মৃত্যু উপত্যকা: কাশ্মিরের তরুণ ও দুরন্ত দল by ফাহাদ শাহ
তখন
ভোর পৌনে ছয়টা। হাজার হাজার মানুষ ছুটছে কম্বলে ঢাকা লাশবাসী একটি খাটিয়ার
পেছনে। কেউ পুস্প বর্ষণ করছে লাশের ওপর। খাটিয়ায় করে হিজবুল মুজাহিদিন
নেতা বুরহান মুজাফ্ফর ওয়ানির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দাফনের জন্য।
২০১৬ সালের ৯ জুলাই সকাল সাড়ে নয়টার দিকে যখন ওয়ানির লাশের জানাজা হচ্ছিল তখনো জানাজার মাঠের দিকে ছুটে আসছিলো হাজার হাজার মানুষ। দুপুর নাগাদ কমব্যাট পোশাকে সজ্জিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল তরুণকে জনতার সমুদ্রে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
শ্রীনগরের ৪২ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তিরল গ্রামে ওয়ানি ছিলো মাত্র ২১ বছরের এক তরুণ। ভারত শাসিত কাশ্মিরে সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা ওয়ানি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দিতে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করেন। তার ছবি ও শানিত বক্তব্যগুলো সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে। ছবিগুলোতে দেখা যায় কোরআন সামনে আর কালাশনিকভ রাইফেল পাশে নিয়ে সহযোদ্ধ পরিবেষ্টিত ওয়ানি ক্যামেরার সামনে বসে আছেন। সেখান থেকে তিনি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ এবং তরুণ কাশ্মিরিদের অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। সামাজিক গণমাধ্যমে ওয়ানির ডাক তাকে তরুণদের আইকনে পরিণত করে। প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিতে এগিয়ে আসে নতুন নতুন তরুণ।
ওয়ানি’র জীবনযাত্রাও তার অনুসারিদের কাছে কিংবদন্তিতে পরিণত হয়। অথচ একসময় সে ছিলো তিরলের অন্যসব শিশুর মতোই সাধারণ এক শিশু। ছোটদের মতো পথে ঘাটে খেলা করতো। ২০১০ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য তাকে, তার ভাই খালিদ ও আরো তিনজন পথচারিকে অহেতুক মারধর করে। ওই বছরই বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেয় সে। তখন সে মাত্র ১৬ বছর বয়সী এক বালক।
কাশ্মিরিদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এটা নিত্যনৈমিত্তিক আচরণ। শুধু ২০১০ সালেই নিরাপত্তা বাহিনী ১২০ বেসামরিক কাশ্মিরিকে গুলি করে মেরেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচারে কাশ্মিরি তরুণরা আজ অতিষ্ঠ। একদিকে ভারতপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত, অন্যদিকে স্বাধীনতাপন্থী দলগুলোর জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের আগের সেই বলিষ্ঠতা ও ঐক্য নেই।
এতদিন কাশ্মিরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর প্রতিও জনসমর্থন ছিলো কম। কারণ সেগুলোর বেশিরভাগ যোদ্ধা ছিলো উপত্যকার বাইরে থেকে আসা। এর অনেকগুলোর ঘাঁটি পাাকিস্তানে। নয়াদিল্লি ও পাকিস্তান দু’দেশই তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দাবার ছকে কাশ্মিরকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এই সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছিলো ওয়ানি ও তার সহযোদ্ধারা। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও সরকারি স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা। ২০১৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই একজন ভয়ংকর ও নির্ভিক যোদ্ধা হিসেবে ওয়ানির নাম কাশ্মিরবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ বছর বয়সে সে কাশ্মিরের আজাদি আন্দোলনের প্রতীক বা ‘পোস্টার বয়’-এ পরিণত হয়। রাজ্যের তরুণদের কাছে সে হয়ে ওঠে প্রতিরোধ আন্দোলনের কাক্সিক্ষত মুখ।
ওয়ানির বিদ্রোহ জীবনকাল ছিলো ছয় বছর। এসময় সে অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও প্রতিরোধ দর্শনের অনুরক্ত হয়ে ওঠে।
২০১৬ সালের ৮ জুলাই বিকেলে ভারতীয় সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। সরকার সেদিন কাশ্মিরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। এমনকি মোবাইল ফোনের যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এতে ওয়ানির মৃত্যু ও জানাজার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি। কাশ্মিরের বিভিন্ন শহর, নগর ও গ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই দিন আরো ১৬ কাশ্মিরি জীবন দেয়।
ওয়ানি’র মৃত্যুর পরের দিনগুলোতে বিক্ষোভ ও মৃত্যুর মিছিল আরো দীর্ঘ হয়। কাশ্মিরের মানবাধিকার গ্রুপ ‘জম্মু-কাশ্মির কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটি’র এক হিসাবে বলা হয়, ২০১৬ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ১৪৫ বেসামরিক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে। আরো ১৫ হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে এমন ১০০০ আছে ভারতীয় বাহিনীর পেলেট-বুলেটের ঘায়ে যাদের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
সহিংসতা শুধু বিক্ষোভে জায়গাগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। মানবাধিকার গ্রুপটির হিসাব মতে গত বছর ১৩৮ বিদ্রোহী ও ১০০ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও নিহত হয়। তবে, ভারত সরকারের হিসাবে বিদ্রোহী নিহতের সংখ্যা ১৬৫। যা বিগত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওয়ানির মৃত্যু উপত্যকার চিত্র পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। তরুণ কাশ্মিরিরা এখন আর প্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদিদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করতে ভয় পায় না। তারা বলে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদিরাই আমাদের হিরো।
তরুণ বিচ্ছিন্নতাবাদিরা আজ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে। হাতে কালাশনিকভ রাইফেল। তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনগণকে স্বাগত জানায়। প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। রাতের বেলা গ্রামে গিয়ে থাকতেও ভয় পাচ্ছে না।
বিচ্ছিন্নতাবাদি আছে জানার পরও তাদের পাকরাও করতে ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে কোথাও অভিযান চালানো দুরুহ হয়ে উঠেছে। সেনা অভিযান শুরু হলে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তারা বিদ্রোহীদের পক্ষে স্লোগান দেয়, তাদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য তরুণরা একটি নিজস্ব গোয়েন্দা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এর ফলে বিদ্রোহীরা নিরাপদে চলাফেরা করার সুযোগ পাচ্ছে।
ওয়ানির পর আরো বেশ কয়েকজন স্বাধীনতাকামীকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা। প্রতিটি হত্যার পর উপত্যকা আগের চেয়ে আরো বেশি উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রতিটি তরুণ কাশ্মিরির অন্তর এখন স্বাধীনতাকামী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পরিপুষ্ট।
[লেখক একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, লেখাটি ‘দি হেরাল্ড’ পত্রিকার জুলাই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে]
২০১৬ সালের ৯ জুলাই সকাল সাড়ে নয়টার দিকে যখন ওয়ানির লাশের জানাজা হচ্ছিল তখনো জানাজার মাঠের দিকে ছুটে আসছিলো হাজার হাজার মানুষ। দুপুর নাগাদ কমব্যাট পোশাকে সজ্জিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল তরুণকে জনতার সমুদ্রে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
শ্রীনগরের ৪২ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তিরল গ্রামে ওয়ানি ছিলো মাত্র ২১ বছরের এক তরুণ। ভারত শাসিত কাশ্মিরে সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা ওয়ানি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দিতে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করেন। তার ছবি ও শানিত বক্তব্যগুলো সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে। ছবিগুলোতে দেখা যায় কোরআন সামনে আর কালাশনিকভ রাইফেল পাশে নিয়ে সহযোদ্ধ পরিবেষ্টিত ওয়ানি ক্যামেরার সামনে বসে আছেন। সেখান থেকে তিনি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ এবং তরুণ কাশ্মিরিদের অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। সামাজিক গণমাধ্যমে ওয়ানির ডাক তাকে তরুণদের আইকনে পরিণত করে। প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিতে এগিয়ে আসে নতুন নতুন তরুণ।
ওয়ানি’র জীবনযাত্রাও তার অনুসারিদের কাছে কিংবদন্তিতে পরিণত হয়। অথচ একসময় সে ছিলো তিরলের অন্যসব শিশুর মতোই সাধারণ এক শিশু। ছোটদের মতো পথে ঘাটে খেলা করতো। ২০১০ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য তাকে, তার ভাই খালিদ ও আরো তিনজন পথচারিকে অহেতুক মারধর করে। ওই বছরই বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেয় সে। তখন সে মাত্র ১৬ বছর বয়সী এক বালক।
কাশ্মিরিদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এটা নিত্যনৈমিত্তিক আচরণ। শুধু ২০১০ সালেই নিরাপত্তা বাহিনী ১২০ বেসামরিক কাশ্মিরিকে গুলি করে মেরেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচারে কাশ্মিরি তরুণরা আজ অতিষ্ঠ। একদিকে ভারতপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত, অন্যদিকে স্বাধীনতাপন্থী দলগুলোর জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের আগের সেই বলিষ্ঠতা ও ঐক্য নেই।
এতদিন কাশ্মিরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর প্রতিও জনসমর্থন ছিলো কম। কারণ সেগুলোর বেশিরভাগ যোদ্ধা ছিলো উপত্যকার বাইরে থেকে আসা। এর অনেকগুলোর ঘাঁটি পাাকিস্তানে। নয়াদিল্লি ও পাকিস্তান দু’দেশই তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দাবার ছকে কাশ্মিরকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এই সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছিলো ওয়ানি ও তার সহযোদ্ধারা। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও সরকারি স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা। ২০১৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই একজন ভয়ংকর ও নির্ভিক যোদ্ধা হিসেবে ওয়ানির নাম কাশ্মিরবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ বছর বয়সে সে কাশ্মিরের আজাদি আন্দোলনের প্রতীক বা ‘পোস্টার বয়’-এ পরিণত হয়। রাজ্যের তরুণদের কাছে সে হয়ে ওঠে প্রতিরোধ আন্দোলনের কাক্সিক্ষত মুখ।
ওয়ানির বিদ্রোহ জীবনকাল ছিলো ছয় বছর। এসময় সে অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও প্রতিরোধ দর্শনের অনুরক্ত হয়ে ওঠে।
২০১৬ সালের ৮ জুলাই বিকেলে ভারতীয় সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। সরকার সেদিন কাশ্মিরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। এমনকি মোবাইল ফোনের যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এতে ওয়ানির মৃত্যু ও জানাজার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি। কাশ্মিরের বিভিন্ন শহর, নগর ও গ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই দিন আরো ১৬ কাশ্মিরি জীবন দেয়।
ওয়ানি’র মৃত্যুর পরের দিনগুলোতে বিক্ষোভ ও মৃত্যুর মিছিল আরো দীর্ঘ হয়। কাশ্মিরের মানবাধিকার গ্রুপ ‘জম্মু-কাশ্মির কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটি’র এক হিসাবে বলা হয়, ২০১৬ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ১৪৫ বেসামরিক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে। আরো ১৫ হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে এমন ১০০০ আছে ভারতীয় বাহিনীর পেলেট-বুলেটের ঘায়ে যাদের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
সহিংসতা শুধু বিক্ষোভে জায়গাগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। মানবাধিকার গ্রুপটির হিসাব মতে গত বছর ১৩৮ বিদ্রোহী ও ১০০ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও নিহত হয়। তবে, ভারত সরকারের হিসাবে বিদ্রোহী নিহতের সংখ্যা ১৬৫। যা বিগত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওয়ানির মৃত্যু উপত্যকার চিত্র পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। তরুণ কাশ্মিরিরা এখন আর প্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদিদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করতে ভয় পায় না। তারা বলে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদিরাই আমাদের হিরো।
তরুণ বিচ্ছিন্নতাবাদিরা আজ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে। হাতে কালাশনিকভ রাইফেল। তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনগণকে স্বাগত জানায়। প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। রাতের বেলা গ্রামে গিয়ে থাকতেও ভয় পাচ্ছে না।
বিচ্ছিন্নতাবাদি আছে জানার পরও তাদের পাকরাও করতে ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে কোথাও অভিযান চালানো দুরুহ হয়ে উঠেছে। সেনা অভিযান শুরু হলে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তারা বিদ্রোহীদের পক্ষে স্লোগান দেয়, তাদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য তরুণরা একটি নিজস্ব গোয়েন্দা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এর ফলে বিদ্রোহীরা নিরাপদে চলাফেরা করার সুযোগ পাচ্ছে।
ওয়ানির পর আরো বেশ কয়েকজন স্বাধীনতাকামীকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা। প্রতিটি হত্যার পর উপত্যকা আগের চেয়ে আরো বেশি উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রতিটি তরুণ কাশ্মিরির অন্তর এখন স্বাধীনতাকামী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পরিপুষ্ট।
[লেখক একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, লেখাটি ‘দি হেরাল্ড’ পত্রিকার জুলাই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে]
কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলায় গাছে চড়ে হিজবুল মুজহিদিন নেতার দাফন দেখছে মানুষ |
No comments