টেনিস-মায়ের রূপকথা
শেষ পয়েন্টটা জয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন কোর্টে, চোখে বাঁধভাঙা জল। লুকানোর কোনো চেষ্টাও করছেন না। এ যে আনন্দাশ্রু! অপ্রত্যাশিত, কল্পনারও অতীত কিছু পাওয়ার আনন্দ। মাস দেড়েক আগেও স্বামী-সন্তান আর সংসার সামলাতেই যার দিন-রাত একাকার হয়ে যেত, সেই কিম ক্লাইস্টার্সের হাতে এখন ইউএস ওপেন ট্রফি। ফ্লাশিং মিডোয় চমক দেখানো দুই ফাইনালিস্টের লড়াইয়ে ক্যারেলিন ওজনিয়াকিকে ৭-৫, ৬-৩ গেমে হারিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন এক কন্যার জননী এই বেলজিয়ান।
২০০৭ সালের মে মাসে একের পর এক চোট-আঘাত আর পেশাদার টেনিসের ব্যস্ত জীবনে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে বিদায় জানিয়েছিলেন কোর্টকে। এর পর তিনি শুধুই গৃহিণী। ২৭ মাস ঘরকন্নার পর হঠাত্ই কোর্টের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল। মনের খোরাক মেটাতেই তাই ফিরলেন আগস্টের শুরুতে। ইউএস ওপেন খেলতে পেরেছেন আয়োজকেরা ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ দিয়েছিলেন বলেই। এর পর এক একটি ধাপ পেরিয়েছেন আর এগিয়ে গেছেন ইতিহাসের দিকে। মার্গারেট কোর্ট আর ইভোন গুলাগংয়ের পর মাত্র তৃতীয় ‘মা’ হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন—ইতিহাসের অংশ হতে শুধু এটুকুই যথেষ্ট। কীর্তিটা আরও মহিমান্বিত হয়ে যাচ্ছে পুরুষ-মহিলা মিলিয়েই একমাত্র ওয়াইল্ড কার্ডধারী হিসেবে ইউএস ওপেন জিতেছেন বলে। এমন একটা কীর্তি গড়ে এই বেলজিয়ান শুধু টেনিস বিশ্বকেই নয়, চমকে দিয়েছেন নিজেকেও, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না এটা সত্যিই ঘটেছে। ফিরেই দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জয়টাকে এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এখানে আমি শুধু আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলাম।’
ক্লাইস্টার্সের আনন্দটা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল দর্শক গ্যালারিতে স্বামী সাবেক বাস্কেটবল তারকা ব্রায়ান লিঞ্চ ও ১৮ মাস বয়সী কন্যা জাডার উপস্থিতি, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা বিশ্বজয়। বোঝাতে পারব না আমি কত খুশি! আমার স্বামী, মেয়ে আর পুরো দলের সঙ্গে আনন্দটা ভাগ করে নিতে পারছি।’
ইউএস ওপেন জেতা ক্লাইস্টার্সের কাছে এটা একরকম শিরোপা ধরে রাখাও। দিনারা সাফিনার মতো কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জিতেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার পর টীকা-টিপ্পনী কম শুনতে হয়নি তাঁকেও। ২০০৫ সালে এখানে শিরোপা জিতেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন সমালোচকদের মুখ। পরের বছর খেলেননি ইনজুরির জন্য, এর পর তো চলে গেলেন অবসরে। তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ দেওয়ার পর জানিয়েছেন নিজের সংসারে ফিরে যাওয়ার জন্য আর তর সইছে না তাঁর, ‘এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আমি মূল স্রোতে ফিরতে চেয়েছিলাম, ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়ার জন্য তাই ইউএস টেনিস ফেডারেশনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’
ক্লাইস্টার্সের মতো হারানোর কিছু ছিল না ওজনিয়াকিরও, ছিল পাওয়ার। প্রথম ডেনিস হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে উঠেই গড়েছেন ইতিহাস। চ্যাম্পিয়ন হলে ইতিহাসে জায়গাটা পাকাপোক্ত হয়ে যেত, তবে যা পেয়েছেন তাতেও কম খুশি নন এই ১৯ বছর বয়সী। হারার পরও মুখে সেই পরিচিত হাসি, ‘ব্লন্ড কন্যা’ মেনে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের শ্রেষ্ঠত্বও, ‘কিম অসাধারণ খেলেছে। সে দেখিয়েছে সে কতটা ভালো খেলোয়াড়। জিতলে অবশ্যই দারুণ হতো, তবে সে আমার চেয়ে ভালো খেলেই জিতেছে।’ ।
২০০৭ সালের মে মাসে একের পর এক চোট-আঘাত আর পেশাদার টেনিসের ব্যস্ত জীবনে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে বিদায় জানিয়েছিলেন কোর্টকে। এর পর তিনি শুধুই গৃহিণী। ২৭ মাস ঘরকন্নার পর হঠাত্ই কোর্টের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল। মনের খোরাক মেটাতেই তাই ফিরলেন আগস্টের শুরুতে। ইউএস ওপেন খেলতে পেরেছেন আয়োজকেরা ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ দিয়েছিলেন বলেই। এর পর এক একটি ধাপ পেরিয়েছেন আর এগিয়ে গেছেন ইতিহাসের দিকে। মার্গারেট কোর্ট আর ইভোন গুলাগংয়ের পর মাত্র তৃতীয় ‘মা’ হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন—ইতিহাসের অংশ হতে শুধু এটুকুই যথেষ্ট। কীর্তিটা আরও মহিমান্বিত হয়ে যাচ্ছে পুরুষ-মহিলা মিলিয়েই একমাত্র ওয়াইল্ড কার্ডধারী হিসেবে ইউএস ওপেন জিতেছেন বলে। এমন একটা কীর্তি গড়ে এই বেলজিয়ান শুধু টেনিস বিশ্বকেই নয়, চমকে দিয়েছেন নিজেকেও, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না এটা সত্যিই ঘটেছে। ফিরেই দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জয়টাকে এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এখানে আমি শুধু আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলাম।’
ক্লাইস্টার্সের আনন্দটা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল দর্শক গ্যালারিতে স্বামী সাবেক বাস্কেটবল তারকা ব্রায়ান লিঞ্চ ও ১৮ মাস বয়সী কন্যা জাডার উপস্থিতি, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা বিশ্বজয়। বোঝাতে পারব না আমি কত খুশি! আমার স্বামী, মেয়ে আর পুরো দলের সঙ্গে আনন্দটা ভাগ করে নিতে পারছি।’
ইউএস ওপেন জেতা ক্লাইস্টার্সের কাছে এটা একরকম শিরোপা ধরে রাখাও। দিনারা সাফিনার মতো কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জিতেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার পর টীকা-টিপ্পনী কম শুনতে হয়নি তাঁকেও। ২০০৫ সালে এখানে শিরোপা জিতেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন সমালোচকদের মুখ। পরের বছর খেলেননি ইনজুরির জন্য, এর পর তো চলে গেলেন অবসরে। তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ দেওয়ার পর জানিয়েছেন নিজের সংসারে ফিরে যাওয়ার জন্য আর তর সইছে না তাঁর, ‘এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আমি মূল স্রোতে ফিরতে চেয়েছিলাম, ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়ার জন্য তাই ইউএস টেনিস ফেডারেশনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’
ক্লাইস্টার্সের মতো হারানোর কিছু ছিল না ওজনিয়াকিরও, ছিল পাওয়ার। প্রথম ডেনিস হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে উঠেই গড়েছেন ইতিহাস। চ্যাম্পিয়ন হলে ইতিহাসে জায়গাটা পাকাপোক্ত হয়ে যেত, তবে যা পেয়েছেন তাতেও কম খুশি নন এই ১৯ বছর বয়সী। হারার পরও মুখে সেই পরিচিত হাসি, ‘ব্লন্ড কন্যা’ মেনে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের শ্রেষ্ঠত্বও, ‘কিম অসাধারণ খেলেছে। সে দেখিয়েছে সে কতটা ভালো খেলোয়াড়। জিতলে অবশ্যই দারুণ হতো, তবে সে আমার চেয়ে ভালো খেলেই জিতেছে।’ ।
No comments