আল-কায়েদা আফগানিস্তানে বিদেশিদের অপহরণের নির্দেশ দিয়েছে
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে একটি নতুন কৌশলের পরিকল্পনা করেছে আল-কায়েদা। সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রতি বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করে মার্কিনদের হাতে বন্দী তালেবান ও আল-কায়েদার সদস্যদের মুক্তির জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে।
আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মুস্তাফা হামিদ গত জুলাই মাসে এ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আবু ওয়ালিদ আল মাসরি নামেও পরিচিত। একসময় আমেরিকার গুয়ানতানামো বে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে গতকাল বুধবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক সন্ত্রাসবিরোধী গবেষক লিহ ফারাল এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় তিনি ইন্টারনেটে আল-কায়েদার একটি দলিল থেকে এ তথ্য জানতে পারেন। গত জুলাইয়ের শেষদিকে মুস্তাফা হামিদ ইন্টারনেটের মাধ্যমে তালেবানদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
ইন্টারনেটে মুস্তাফা হামিদ বলেছেন, এ বছরের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে একজন মার্কিন সেনা অপহরণ করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করে তালেবান ও আল-কায়েদার সদস্যদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে মার্কিন সেনা অপহরণের এ ঘটনা নজির হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুস্তাফা হামিদ বিদেশি নাগরিকদের অপহরণের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বিদেশি নাগরিক ও সেনাসদস্যদের টার্গেট করার জন্য এখনই হচ্ছে মোক্ষম সময়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। তাই তালেবান নেতাদেরও তাঁদের অভিযানে পরিবর্তন আনা দরকার। বিদেশি নাগরিকদের রাস্তা থেকে তুলে আনা এখন তালেবান নেতাদের ফরজ হয়ে গেছে। একমাত্র এ কৌশলের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বন্দীদের মুক্ত করে আনা সম্ভব হবে।
লিহ ফারাল বলেন, মুস্তাফা হামিদ তাঁর লেখায় যুক্তি দেখিয়েছেন, মার্কিনরা যেভাবে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং তাদের আটক করে, তাতে করে বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করা অন্যায় কিছু নয়। শত্রুরা যা করছে, তালেবানদেরও তা-ই করা উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী দূত বিল প্যাটারসন বলেছেন, আল-কায়েদা, উত্তর আফ্রিকায় তত্পর জঙ্গি এবং ফিলিপাইনে আবু সায়াফ বিদ্রোহী গোষ্ঠী অপহরণের কৌশল অবলম্বন করে এলেও তালেবানরা এ কৌশলের আশ্রয় নেবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গত জুলাইয়ে মুস্তাফা হামিদের বিদেশিদের অপহরণের নিদের্েশর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিক স্টিফেন ফ্যারেল ও তাঁর আফগান সহকর্মী অপহূত হন। পরে ব্রিটিশ সাংবাদিক ফারেল মুক্তি পেলেও তাঁর সহকর্মীকে হত্যা করে তালেবানরা।
আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মুস্তাফা হামিদ গত জুলাই মাসে এ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আবু ওয়ালিদ আল মাসরি নামেও পরিচিত। একসময় আমেরিকার গুয়ানতানামো বে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে গতকাল বুধবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক সন্ত্রাসবিরোধী গবেষক লিহ ফারাল এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় তিনি ইন্টারনেটে আল-কায়েদার একটি দলিল থেকে এ তথ্য জানতে পারেন। গত জুলাইয়ের শেষদিকে মুস্তাফা হামিদ ইন্টারনেটের মাধ্যমে তালেবানদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
ইন্টারনেটে মুস্তাফা হামিদ বলেছেন, এ বছরের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে একজন মার্কিন সেনা অপহরণ করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করে তালেবান ও আল-কায়েদার সদস্যদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে মার্কিন সেনা অপহরণের এ ঘটনা নজির হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুস্তাফা হামিদ বিদেশি নাগরিকদের অপহরণের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বিদেশি নাগরিক ও সেনাসদস্যদের টার্গেট করার জন্য এখনই হচ্ছে মোক্ষম সময়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। তাই তালেবান নেতাদেরও তাঁদের অভিযানে পরিবর্তন আনা দরকার। বিদেশি নাগরিকদের রাস্তা থেকে তুলে আনা এখন তালেবান নেতাদের ফরজ হয়ে গেছে। একমাত্র এ কৌশলের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বন্দীদের মুক্ত করে আনা সম্ভব হবে।
লিহ ফারাল বলেন, মুস্তাফা হামিদ তাঁর লেখায় যুক্তি দেখিয়েছেন, মার্কিনরা যেভাবে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং তাদের আটক করে, তাতে করে বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করা অন্যায় কিছু নয়। শত্রুরা যা করছে, তালেবানদেরও তা-ই করা উচিত।
অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী দূত বিল প্যাটারসন বলেছেন, আল-কায়েদা, উত্তর আফ্রিকায় তত্পর জঙ্গি এবং ফিলিপাইনে আবু সায়াফ বিদ্রোহী গোষ্ঠী অপহরণের কৌশল অবলম্বন করে এলেও তালেবানরা এ কৌশলের আশ্রয় নেবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গত জুলাইয়ে মুস্তাফা হামিদের বিদেশিদের অপহরণের নিদের্েশর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিক স্টিফেন ফ্যারেল ও তাঁর আফগান সহকর্মী অপহূত হন। পরে ব্রিটিশ সাংবাদিক ফারেল মুক্তি পেলেও তাঁর সহকর্মীকে হত্যা করে তালেবানরা।
No comments