কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাস
সম্প্রতি কুষ্টিয়া গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে নেতিবাচক খবরের জন্য, যা একজন কুষ্টিয়াবাসী হয়ে আমার জন্য খুবই লজ্জাকর। প্রথম আলো ধারাবাহিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে এ জেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চরমপন্থী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যের কথা।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলায় এখন প্রায় প্রতিদিনই রক্তের গন্ধ পাওয়া যয়। খুনোখুনির উত্সবে মেতে উঠেছে চরমপন্থী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৬৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ায় (প্রথম আলো, ২০ আগস্ট, ২০০৯)।
এরই মধ্যে গত ২০ আগস্ট পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালক কুষ্টিয়ায় এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। কুষ্টিয়ায় হঠাত্ এই খুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে সড়ক ও জনপথের ১৮ কোটি টাকার দরপত্রের নিয়ন্ত্রণ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (জিকে প্রকল্প), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ (প্রথম আলো, ২০ আগস্ট, ২০০৯) আর এর পেছনে মদদ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, রাজনৈতিক মদদ না থাকলে এ ধরনের বিস্তার ঘটতে পারে না (প্রথম আলো, ২০ আগস্ট, ২০০৯)। তিনি যথার্থই বলেছেন।
এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা কিছু এলাকায় ফিরে এসে তাদের কার্যক্রম আবার পুরোদমে শুরু করেছে। কুষ্টিয়া জেলায় এখন সরকারি দল ও বিরোধী দলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন পদ খল করে রয়েছে। এতে তাদের সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজি কার্যকলাপ আরও সহজ হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী আপনারাই তো বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তবে কেন এসব সন্ত্রাসীকে আপনাদের দলে জায়গা দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছেন। আমরা তো আপনাদের কাছে বেশি কিছু চাই না। আমরা চাই একটু শান্তি।
মুজিবর রহমান, কুষ্টিয়া।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলায় এখন প্রায় প্রতিদিনই রক্তের গন্ধ পাওয়া যয়। খুনোখুনির উত্সবে মেতে উঠেছে চরমপন্থী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৬৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ায় (প্রথম আলো, ২০ আগস্ট, ২০০৯)।
এরই মধ্যে গত ২০ আগস্ট পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালক কুষ্টিয়ায় এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। কুষ্টিয়ায় হঠাত্ এই খুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে সড়ক ও জনপথের ১৮ কোটি টাকার দরপত্রের নিয়ন্ত্রণ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (জিকে প্রকল্প), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ (প্রথম আলো, ২০ আগস্ট, ২০০৯) আর এর পেছনে মদদ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, রাজনৈতিক মদদ না থাকলে এ ধরনের বিস্তার ঘটতে পারে না (প্রথম আলো, ২০ আগস্ট, ২০০৯)। তিনি যথার্থই বলেছেন।
এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা কিছু এলাকায় ফিরে এসে তাদের কার্যক্রম আবার পুরোদমে শুরু করেছে। কুষ্টিয়া জেলায় এখন সরকারি দল ও বিরোধী দলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন পদ খল করে রয়েছে। এতে তাদের সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজি কার্যকলাপ আরও সহজ হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী আপনারাই তো বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তবে কেন এসব সন্ত্রাসীকে আপনাদের দলে জায়গা দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছেন। আমরা তো আপনাদের কাছে বেশি কিছু চাই না। আমরা চাই একটু শান্তি।
মুজিবর রহমান, কুষ্টিয়া।
No comments