ফিরে দেখা ন্যাটোর ইতিহাস
উত্তর
আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো (ইংরেজি: North Atlantic Treaty
Organisation বা NATO; ফরাসি: Organisation du traité de l'Atlantique Nord
বা OTAN) ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট।
ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে
অঙ্গীকারাবদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য।
এছাড়া তুরস্কও এই জোটের সদস্য। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ১২টি। ন্যাটোর
বর্তমান সদর দপ্তর যদিও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিলো
ফ্রান্সের প্যারিসে। এই সামরিক জোটের এস্যোসিয়েট সদস্য দেশ রাশিয়া সদস্য
নয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও আলবেনিয়া ই মুসলিম দেশ। জেসন
স্টলবারবার্গ বর্তমান ও তের ন্যাটো মহাসচিবরূপে দায়িত্ব পালন করছেন।"জেস
স্টলবারবার্গ (জন্ম ১৬ মার্চ, ১৯৫৯) একজন নরওয়েজিয়ান রাজনীতিবিদ ন্যাটো
একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে
অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ২৯। সর্বশেষ যোগ দেয়
মন্টিনেগ্রো। ২০০৯ সালের ১লা এপ্রিল আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোতে
যোগ দেয়। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক
খরচের প্রায় ৭০ ভাগ।
ন্যাটো (নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন)৷ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট
ন্যাটো৷ বর্তমানে এর সদস্য দেশ মোট ২৯টি৷ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ন্যাটো পার
করছে তার ছয় দশক৷ ফিরে দেখা যাক ন্যাটোর সেই দীর্ঘ পথটি কেমন ছিল৷ ৪ এপ্রিল
১৯৪৯: ওয়াশিংটনে ন্যাটোর চুক্তি স্বাক্ষর৷
প্রতিষ্ঠাকালীন রাষ্ট্রসমূহ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, গ্রেট বৃটেন, ক্যানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইটালি, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, নরওয়ে ও পর্তুগাল৷
ফেব্রুয়ারি ১৯৫২: লিসবন সম্মেলনে জোটের মহাসচিব (সেক্রেটারি জেনারেল)-এর পদ তৈরি৷
৬ মে ১৯৫৫: ন্যাটো জোটে ফেডারেল প্রজাতন্ত্রী জার্মানির প্রবেশ৷
১৪ মে ১৯৫৫: পশ্চিমি প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর বিপরীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন গড়ে তোলে ওয়ারস জোট৷ সঙ্গী আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (জিডিআর), পোল্যান্ড, রুমেনিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া আর হাঙ্গেরি৷
১০ মার্চ ১৯৬৬: ফরাসী প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গল ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে ফ্রান্সের বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করলেন৷ পরের বছর প্যারিস থেকে ব্রাসেলস-এ সরিয়ে নেয়া হয় ন্যাটোর সদর দপ্তর৷
১জুলাই ১৯৯১: ওয়ারস জোটের আনুষ্ঠানিক অবলুপ্তি৷
১১ জুলাই ১৯৯৫: স্রেবরেনিৎসায় বসনীয় সার্বদের ওপর ন্যাটোর বিমান হামলা৷ লক্ষ্য বসনিয়া-হের্ৎসেগোভিনায় শান্তিচুক্তি গ্রহণ করতে সার্বদের বাধ্য করা৷
২৭ মে ১৯৯৭: প্যারিসে একটি স্থায়ী যৌথ পরিষদ গঠনে ন্যাটো আর রাশিয়ার ঐকমত্য৷ ২০০২ থেতে তা ন্যাটো-রুশ পরিষদ নামে অভিহিত৷
১২ মার্চ ১৯৯৯: সাবেক পূর্ব জোটের দেশগুলির মধ্যে পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র আর হাঙ্গেরির প্রথম ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ৷
২৩ মার্চ ১৯৯৯: কসোভোয় জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালানোর কারণে সার্বিয়ায় ন্যাটোর বিমান হামলা৷
১২ সেপ্টেম্বর ২০০১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার এক দিন পর ন্যাটো তার চুক্তির ৫ নম্বর ধারা অনুসারে প্রথম জোটের কোন সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে তার সাহায্যে অন্য সদস্যগুলোর এগিয়ে আসার কথা ঘোষণা করে৷
১১ আগস্ট ২০০৩: আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী আইসাফ-এর নেতৃত্ব গ্রহণ করে ন্যাটো৷ জার্মানি সহ ৪১ টি দেশের ৫৬ হাজার সেনা সেখানে এখন মোতায়েন৷
২৯ মার্চ ২০০৪: বুলগেরিয়া, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া আর রুমেনিয়ার নতুন সদস্যপদ লাভ৷
১১ মার্চ ২০০৯: ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ঘোষণা করেন, ফ্রান্স ন্যোটোর সমন্বিত কমান্ড কাঠামো আবার ফিরে আসবে৷
১ এপ্রিল ২০০৯: আলবেনিয়া আর ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোর ২৭ ও ২৮ নম্বর সদস্য দেশ৷
৩/৪ এপ্রিল ২০০৯: ন্যাটোর ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শীর্ষবৈঠক৷ স্বাগতিক দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স৷ সম্মেলনস্থল: স্ট্রাসবুর্গ, কেল ও বাদেন বাদেন৷
প্রতিষ্ঠাকালীন রাষ্ট্রসমূহ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, গ্রেট বৃটেন, ক্যানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইটালি, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, নরওয়ে ও পর্তুগাল৷
ফেব্রুয়ারি ১৯৫২: লিসবন সম্মেলনে জোটের মহাসচিব (সেক্রেটারি জেনারেল)-এর পদ তৈরি৷
৬ মে ১৯৫৫: ন্যাটো জোটে ফেডারেল প্রজাতন্ত্রী জার্মানির প্রবেশ৷
১৪ মে ১৯৫৫: পশ্চিমি প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর বিপরীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন গড়ে তোলে ওয়ারস জোট৷ সঙ্গী আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (জিডিআর), পোল্যান্ড, রুমেনিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া আর হাঙ্গেরি৷
১০ মার্চ ১৯৬৬: ফরাসী প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গল ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে ফ্রান্সের বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করলেন৷ পরের বছর প্যারিস থেকে ব্রাসেলস-এ সরিয়ে নেয়া হয় ন্যাটোর সদর দপ্তর৷
১জুলাই ১৯৯১: ওয়ারস জোটের আনুষ্ঠানিক অবলুপ্তি৷
১১ জুলাই ১৯৯৫: স্রেবরেনিৎসায় বসনীয় সার্বদের ওপর ন্যাটোর বিমান হামলা৷ লক্ষ্য বসনিয়া-হের্ৎসেগোভিনায় শান্তিচুক্তি গ্রহণ করতে সার্বদের বাধ্য করা৷
২৭ মে ১৯৯৭: প্যারিসে একটি স্থায়ী যৌথ পরিষদ গঠনে ন্যাটো আর রাশিয়ার ঐকমত্য৷ ২০০২ থেতে তা ন্যাটো-রুশ পরিষদ নামে অভিহিত৷
১২ মার্চ ১৯৯৯: সাবেক পূর্ব জোটের দেশগুলির মধ্যে পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র আর হাঙ্গেরির প্রথম ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ৷
২৩ মার্চ ১৯৯৯: কসোভোয় জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালানোর কারণে সার্বিয়ায় ন্যাটোর বিমান হামলা৷
১২ সেপ্টেম্বর ২০০১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার এক দিন পর ন্যাটো তার চুক্তির ৫ নম্বর ধারা অনুসারে প্রথম জোটের কোন সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে তার সাহায্যে অন্য সদস্যগুলোর এগিয়ে আসার কথা ঘোষণা করে৷
১১ আগস্ট ২০০৩: আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী আইসাফ-এর নেতৃত্ব গ্রহণ করে ন্যাটো৷ জার্মানি সহ ৪১ টি দেশের ৫৬ হাজার সেনা সেখানে এখন মোতায়েন৷
২৯ মার্চ ২০০৪: বুলগেরিয়া, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া আর রুমেনিয়ার নতুন সদস্যপদ লাভ৷
১১ মার্চ ২০০৯: ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ঘোষণা করেন, ফ্রান্স ন্যোটোর সমন্বিত কমান্ড কাঠামো আবার ফিরে আসবে৷
১ এপ্রিল ২০০৯: আলবেনিয়া আর ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোর ২৭ ও ২৮ নম্বর সদস্য দেশ৷
৩/৪ এপ্রিল ২০০৯: ন্যাটোর ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শীর্ষবৈঠক৷ স্বাগতিক দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স৷ সম্মেলনস্থল: স্ট্রাসবুর্গ, কেল ও বাদেন বাদেন৷
উদ্দেশ্য সমূহ:
প্রতিষ্ঠার
প্রথম দুই বছর ন্যাটো একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ছিল, কিন্ত কোরিয়
যুদ্ধের পর ন্যাটো সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই জন
সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডারের অধীনে একটি সমন্বিত সামরিক কাঠামো গড়ে তোলা
হয়। ন্যাটোর প্রথম মহাসচিব ছিলেন লর্ড ইসমে। তিনি ১৯৪৯ সালে বলেন যে, "এই
প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল রাশিয়ানদের দূরে রাখা, আমেরিকানদের কাছে আনা এবং
জার্মানদের দাবিয়ে রাখা"।
১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হলে ন্যাটো যুগোস্লাভিয়ার দিকে মনোনিবেশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বসনিয়ায় ন্যাটো মধ্যস্ততামূলক সামরিক অভিযান চালায় এবং পরে ১৯৯৯ সালে যুগোস্লাভিয়ায় অভিযান চালায়।
১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হলে ন্যাটো যুগোস্লাভিয়ার দিকে মনোনিবেশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বসনিয়ায় ন্যাটো মধ্যস্ততামূলক সামরিক অভিযান চালায় এবং পরে ১৯৯৯ সালে যুগোস্লাভিয়ায় অভিযান চালায়।
সৈন্য সংখ্যা:
Country | Active personnel | Reserve personnel | Total |
---|---|---|---|
Albania | 8,500 | 14,000 | 22,500 |
Belgium | 24,500 | 100,500 | 125,000 |
Bulgaria | 35,000 | 302,500 | 337,500 |
Canada | 68,000 | 27,000 | 95,000 |
Croatia | 14,506 | 180,000 | 198,000 |
Czech Republic | 21,057 | 2,359 | 23,416 |
Denmark | 19,911 | 63,000 | 82,911 |
Estonia | 6,425 | 12,000 | 18,425 |
France | 222,215 | 100,000 | 322,215 |
Germany | 180,676 | 145,000 | 325,676 |
Greece | 180,000 | 280,000 | 460,000 |
Hungary | 29,700 | 8,400 | 38,100 |
Iceland | 0 | 0 | 0a |
Italy | 180,000 | 41,867 | 220,867 |
Latvia | 6,000 | 11,000 | 17,000 |
Lithuania | 18,750 | 4,750 | 23,500 |
Luxembourg | 1,057 | 278 | 1,335 |
Montenegro | 1,950 | 400 | 2,350 |
Netherlands | 47,660 | 57,200 | 104,860 |
Norway | 26,200 | 56,200 | 82,400 |
Poland | 120,000 | 515,000 | 635,000 |
Portugal | 44,900 | 210,930 | 255,830 |
Romania | 73,350 | 79,900 | 153,250 |
Slovakia | 16,000 | 16,000 | |
Slovenia | 7,300 | 1,500 | 8,801 |
Spain | 123,000 | 16,200 | 139,200 |
Turkey | 920,475 | 429,000 | 1,349,473 |
United Kingdom | 205,851 | 181,720 | 387,571 |
United States | 1,469,532 | 990,000 | 2,459,532 |
NATO | 3,673,000 | 3,745,000 | 7,420,000 |
No comments