তেজস বিধ্বস্ত: ভারতের যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
মার্কিন মিচেল ইনস্টিটিউট ফর অ্যারোস্পেস স্টাডিজ- এর নির্বাহী পরিচালক ডগলাস এ. বার্কি বলেন, এ ধরনের প্রদর্শনীতে দুর্ঘটনার চিত্র অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যেখানে দেশগুলো নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখায়। সেখানে একটি ক্র্যাশ ঠিক উল্টো বার্তা দেয়। তবে তিনি মনে করেন, নেতিবাচক প্রচার সত্ত্বেও তেজস ভবিষ্যতে গতি ফিরে পেতে পারে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এয়ারশো আয়োজন করে দুবাই। যেখানে বিভিন্ন দেশের তৈরি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। এমন এমটি বড় মঞ্চে দুর্ঘটনা আজকাল বিরল। এর আগে ১৯৮৯ ও ১৯৯৯ সালে প্যারিস এয়ারশোতে রাশিয়ান সু-৩০ এবং মিগ-২৯ বিধ্বস্ত হলেও পরে দেশগুলো ওই মডেলের বিমান বিক্রি করেছে। বার্কির মতে, যুদ্ধবিমান কেনাবেচা মূলত রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর নির্ভরশীল।
তেজস প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৮০-এর দশকে। রাশিয়ার মিগ-২১ এর বিপরীতে প্রতিস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে। এটির উন্নয়ন ও উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল)। দেশের জন্য ১৮০টি তেজস এমকে-১এ অর্ডার থাকলেও জিই এয়ারোস্পেসের ইঞ্জিন সরবরাহ-সংকটের কারণে এখনো তা ডেলিভারি শুরু হয়নি।

No comments