নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের যত দর্শনীয় স্থান by জুনাইদ আল হাবিব
নিঝুম দ্বীপ |
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীতীরবর্তী জেলা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর।
প্রাচীন নদী ভুলুয়া আর বর্তমানের খরস্রোতা মেঘনার মায়া জড়ানো বিশাল আয়তনের
এই জনপদ দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানকার মানুষের জীবন প্রকৃতি অনেক
সংগ্রামের। ঝড়-ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হয় তাদের।
তবে এর মাঝেও রয়েছে বহু সম্ভাবনা। সেসব চিত্র পাওয়া যায় এই দুই জেলার
দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
শুরুতে নোয়াখালীর গল্প বলা যাক। এ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে
অন্যতম নিঝুম দ্বীপ, মুছাপুর ক্লোজার, বজরা শাহী মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল
আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী।
নিঝুম দ্বীপ |
নিঝুম দ্বীপ
নোয়াখালীর সর্বদক্ষিণের দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগর ও মেঘনার মোহনায় জেগে উঠেছে একটি দ্বীপ। চারটি প্রধান দ্বীপ আর কয়েকটি চরের সমষ্টি নিয়ে গঠিত এটি। এর নামই নিঝুম দ্বীপ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়। কেওড়ার বন, বন্য হরিণ আর প্রকৃতি অনিন্দ্যসুন্দর হওয়ায় নিঝুম দ্বীপ অনায়াসে সবার মন কেড়ে নেয়।
নোয়াখালীর সর্বদক্ষিণের দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগর ও মেঘনার মোহনায় জেগে উঠেছে একটি দ্বীপ। চারটি প্রধান দ্বীপ আর কয়েকটি চরের সমষ্টি নিয়ে গঠিত এটি। এর নামই নিঝুম দ্বীপ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়। কেওড়ার বন, বন্য হরিণ আর প্রকৃতি অনিন্দ্যসুন্দর হওয়ায় নিঝুম দ্বীপ অনায়াসে সবার মন কেড়ে নেয়।
মুছাপুর ক্লোজার |
মুছাপুর ক্লোজার
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার মুছাপুর গ্রামে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য মনমাতানো একটি জায়গা। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ও ফেনী নদীর পাশে অবস্থিত এটি। সমুদ্র সৈকতের অপরূপ প্রকৃতিতে চোখ ফেরালে দেখা মেলে পাখির ঝাঁক, বন্যপ্রাণীসহ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। মুছাপুর ক্লোজার ও মুছাপুর ফরেষ্ট বাগান দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার মুছাপুর গ্রামে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য মনমাতানো একটি জায়গা। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ও ফেনী নদীর পাশে অবস্থিত এটি। সমুদ্র সৈকতের অপরূপ প্রকৃতিতে চোখ ফেরালে দেখা মেলে পাখির ঝাঁক, বন্যপ্রাণীসহ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। মুছাপুর ক্লোজার ও মুছাপুর ফরেষ্ট বাগান দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
মহান মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে একজন শহীদ মো. রুহুল আমিন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির সন্তান। তাঁর গ্রামে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। ২০০৮ সালের ২০ জুলাই এটি স্থাপন করা হয়। এতে একটি সুপরিসর ও সুসজ্জিত পাঠ-কক্ষ ছাড়াও আছে অভ্যর্থনা কক্ষ। তত্ত্ববধায়ক ও লাইব্রেরিয়ানের জন্য রয়েছে আলাদা কক্ষ।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে একজন শহীদ মো. রুহুল আমিন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির সন্তান। তাঁর গ্রামে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। ২০০৮ সালের ২০ জুলাই এটি স্থাপন করা হয়। এতে একটি সুপরিসর ও সুসজ্জিত পাঠ-কক্ষ ছাড়াও আছে অভ্যর্থনা কক্ষ। তত্ত্ববধায়ক ও লাইব্রেরিয়ানের জন্য রয়েছে আলাদা কক্ষ।
বজরা শাহী মসজিদ |
বজরা শাহী মসজিদ
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত বজরা শাহী মসজিদ। দিল্লির শাহী জামে মসজিদের অনুকরণে নির্মিত হয়েছিল এটি। জনশ্রুতি আছে, দিল্লির সম্রাট বাহাদুর শাহ বেগমগঞ্জের বজরা অঞ্চলের জমিদারি দান করেছিলেন দুই সহোদর আমান উল্যা ও ছানা উল্যাকে। তারা একটি দীঘি খনন ও মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০ একর জমির বন্দোবস্ত দেন। বজরা শাহী মসজিদের সম্মুখভাগেই সেই দীঘি। মার্বেল পাথরের তৈরি মসজিদটির প্রধান ফটকের দুই পাশে আছে দুটি দেয়ালঘড়ি।
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত বজরা শাহী মসজিদ। দিল্লির শাহী জামে মসজিদের অনুকরণে নির্মিত হয়েছিল এটি। জনশ্রুতি আছে, দিল্লির সম্রাট বাহাদুর শাহ বেগমগঞ্জের বজরা অঞ্চলের জমিদারি দান করেছিলেন দুই সহোদর আমান উল্যা ও ছানা উল্যাকে। তারা একটি দীঘি খনন ও মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০ একর জমির বন্দোবস্ত দেন। বজরা শাহী মসজিদের সম্মুখভাগেই সেই দীঘি। মার্বেল পাথরের তৈরি মসজিদটির প্রধান ফটকের দুই পাশে আছে দুটি দেয়ালঘড়ি।
গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী
গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। জেলা সদর মাইজদী কোর্ট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেই এর অবস্থান। তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে এটি স্থাপিত হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৪৬ সালের শেষভাগে সারা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে। তখন পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রভাব নোয়াখালীতে পড়ে। সেই থেকে ইতিহাসে গান্ধী আশ্রমের গুরুত্ব অনেক।
গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। জেলা সদর মাইজদী কোর্ট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেই এর অবস্থান। তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে এটি স্থাপিত হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৪৬ সালের শেষভাগে সারা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে। তখন পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রভাব নোয়াখালীতে পড়ে। সেই থেকে ইতিহাসে গান্ধী আশ্রমের গুরুত্ব অনেক।
অন্যান্য
সোনাপুরে লুর্দের রানীর গির্জা, নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে ওঠা চরে বন বিভাগের সৃজনকৃত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, মাইজদী শহরে অবস্থিত নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মাইজদী বড় দীঘি, কমলা রানীর দীঘি ভ্রমণপ্রেমীদের ভালোলাগার জায়গা।
সোনাপুরে লুর্দের রানীর গির্জা, নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে ওঠা চরে বন বিভাগের সৃজনকৃত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, মাইজদী শহরে অবস্থিত নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মাইজদী বড় দীঘি, কমলা রানীর দীঘি ভ্রমণপ্রেমীদের ভালোলাগার জায়গা।
এবার
জানা যাক লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর কথা। বহু সংকটের আড়ালে
নানান সম্ভাবনায় ঘেরা জেলা এটি। এখানে রয়েছে বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা। এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, রায়পুরের জিনের মসজিদ,
কামানখোলা জমিদার বাড়ি। এছাড়াও প্রকৃতির মায়া জড়ানো বেশকিছু দর্শনীয় স্থান
রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মতিরহাট মেঘনার তীর, আলেকজান্ডার মেঘনার তীর,
তেগাছিয়া স্লুইস গেট ও বিশাল ঝাউবন।
দালাল বাজার জমিদার বাড়ি
দালাল বাজার জমিদার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের অন্যতম ও ঐতিহাসিক স্থান। জেলা সদরের পশ্চিম-লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজারে এর অবস্থান। জমিদার রাজা লক্ষ্মী নারায়ণের বাড়িটির স্থাপত্যশৈলীতে প্রাচীন যুগের নিপুণতার ছোঁয়া রয়েছে। এটি দেখতে প্রতিনিয়ত জ্ঞানপিপাসুদের আসতে দেখা যায়। বাড়িটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের যেন শেষ নেই। তবে সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন এর জৌলুসে ভাটা পড়েছে। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, জঙ্গল তৈরি হওয়ায় বিবর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে বাড়িটি।
দালাল বাজার জমিদার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের অন্যতম ও ঐতিহাসিক স্থান। জেলা সদরের পশ্চিম-লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজারে এর অবস্থান। জমিদার রাজা লক্ষ্মী নারায়ণের বাড়িটির স্থাপত্যশৈলীতে প্রাচীন যুগের নিপুণতার ছোঁয়া রয়েছে। এটি দেখতে প্রতিনিয়ত জ্ঞানপিপাসুদের আসতে দেখা যায়। বাড়িটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের যেন শেষ নেই। তবে সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন এর জৌলুসে ভাটা পড়েছে। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, জঙ্গল তৈরি হওয়ায় বিবর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে বাড়িটি।
কামান খোলা জমিদার বাড়ি
জেলা সদরের পশ্চিম-লক্ষ্মীপুর গ্রামের কামাল খোলা বাজারের আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত হরেন্দ্র বাবুর বাড়িটি। প্রাচীন জমিদার বাড়ি হিসেবে এর পরিচিতি আছে। এটিই কামান খোলা জমিদার বাড়ি। দুইশ’ বছরের পুরনো বাড়িটির সামনে একটি দ্বিতল ঠাকুরঘর। সুরক্ষিত প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতরে গেলে চোখে পড়বে রাজপ্রাসাদ। এমন সুন্দর বাড়ি দেখতে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের ভিড় জমে।
জেলা সদরের পশ্চিম-লক্ষ্মীপুর গ্রামের কামাল খোলা বাজারের আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত হরেন্দ্র বাবুর বাড়িটি। প্রাচীন জমিদার বাড়ি হিসেবে এর পরিচিতি আছে। এটিই কামান খোলা জমিদার বাড়ি। দুইশ’ বছরের পুরনো বাড়িটির সামনে একটি দ্বিতল ঠাকুরঘর। সুরক্ষিত প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতরে গেলে চোখে পড়বে রাজপ্রাসাদ। এমন সুন্দর বাড়ি দেখতে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের ভিড় জমে।
রায়পুরের জিনের মসজিদ
জনশ্রুতি আছে, ৩০ বছরের আগে জিনেরা রাতের আঁধারে মসজিদটি নির্মাণ করেছে। মসজিদটি তৈরিতে টাকার যোগান দিয়েছে তারাই! এরপর কয়েক বছর ইবাদতও করেছে জিনেরা! গভীর রাতে তাদের জিকিরের আওয়াজ ভেসে আসতো। এর নাম মসজিদ-ই-আবদুল্লাহ। ১৮৮৮ সালে রায়পুর শহরের দেনায়েতপুর এলাকায় ৫৭ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মসজিদটি। এর দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট ও প্রস্থ ৭০ ফুট। এতে রয়েছে তিনটি গম্বুজ ও চারটি মিনার।
জনশ্রুতি আছে, ৩০ বছরের আগে জিনেরা রাতের আঁধারে মসজিদটি নির্মাণ করেছে। মসজিদটি তৈরিতে টাকার যোগান দিয়েছে তারাই! এরপর কয়েক বছর ইবাদতও করেছে জিনেরা! গভীর রাতে তাদের জিকিরের আওয়াজ ভেসে আসতো। এর নাম মসজিদ-ই-আবদুল্লাহ। ১৮৮৮ সালে রায়পুর শহরের দেনায়েতপুর এলাকায় ৫৭ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মসজিদটি। এর দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট ও প্রস্থ ৭০ ফুট। এতে রয়েছে তিনটি গম্বুজ ও চারটি মিনার।
এবার লক্ষ্মীপুর জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়ানো বেশকিছু দর্শনীয়
স্থানের কথা। লক্ষ্মীপুরের উপকূলে মেঘনাপাড়ের বেশকিছু জায়গায় আছে সৈকতের
আমেজ, যেখানে পড়ন্ত বিকেল বা সন্ধ্যা নামার মুহূর্তটা উপভোগ্য। এর মধ্যে
রয়েছে তেগাছিয়া স্লুইস গেট, ঝাউবন, আলেকজান্ডার মেঘনাপাড়, মতিরহাট
মেঘনাতীর, দ্বীপ রমণীমোহন মেঘনাপাড়, মাতাব্বরহাট মেঘনাতীর। বিকেল গড়ানোর পর
এসব স্থানে প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে বেড়ালে প্রশান্তি পেতে পারে মন।
তেগাছিয়া স্লুইস গেট ও বিশাল ঝাউবন
জেলার সর্বদক্ষিণের জনপদ রামগতির দক্ষিণ-পূর্বে তেগাছিয়া বাজার পেরিয়ে মেঘনার কূলেই স্লুইস গেট। এখানে রয়েছে বেশ প্রশস্ত বিশাল ঝাউবন। সূর্যাস্তে মেঘনাতীর একদিকে যেমন অনিন্দ্যসুন্দর, তেমনই সারি সারি ঝাউগাছের মাঝে বিকেলের সূর্যের উঁকি মন ছুঁয়ে যায়। তবে এতদিন এখানকার তেমন পরিচিতি ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুসংখ্যক তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে তেগাছিয়াকে তুলে ধরায় ভ্রমণপ্রেমীদের আকর্ষণ করেছে।
জেলার সর্বদক্ষিণের জনপদ রামগতির দক্ষিণ-পূর্বে তেগাছিয়া বাজার পেরিয়ে মেঘনার কূলেই স্লুইস গেট। এখানে রয়েছে বেশ প্রশস্ত বিশাল ঝাউবন। সূর্যাস্তে মেঘনাতীর একদিকে যেমন অনিন্দ্যসুন্দর, তেমনই সারি সারি ঝাউগাছের মাঝে বিকেলের সূর্যের উঁকি মন ছুঁয়ে যায়। তবে এতদিন এখানকার তেমন পরিচিতি ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুসংখ্যক তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে তেগাছিয়াকে তুলে ধরায় ভ্রমণপ্রেমীদের আকর্ষণ করেছে।
নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরের দর্শনীয় কয়েকটি স্থান |
আলেকজান্ডার মেঘনাপাড়
নদী রক্ষা বাঁধ থেকে দর্শনীয় স্থানটির শুরু। এখানে মেঘনাতীরে বিকেলবেলায় পশ্চিম থেকে হেলে পড়া সূর্যাস্তের চিকচিক আলো আর নদীর বুকে জোয়ার-ভাটার ঢেউ খেলা জলের নিবিড় সখ্য নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। নদী রক্ষা বাঁধ আঁকা-বাঁকা হওয়াতে পূর্ব দিক থেকে সূর্যাস্তের দারুণ দৃশ্যের মাঝে হারিয়ে যান অনেকে। এটি জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অন্যতম একটি। বিভিন্ন উৎসবে এখানে হাজার হাজার পর্যটকের হৃদয়ের জানালা খুলে দেয় এমন দৃশ্য।
নদী রক্ষা বাঁধ থেকে দর্শনীয় স্থানটির শুরু। এখানে মেঘনাতীরে বিকেলবেলায় পশ্চিম থেকে হেলে পড়া সূর্যাস্তের চিকচিক আলো আর নদীর বুকে জোয়ার-ভাটার ঢেউ খেলা জলের নিবিড় সখ্য নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। নদী রক্ষা বাঁধ আঁকা-বাঁকা হওয়াতে পূর্ব দিক থেকে সূর্যাস্তের দারুণ দৃশ্যের মাঝে হারিয়ে যান অনেকে। এটি জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অন্যতম একটি। বিভিন্ন উৎসবে এখানে হাজার হাজার পর্যটকের হৃদয়ের জানালা খুলে দেয় এমন দৃশ্য।
মতিরহাট মেঘনাতীর ও দ্বীপ রমণীমোহনের চর শামছুদ্দিন
জেলার কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজার। বলতে গেলে মেঘনার কোলেই জেগে আছে মতিরহাট। বাজারের উত্তর-দক্ষিণ প্রান্তে মেঘনার জলের সঙ্গে মিশে থাকা তীরকে অনেকে ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে। এখানে বিকেলবেলার সূর্যরশ্মির সঙ্গে জোয়ার-ভাটার দৃশ্য বেশ ঝলমলে। এখানকার দৃশ্যটা অন্য স্থানগুলোর তুলনায় একটু ব্যতিক্রম। এছাড়া মাত্র পাঁচ মিনিটের নদী পেরিয়ে পা রাখা যায় দ্বীপ রমণীমোহনের চর শামছুদ্দিনে। বিকেলবেলায় সেখানে বেশ চমৎকার দৃশ্য চোখে পড়ে।
জেলার কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজার। বলতে গেলে মেঘনার কোলেই জেগে আছে মতিরহাট। বাজারের উত্তর-দক্ষিণ প্রান্তে মেঘনার জলের সঙ্গে মিশে থাকা তীরকে অনেকে ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে। এখানে বিকেলবেলার সূর্যরশ্মির সঙ্গে জোয়ার-ভাটার দৃশ্য বেশ ঝলমলে। এখানকার দৃশ্যটা অন্য স্থানগুলোর তুলনায় একটু ব্যতিক্রম। এছাড়া মাত্র পাঁচ মিনিটের নদী পেরিয়ে পা রাখা যায় দ্বীপ রমণীমোহনের চর শামছুদ্দিনে। বিকেলবেলায় সেখানে বেশ চমৎকার দৃশ্য চোখে পড়ে।
মাতব্বরহাট মেঘনাতীর
আলেকজান্ডার নদীতীরের মতোই এর গল্প। নদী ভাঙন থেকে কমলনগরকে রক্ষার জন্য এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর এই স্থানও পর্যটকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে। পর্যটন কেন্দ্রটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। তাই গোধূলিতে এখানে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা জমে ওঠে।
আলেকজান্ডার নদীতীরের মতোই এর গল্প। নদী ভাঙন থেকে কমলনগরকে রক্ষার জন্য এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর এই স্থানও পর্যটকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে। পর্যটন কেন্দ্রটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। তাই গোধূলিতে এখানে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা জমে ওঠে।
>>>ছবি: লেখক
No comments