দেল পোত্রোর নতুন জীবন
ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালের উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি। নির্ঘুম কেটেছে ফাইনালের রাতটাও। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না ইউএস ওপেন ফাইনালে তিনি সত্যিই হারিয়ে দিয়েছেন রজার ফেদেরারকে। পরদিন সকালে বারবার দেখেছেন ফাইনালের ভিডিও, ঢুঁ মেরেছেন ইন্টারনেটে, পত্রপত্রিকায়। এর পরই নিজের কীর্তিকে বিশ্বাস করেছেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো।
নির্ভার দেল পেত্রো এর পর বেরিয়ে গেছেন ম্যানহাটন শহরে। ফ্লাশিং মিডোর ইস্পাত-কঠিন ২০ বছর বয়সী তরুণের সঙ্গে এই দেল পোত্রোর বিশাল তফাত্। কেতাদুরস্ত জিনস, সাদা ফুল শার্ট, আর সোয়েটার—৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা আর্জেন্টাইন যেন পুরোদস্তুর কোনো মডেল। যেখানেই যাচ্ছেন, মুহূর্তেই ছেঁকে ধরছেন শত শত ভক্ত। অবধারিতভাবেই চলে আসছিল ফাইনালের প্রসঙ্গ, সুখস্মৃতিটা রোমন্থন করলেন দেল পোত্রো নিজেও, ‘বলটিকে যখন বাইরে চলে যেতে দেখলাম, আমার উত্তেজনা—সেটা অদ্ভুত অনুভূতি। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
শুধু ফেদেরারকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন বলেই নয়, টেনিস বিশ্বে তোলপাড় দেল পোত্রোর জেতার ধরনেও। নার্ভাস একটা শুরুর পর আস্তে আস্তে খুঁজে পেয়েছেন নিজের সহজাত খেলা। ২-১ সেটে পিছিয়ে থাকার পর দুর্দান্তভাবে ফিরেছেন ম্যাচে। দেল পোত্রো জানালেন সেই সময়ে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার মন্ত্রও, ‘‘পঞ্চম সেটে শুরুর সময় নিজেকে বলেছি, ‘এই সুযোগ, হয় মারো, নয় মরো’।’’
আলো ঝলমল নিউইয়র্কেও আর এক মুহূর্তও থাকতে ইচ্ছে করছে না তাঁর। মন চলে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার ছোট্ট মফস্বল শহর টান্ডিলে, যেখানে তাঁর ফেরার অপেক্ষায় তাঁর বাবা ড্যানিয়েল, মা প্যাট্রিসিয়া, বোন আর প্রিয় শহরের হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার রাতেই আর্জেন্টিনা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। স্বদেশে ফিরে কী করবেন? ‘পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠব।’ কতটা এই আনন্দ?‘ আমি জানি না, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই পাগলের মতো আনন্দ হবে।’
আর টেনিস? ভবিষ্যত্ লক্ষ্য? ‘আপাতত কিছুদিন খেলতে চাই না, আমার বিশ্রাম দরকার’—বিশ্ব টেনিসের নতুন তারকা জানালেন সদ্য পাওয়া সাফল্যে ডুবে থাকতে চান আরও কিছুদিন।
নির্ভার দেল পেত্রো এর পর বেরিয়ে গেছেন ম্যানহাটন শহরে। ফ্লাশিং মিডোর ইস্পাত-কঠিন ২০ বছর বয়সী তরুণের সঙ্গে এই দেল পোত্রোর বিশাল তফাত্। কেতাদুরস্ত জিনস, সাদা ফুল শার্ট, আর সোয়েটার—৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা আর্জেন্টাইন যেন পুরোদস্তুর কোনো মডেল। যেখানেই যাচ্ছেন, মুহূর্তেই ছেঁকে ধরছেন শত শত ভক্ত। অবধারিতভাবেই চলে আসছিল ফাইনালের প্রসঙ্গ, সুখস্মৃতিটা রোমন্থন করলেন দেল পোত্রো নিজেও, ‘বলটিকে যখন বাইরে চলে যেতে দেখলাম, আমার উত্তেজনা—সেটা অদ্ভুত অনুভূতি। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
শুধু ফেদেরারকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন বলেই নয়, টেনিস বিশ্বে তোলপাড় দেল পোত্রোর জেতার ধরনেও। নার্ভাস একটা শুরুর পর আস্তে আস্তে খুঁজে পেয়েছেন নিজের সহজাত খেলা। ২-১ সেটে পিছিয়ে থাকার পর দুর্দান্তভাবে ফিরেছেন ম্যাচে। দেল পোত্রো জানালেন সেই সময়ে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার মন্ত্রও, ‘‘পঞ্চম সেটে শুরুর সময় নিজেকে বলেছি, ‘এই সুযোগ, হয় মারো, নয় মরো’।’’
আলো ঝলমল নিউইয়র্কেও আর এক মুহূর্তও থাকতে ইচ্ছে করছে না তাঁর। মন চলে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার ছোট্ট মফস্বল শহর টান্ডিলে, যেখানে তাঁর ফেরার অপেক্ষায় তাঁর বাবা ড্যানিয়েল, মা প্যাট্রিসিয়া, বোন আর প্রিয় শহরের হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার রাতেই আর্জেন্টিনা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। স্বদেশে ফিরে কী করবেন? ‘পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠব।’ কতটা এই আনন্দ?‘ আমি জানি না, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই পাগলের মতো আনন্দ হবে।’
আর টেনিস? ভবিষ্যত্ লক্ষ্য? ‘আপাতত কিছুদিন খেলতে চাই না, আমার বিশ্রাম দরকার’—বিশ্ব টেনিসের নতুন তারকা জানালেন সদ্য পাওয়া সাফল্যে ডুবে থাকতে চান আরও কিছুদিন।
No comments