চিকিত্সার জন্য গ্রিসে গেলেন জাইদি
মুক্তির পরপরই ইরাকি সাংবাদিক মুনতাজার আল-জাইদি দেশ ছেড়েছেন। চিকিত্সার জন্য তিনি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গেছেন। জাইদি বলেছেন, কারাবাসে থাকার সময় তাঁর ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি ক্লান্ত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উন্নত চিকিত্সার জন্যই তাঁকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। একটি বিশেষ বিমানে করে এথেন্সের উদ্দেশে বাগদাদ ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে জাইদির পরিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। এ জন্য মুক্তির পরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তিনি একটি বিমানে করে এথেন্সের উদ্দেশে রওনা দেন।
জাইদির ভাই উদে আল জাইদি বলেন, ‘মুক্তির পর জাইদি বিমানে করে সিরিয়া হয়ে এথেন্সে যান। সেখানে তিনি চিকিত্সা নেবেন।’
গত মঙ্গলবার জাইদি মুক্তি পাওয়ার পর বলেন, কারাবাসের সময় তাঁকে নির্যাতন করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাগদাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন জাইদি। বুশ নুয়ে পড়ায় জুতো তাঁর গায়ে লাগেনি। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে অপমান করার অভিযোগে তাঁকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। পরে আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা কমিয়ে এক বছর করা হয়।
মুক্তির পরই কর্মস্থল আল-বাগদাদিয়া টেলিভিশন কার্যালয়ে যান জাইদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘কারাবাসের সময় আমাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। লোহার দণ্ড দিয়ে পেটানো হয়েছে।’ তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মালিকির নিরাপত্তারক্ষীরাও নির্যাতন করেছে।’
জাইদি আরও বলেন, ‘আমি বীর নই। আমি এখন মুক্ত। কিন্তু আমার দেশ এখনো পরাধীন। দেশকে এই দুর্দশায় দেখে আমি অপমানিত বোধ করি। আমার জন্য এটি ছিল এক ধরনের জবাব। ইরাক দখল এবং বুশের মিথ্যাচারের জবাবে আমি এ কাজ করেছি।’
জাইদির ভাই উদে বলেন, ‘এসব কথা বলার পরই জাইদি আত্মগোপনে চলে যান। কারণ, আমরা তাঁর জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।’
উদে এসব কথা বাগদাদে কর্মরত এএফপি সাংবাদিককে বলার আগেই জাইদি সিরিয়া গমন করেন। উদে বলেন, ‘১০ মিনিট হলো আমার ভাই একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দামেস্কের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।’
জাইদির কর্মস্থল আল-বাগদাদিয়া টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ বিমানটির ব্যবস্থা করেছে।
গত মঙ্গলবার টেলিফোনে জাইদির মুক্তির খবর পেলে তাঁর পরিবার ও বন্ধুমহল আনন্দে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। আনন্দঘন এ মুহূর্তটি উদ্যাপন করতে তারা একটি ভেড়া পর্যন্ত জবাই করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তাদের এ উত্সব থেমে যায়। কারণ, মুক্তির পরই জাইদি চিকিত্সা নিতে চলে যান। তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল খুবই খারাপ।
জাইদির চাচাতো ভাই হায়দার বলেন, ‘জাইদিকে চিকিত্সার জন্য গ্রিসে পাঠানো হয়েছে, কারণ তাঁর শরীরে অজ্ঞাত রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি প্রতিনিয়ত মাথাব্যথায় ভুগছেন।
এদিকে জাইদির পরিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। এ জন্য মুক্তির পরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তিনি একটি বিমানে করে এথেন্সের উদ্দেশে রওনা দেন।
জাইদির ভাই উদে আল জাইদি বলেন, ‘মুক্তির পর জাইদি বিমানে করে সিরিয়া হয়ে এথেন্সে যান। সেখানে তিনি চিকিত্সা নেবেন।’
গত মঙ্গলবার জাইদি মুক্তি পাওয়ার পর বলেন, কারাবাসের সময় তাঁকে নির্যাতন করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাগদাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন জাইদি। বুশ নুয়ে পড়ায় জুতো তাঁর গায়ে লাগেনি। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে অপমান করার অভিযোগে তাঁকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। পরে আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা কমিয়ে এক বছর করা হয়।
মুক্তির পরই কর্মস্থল আল-বাগদাদিয়া টেলিভিশন কার্যালয়ে যান জাইদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘কারাবাসের সময় আমাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। লোহার দণ্ড দিয়ে পেটানো হয়েছে।’ তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মালিকির নিরাপত্তারক্ষীরাও নির্যাতন করেছে।’
জাইদি আরও বলেন, ‘আমি বীর নই। আমি এখন মুক্ত। কিন্তু আমার দেশ এখনো পরাধীন। দেশকে এই দুর্দশায় দেখে আমি অপমানিত বোধ করি। আমার জন্য এটি ছিল এক ধরনের জবাব। ইরাক দখল এবং বুশের মিথ্যাচারের জবাবে আমি এ কাজ করেছি।’
জাইদির ভাই উদে বলেন, ‘এসব কথা বলার পরই জাইদি আত্মগোপনে চলে যান। কারণ, আমরা তাঁর জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।’
উদে এসব কথা বাগদাদে কর্মরত এএফপি সাংবাদিককে বলার আগেই জাইদি সিরিয়া গমন করেন। উদে বলেন, ‘১০ মিনিট হলো আমার ভাই একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দামেস্কের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।’
জাইদির কর্মস্থল আল-বাগদাদিয়া টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ বিমানটির ব্যবস্থা করেছে।
গত মঙ্গলবার টেলিফোনে জাইদির মুক্তির খবর পেলে তাঁর পরিবার ও বন্ধুমহল আনন্দে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। আনন্দঘন এ মুহূর্তটি উদ্যাপন করতে তারা একটি ভেড়া পর্যন্ত জবাই করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তাদের এ উত্সব থেমে যায়। কারণ, মুক্তির পরই জাইদি চিকিত্সা নিতে চলে যান। তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল খুবই খারাপ।
জাইদির চাচাতো ভাই হায়দার বলেন, ‘জাইদিকে চিকিত্সার জন্য গ্রিসে পাঠানো হয়েছে, কারণ তাঁর শরীরে অজ্ঞাত রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি প্রতিনিয়ত মাথাব্যথায় ভুগছেন।
No comments