁটুর চোটকে দায়ী করেছেন রাফায়েল নাদাল।
এই লেখা যখন পড়ছেন, তখন সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই জেনে যাওয়ার কথা। গত কিছুদিনের ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে নিউইয়র্কের আকাশ যদি কান্নাকাটিতে একটু ক্ষান্তি দেয়, তাহলে বাংলাদেশ সময় ভোররাতেই এবারের ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের শিরোপার ফয়সালা হয়ে গেছে। ফেদেরার আর এত সব কীর্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো। গত পরশু সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে যিনি জন্ম দিয়েছেন বড় এক আপসেটের।
একসঙ্গে এতগুলো কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ফেদেরার ছিলেন রোমাঞ্চিত, ‘বাবা হওয়ার পর প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়টা হবে অসাধারণ। টানা তিনটি স্লাম জয়টাও হবে বিশেষ কিছু। আমি দারুণ বোধ করছি, আশা করি আমি পারব।’ এটুকু বলার পরই হয়তো ২৮ বছর বয়সী সুইসের মনে পড়ে গিয়েছিল টানা ছয়টি শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার কথা, ‘এটা হবে অদ্ভুত। উইম্বলডনে অনেক কাছে গিয়েও আমি পারিনি, আশা করছি এবার সবকিছুই ভালোভাবে হবে।’ প্রতিপক্ষ দেল পোত্রোর বিপক্ষে মুখোমুখি ছয় লড়াইয়ের প্রতিটিতেই জিতেছেন, তবে তার পরও সতর্ক ফেদেরার, ‘আমি নিশ্চিত, দেল পোত্রো আমাকে সহজে ছাড় দেবে না। রাফার (নাদাল) বিপক্ষে সে দারুণ খেলেছে। প্রতি মাসেই সে উন্নতি করছে। টেনিস কোর্টে তার কী করা উচিত, সেটা সে এখন আরও ভালো জানে।’
ফেদেরারকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে সেমিফাইনালের পারফরম্যান্স। নোভাক জোকোভিচকে টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল থেকে ফিরিয়েছেন ৭-৬ (৭/৩), ৭-৫, ৭-৫ গেমে হারিয়ে। দর্শকদের মাতিয়েছেন ‘ফেড এক্সপ্রেস’ তাঁর উইনিং শটটি দিয়ে। নেটের দিকে পেছন ফিরে দুই পায়ের মাঝ দিয়ে দুর্দান্ত এক ফোরহ্যান্ড, হতভম্ব জোকোভিচের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করা ছিল না। ফেদেরার নিজেও এটিকে বলেছেন ক্যারিয়ারের সেরা শট, ‘প্র্যাকটিসে আমি এটা প্রচুর অনুশীলন করি, কিন্তু কখনোই ঠিকমতো পারি না। আর এখানে গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনালে ম্যাচ পয়েন্টের সময়...এ কারণেই আমার মনে হয় এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা শট।’
ফেদেরারের ফাইনালে ওঠায় কোনো বিস্ময় নেই। বিস্ময় বললে বলতে হয় রাফায়েল নাদালকে ৬-২, ৬-২, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়ে দেল পোত্রোর ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠা। এই সাফল্যে আকাশে উড়ছেন ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা এই আর্জেন্টাইন, ‘এটা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। রাফা গ্রেট খেলোয়াড়। সে পাঁচ-ছয় ঘণ্টাও দৌড়াতে পারে। কিন্তু আমার সেরাটা দিয়েছি এবং আমি ফাইনালে! আর গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে পরাজয়ের জন্য টানা খেলার ক্লান্তি এবং হাঁটুর চোটকে দায়ী করেছেন রাফায়েল নাদাল।
No comments