গাজায় ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
গাজায় গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনা অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে। উভয় পক্ষই অনেক ক্ষেত্রে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। জাতিসংঘের তদন্তে তার প্রমাণ মিলেছে। জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা ৫৭৫ পৃষ্ঠার এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উভয় পক্ষকে এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ডস্টোন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে আমাদের তদন্তে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ সম্ভবত তারা তখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও করেছে। তিনি এও বলেন, তাঁদের তদন্তের সময় ইসরায়েল সহযোগিতা দেয়নি।
রিচার্ড গোল্ডস্টোন আরও বলেন, ফিলিস্তিনের ইসলামি জঙ্গিরাও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রকেট ও গোলা নিক্ষেপে তাদের জানমালের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকার লোকজন আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভবন গুঁড়িয়ে গেছে।
জেনেভায় ইসরায়েলের কূটনৈতিক মিশন এক বিবৃতিতে রিচার্ডের তদন্ত মিশনের সমালোচনা করেছে। তদন্তে ইসরায়েল কেন সহযোগিতা দেয়নি তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই তদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্টতই পক্ষপাতিত্বমূলক। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এ জন্য ইসরায়েল শেষমেশ গাজায় সামরিক অভিযানে নামতে বাধ্য হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ গুরুত্বপূর্ণ দিকটিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা রকেট ছুড়ে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেননি। কারণ তাঁরা কেবল আত্মরক্ষার্থেই রকেট ছোড়েন। তিনি এও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যে কারও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
ইসরায়েলের একটি মানবাধিকার গ্রুপ বি’টিসেলেম গত সপ্তাহে জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত গাজা সামরিক অভিযানে এক হাজার ৩৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭৩ জনই বেসামরিক মানুষ। ইসরায়েলি নিহত হয়েছে ১৩ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে তিনজন বেসামরিক নাগরিক ও ১০ সেনাসদস্য।
জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ডস্টোন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে আমাদের তদন্তে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ সম্ভবত তারা তখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও করেছে। তিনি এও বলেন, তাঁদের তদন্তের সময় ইসরায়েল সহযোগিতা দেয়নি।
রিচার্ড গোল্ডস্টোন আরও বলেন, ফিলিস্তিনের ইসলামি জঙ্গিরাও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রকেট ও গোলা নিক্ষেপে তাদের জানমালের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকার লোকজন আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভবন গুঁড়িয়ে গেছে।
জেনেভায় ইসরায়েলের কূটনৈতিক মিশন এক বিবৃতিতে রিচার্ডের তদন্ত মিশনের সমালোচনা করেছে। তদন্তে ইসরায়েল কেন সহযোগিতা দেয়নি তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই তদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্টতই পক্ষপাতিত্বমূলক। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এ জন্য ইসরায়েল শেষমেশ গাজায় সামরিক অভিযানে নামতে বাধ্য হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ গুরুত্বপূর্ণ দিকটিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা রকেট ছুড়ে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেননি। কারণ তাঁরা কেবল আত্মরক্ষার্থেই রকেট ছোড়েন। তিনি এও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যে কারও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
ইসরায়েলের একটি মানবাধিকার গ্রুপ বি’টিসেলেম গত সপ্তাহে জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত গাজা সামরিক অভিযানে এক হাজার ৩৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭৩ জনই বেসামরিক মানুষ। ইসরায়েলি নিহত হয়েছে ১৩ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে তিনজন বেসামরিক নাগরিক ও ১০ সেনাসদস্য।
No comments