কথা এনেছ, দাও by কচি রেজা
---১---
আমার পৃথক আকাশ, আমি শেষ রাতের নক্ষত্র
সৌর ঝড়ে নিভে গিয়ে
অথবা ছিলাম বালুর নিচে
শাদা হয়ে গিয়েছে হাড়
ফুটে উঠব হয়ত কোনো আয়নায়
কেউ তার মতো, আমি কারো মতো
ভিন্ন ভিন্ন গাছের নামে
একরাশ পাতার মধ্যে অহংকারী আমি
কোনো এক সুস্বাদু ফলের আশ্চর্য প্রতিভার কাছে
চুপ করে বসে থাকি।
----২----
একমাত্র নিখুঁত অভিনয় জানে অন্ধরা
যারা বধির উপনিষদ শোনে তারা
বাদামী গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে বিপুল হর্ন দিয়ে,
আধেক কুঁকড়ে বরফের ছবি তুলছে ঘুলঘুলি
দূরের স্টেশন থেকে উঠছে পোড়া গন্ধ
একচাঙড় শাদা বরফ পিষছে শীতপ্রধান দেশের কেউ
জুতোর সাথে যাবার ইচ্ছে কিন্তু খুঁজে পাচ্ছি না,
নাভীর দোষ নেই
আত্মহত্যার চামচে আটকে গেছে পার্পল দাঁত।
----৩----
আমাকে চঞ্চল করে আমার নাম! ভিতরে স্নাত করে এই উচ্চারণ! দাবদাহে যার জন্ম তার নাম নীরজা কেন রেখেছ, বাবা!
মাছের কাঁটার মত জীবন বিঁধে আছে গলায়! এখন ঢোক গিলতে গেলে যে যন্ত্রণা, সে আমি
তোমার জামার আস্তিন দিয়ে, তোমার
পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুছে ফেলি!
----৪----
শেষ পর্যন্ত সস্তা নেশাটাই বেছে নিই
হাঁটতে থাকি যেসব পথে হাঁটিনি এযাবত
সূর্যাস্ত পর্যন্ত বরাদ্দ ছিল
ফুল
তুমি
না হেঁটে ভেসেই গেলাম
ভাসতে ইচ্ছে হল আমার
----৫----
তোমার দাঁড়িয়ে থাকা ভাবাচ্ছে না
যেভাবে গঠন নিয়ে
সামান্য দূর থেকেও এই হেলান দেওয়ার গাছটুকু
তার অভিনয়টুকু ঝরে পড়া এবং তারপর যা কিছু তোমার আমার
বোঝার ভুলে আমরা যা করেছি বহুবার...
কথোপকথনের দোলাচলে হিম হয়ে
আঁকড়ে ধরেছি নিজেই নিজেকে
কম্পন দেখোনি
রক্ত ঝরে পড়া এবং হৃদয় মুছতে মুছতে
পাথর ভুল করেনি
লক্ষ্যভেদ নিয়ে।
আমার পৃথক আকাশ, আমি শেষ রাতের নক্ষত্র
সৌর ঝড়ে নিভে গিয়ে
অথবা ছিলাম বালুর নিচে
শাদা হয়ে গিয়েছে হাড়
ফুটে উঠব হয়ত কোনো আয়নায়
কেউ তার মতো, আমি কারো মতো
ভিন্ন ভিন্ন গাছের নামে
একরাশ পাতার মধ্যে অহংকারী আমি
কোনো এক সুস্বাদু ফলের আশ্চর্য প্রতিভার কাছে
চুপ করে বসে থাকি।
----২----
একমাত্র নিখুঁত অভিনয় জানে অন্ধরা
যারা বধির উপনিষদ শোনে তারা
বাদামী গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে বিপুল হর্ন দিয়ে,
আধেক কুঁকড়ে বরফের ছবি তুলছে ঘুলঘুলি
দূরের স্টেশন থেকে উঠছে পোড়া গন্ধ
একচাঙড় শাদা বরফ পিষছে শীতপ্রধান দেশের কেউ
জুতোর সাথে যাবার ইচ্ছে কিন্তু খুঁজে পাচ্ছি না,
নাভীর দোষ নেই
আত্মহত্যার চামচে আটকে গেছে পার্পল দাঁত।
----৩----
আমাকে চঞ্চল করে আমার নাম! ভিতরে স্নাত করে এই উচ্চারণ! দাবদাহে যার জন্ম তার নাম নীরজা কেন রেখেছ, বাবা!
মাছের কাঁটার মত জীবন বিঁধে আছে গলায়! এখন ঢোক গিলতে গেলে যে যন্ত্রণা, সে আমি
তোমার জামার আস্তিন দিয়ে, তোমার
পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুছে ফেলি!
----৪----
শেষ পর্যন্ত সস্তা নেশাটাই বেছে নিই
হাঁটতে থাকি যেসব পথে হাঁটিনি এযাবত
সূর্যাস্ত পর্যন্ত বরাদ্দ ছিল
ফুল
তুমি
না হেঁটে ভেসেই গেলাম
ভাসতে ইচ্ছে হল আমার
----৫----
তোমার দাঁড়িয়ে থাকা ভাবাচ্ছে না
যেভাবে গঠন নিয়ে
সামান্য দূর থেকেও এই হেলান দেওয়ার গাছটুকু
তার অভিনয়টুকু ঝরে পড়া এবং তারপর যা কিছু তোমার আমার
বোঝার ভুলে আমরা যা করেছি বহুবার...
কথোপকথনের দোলাচলে হিম হয়ে
আঁকড়ে ধরেছি নিজেই নিজেকে
কম্পন দেখোনি
রক্ত ঝরে পড়া এবং হৃদয় মুছতে মুছতে
পাথর ভুল করেনি
লক্ষ্যভেদ নিয়ে।
No comments