মার্কিনরা যত সেনা পাঠাবে, আমাদের হামলাও তত বাড়বে
কান্দাহার, মাজার ই শরিফ, কুন্দুজ, তোরাবোরা, হেরাত, কাবুল—একেকটি বিধ্বস্ত জনপদের নাম। গোলার আঘাতে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে একসময়ের কর্মচঞ্চল এসব এলাকা। ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবিরাম গোলাবর্ষণে এসব নগর এখন নিশ্চিহ্নপ্রায়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় এখানকার বাসিন্দারা স্বজন হারিয়েছে, সন্তান হারিয়েছে, হারিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও। এখনো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেঁপে কেঁপে উঠছে আফগানিস্তানের মাটি। কান্না থামছে না মা-বাবা হারানো অবোধ শিশুর।
কিন্তু কিসের জন্য এত সব? একটু পেছনে তাকানো যাক। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব দেখল, সন্ত্রাসী হামলায় নিউইয়র্কের আকাশচুম্বী টুইন টাওয়ার কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেল! প্রাণ দিল তাতে নিরপরাধ তিন হাজার ১৭ জন মানুষ। ওই ঘটনায় আহত হয়ে কাতরাচ্ছে ছয় হাজার ২৯১ জনেরও বেশি।
সন্তান হারিয়ে শোকে, ক্ষোভে বেপরোয়া হয়ে উঠল যুক্তরাষ্ট্র। হামলাকারীদের শায়েস্তা করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল তারা। আধুনিক যুগের সবচেয়ে পরিকল্পিত এ হামলার জন্য সন্দেহ করা হলো ইসলাাম জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও এর প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে। তিলমাত্র অপেক্ষা না করে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত হলো মার্কিন সেনারা। তারা হামলা চালাল ওসামা বিন লাদেনের ‘আশ্রয়দাতা’ আফগানিস্তানের ওপর। তাঁর অনুসারীরাও যথাসম্ভব জবাব দিল মার্কিন হামলার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ২০০১ সালের মধ্য অক্টোবরে ন্যাটো বাহিনীর হাতে পতন হলো কাবুলসহ একের পর এক শহরের। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ন্যাটো আর হামিদ কারজাইয়ের বাহিনী আফগানিস্তানে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে।
কিন্তু মার্কিনরা যতই কর্তৃত্ব বজায় রাখুক, তালেবানরা তাদের হাল ছাড়েনি। তালেবানরা এখনো আফগানিস্তানের পর্বত, গুহায় অবস্থান নিয়ে মার্কিনদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালবানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা জালালউদ্দিন হাক্কানি। উপজাতীয় এ ধর্মীয় নেতার নেতৃত্বে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত ও পাকতিকায় তারা লড়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান-সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের পার্বত্য এলাকায় রয়েছে তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তারা উপজাতি হওয়ায় আফগানিস্তানের উপজাতীয়-অধ্যুষিত এলাকায় তাদের রয়েছে ব্যাপক প্রভাব ও সমর্থন।
একজন তরুণ পশতু ভাষার কবি ও সাংবাদিক বলেন, ‘উপজাতীয় এলাকায় আমরা প্রায় সবাই একই জাতিগোষ্ঠীর। এ অঞ্চলের ৯৫ ভাগ লোক তালেবানদের সমর্থন করে। তারা তালেবানদের আশ্রয় দেয়। ব্যবসায়ীরা তাদের অর্থের জোগান দেয়। উপজাতীয় এলাকায় তালেবানরা খুবই শক্তিশালী। তাদের কাউকে ধরিয়ে দিলে সেটা হবে আমাদের জন্যই একটা লজ্জার ব্যাপার।’
ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। আমরা সবাই মুসলমান এবং উপজাতি। তালেবানরাও মুসলমান এবং উপজাতি। কিন্তু আফগানিস্তানে যুদ্ধরত বিদেশি সেনারা অমুসলিম এবং তাদের এখানে আসারও কোনো অধিকার নেই। আল্লাহ দখলকারীদের বিরুদ্ধে লড়তে বলেছেন। তাই এখানকার লোকজনও দখলকারীদের বিরুদ্ধে লড়ছে। আমাদের আদর্শ ও তালেবানদের আদর্শের মধ্যে মিল রয়েছে। তাই তালেবানদের কখনো এ অঞ্চলে লুকিয়ে থাকতে হয় না।’
জালালউদ্দিন হাক্কানির অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার মালাবি জালালি বলেন, ‘আমরা হাক্কানির নেতৃত্বে মাতৃভূমি রক্ষায় জেহাদ করছি। মার্কিনরা তালেবান সরকারকে উত্খাত করেছে। আমরা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য জিহাদ করছি।’ তিনি বলেন, ‘তালেবানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমরা কেবল আফগানিস্তানেই জিহাদ করেছি। মার্কিনদের ধন্যবাদ, এ কারণে যে তাদের কল্যাণে তালেবানদের জেহাদ আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত—মার্কিনদের এমন উচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে মালাবি জালালি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ওয়াজি-জারদানের মতো শহরগুলোতে হামলা চালাই। এসব শহরে মার্কিন ও আফগানবাহিনীর শক্ত অবস্থান।’
মালাবি বলেন, ‘মার্কিনরা যত বেশি সেনা পাঠাবে, আমাদের হামলার মাত্রাও তত বেড়ে যাবে। এটা মজার ব্যাপারই হবে।
কিন্তু কিসের জন্য এত সব? একটু পেছনে তাকানো যাক। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব দেখল, সন্ত্রাসী হামলায় নিউইয়র্কের আকাশচুম্বী টুইন টাওয়ার কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেল! প্রাণ দিল তাতে নিরপরাধ তিন হাজার ১৭ জন মানুষ। ওই ঘটনায় আহত হয়ে কাতরাচ্ছে ছয় হাজার ২৯১ জনেরও বেশি।
সন্তান হারিয়ে শোকে, ক্ষোভে বেপরোয়া হয়ে উঠল যুক্তরাষ্ট্র। হামলাকারীদের শায়েস্তা করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল তারা। আধুনিক যুগের সবচেয়ে পরিকল্পিত এ হামলার জন্য সন্দেহ করা হলো ইসলাাম জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও এর প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে। তিলমাত্র অপেক্ষা না করে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত হলো মার্কিন সেনারা। তারা হামলা চালাল ওসামা বিন লাদেনের ‘আশ্রয়দাতা’ আফগানিস্তানের ওপর। তাঁর অনুসারীরাও যথাসম্ভব জবাব দিল মার্কিন হামলার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ২০০১ সালের মধ্য অক্টোবরে ন্যাটো বাহিনীর হাতে পতন হলো কাবুলসহ একের পর এক শহরের। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ন্যাটো আর হামিদ কারজাইয়ের বাহিনী আফগানিস্তানে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে।
কিন্তু মার্কিনরা যতই কর্তৃত্ব বজায় রাখুক, তালেবানরা তাদের হাল ছাড়েনি। তালেবানরা এখনো আফগানিস্তানের পর্বত, গুহায় অবস্থান নিয়ে মার্কিনদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালবানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা জালালউদ্দিন হাক্কানি। উপজাতীয় এ ধর্মীয় নেতার নেতৃত্বে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত ও পাকতিকায় তারা লড়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান-সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের পার্বত্য এলাকায় রয়েছে তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তারা উপজাতি হওয়ায় আফগানিস্তানের উপজাতীয়-অধ্যুষিত এলাকায় তাদের রয়েছে ব্যাপক প্রভাব ও সমর্থন।
একজন তরুণ পশতু ভাষার কবি ও সাংবাদিক বলেন, ‘উপজাতীয় এলাকায় আমরা প্রায় সবাই একই জাতিগোষ্ঠীর। এ অঞ্চলের ৯৫ ভাগ লোক তালেবানদের সমর্থন করে। তারা তালেবানদের আশ্রয় দেয়। ব্যবসায়ীরা তাদের অর্থের জোগান দেয়। উপজাতীয় এলাকায় তালেবানরা খুবই শক্তিশালী। তাদের কাউকে ধরিয়ে দিলে সেটা হবে আমাদের জন্যই একটা লজ্জার ব্যাপার।’
ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। আমরা সবাই মুসলমান এবং উপজাতি। তালেবানরাও মুসলমান এবং উপজাতি। কিন্তু আফগানিস্তানে যুদ্ধরত বিদেশি সেনারা অমুসলিম এবং তাদের এখানে আসারও কোনো অধিকার নেই। আল্লাহ দখলকারীদের বিরুদ্ধে লড়তে বলেছেন। তাই এখানকার লোকজনও দখলকারীদের বিরুদ্ধে লড়ছে। আমাদের আদর্শ ও তালেবানদের আদর্শের মধ্যে মিল রয়েছে। তাই তালেবানদের কখনো এ অঞ্চলে লুকিয়ে থাকতে হয় না।’
জালালউদ্দিন হাক্কানির অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার মালাবি জালালি বলেন, ‘আমরা হাক্কানির নেতৃত্বে মাতৃভূমি রক্ষায় জেহাদ করছি। মার্কিনরা তালেবান সরকারকে উত্খাত করেছে। আমরা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য জিহাদ করছি।’ তিনি বলেন, ‘তালেবানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমরা কেবল আফগানিস্তানেই জিহাদ করেছি। মার্কিনদের ধন্যবাদ, এ কারণে যে তাদের কল্যাণে তালেবানদের জেহাদ আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত—মার্কিনদের এমন উচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে মালাবি জালালি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ওয়াজি-জারদানের মতো শহরগুলোতে হামলা চালাই। এসব শহরে মার্কিন ও আফগানবাহিনীর শক্ত অবস্থান।’
মালাবি বলেন, ‘মার্কিনরা যত বেশি সেনা পাঠাবে, আমাদের হামলার মাত্রাও তত বেড়ে যাবে। এটা মজার ব্যাপারই হবে।
No comments