বিনিয়োগে হতাশ ব্যবসায়ীরা
২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় শিশির ভট্টাচার্যের একটি কার্টুন ছাপা হয়। কার্টুন দেখানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা নিয়ে নতজানু অবস্থায় বসে আছে। আর সেই টাকা ছাগলে খাচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে আছে। ওই কার্টুনটি আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রতীকী রূপ।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবায়ক সরকারের দুই বছরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলাকালে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকেন।
আশা ছিল, বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিনিয়োগে প্রতিকূলতা দূর করে অনকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। কিন্তু টেন্ডারবাজি, দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, সর্বোপরি বিদ্যুত্ ও গ্যাস-সংকট বিনিয়োগের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাজোট সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর (যেগুলো নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে) অন্যতম ছিল ‘প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে সরকারি চাকরি দেওয়ার।’ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ মন্দা ও বিদ্যমান কলকারখানা বন্ধ হওয়ায় ফলে বা হলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের কী হবে, তা সরকার ভেবে দেখেছে কি? তাই বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুত্ ও গ্যাস-সংকট নিরসন করুন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করুন, যাতে এ দেশের লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকটি সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির ওপর। অর্থনীতিকে যারা চাঙা করে রাখেন, সেই বিনিয়োগকারীদের যদি বিনিয়োগের পরিবেশ দিতে সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। সন্দেহাতীতভাবে কথাটি সত্য।
নূরুল ইসলাম, তেজগাঁও, ঢাকা।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবায়ক সরকারের দুই বছরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলাকালে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকেন।
আশা ছিল, বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিনিয়োগে প্রতিকূলতা দূর করে অনকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। কিন্তু টেন্ডারবাজি, দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, সর্বোপরি বিদ্যুত্ ও গ্যাস-সংকট বিনিয়োগের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাজোট সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর (যেগুলো নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে) অন্যতম ছিল ‘প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে সরকারি চাকরি দেওয়ার।’ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ মন্দা ও বিদ্যমান কলকারখানা বন্ধ হওয়ায় ফলে বা হলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের কী হবে, তা সরকার ভেবে দেখেছে কি? তাই বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুত্ ও গ্যাস-সংকট নিরসন করুন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করুন, যাতে এ দেশের লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকটি সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির ওপর। অর্থনীতিকে যারা চাঙা করে রাখেন, সেই বিনিয়োগকারীদের যদি বিনিয়োগের পরিবেশ দিতে সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। সন্দেহাতীতভাবে কথাটি সত্য।
নূরুল ইসলাম, তেজগাঁও, ঢাকা।
No comments