কাশ্মির সংকট: বলদর্পিতা নয় গণভোটই সমাধান
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে দুইভাগে ভাগ করার ভারতীয় পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান।
পাক-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জম্মু ও কাশ্মিরের অবস্থার পরিবর্তন আনাটা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব এবং এমনকি পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতারও খেলাপ। আর এ কারণে ইসলামাবাদ ভারতের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছে।'
ভারত সরকার তিন মাস আগে ঘোষিত সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মিরকে 'জম্মু ও কাশ্মির' এবং 'লাদাখ'- এই দুই নামে বিভক্ত করেছে এবং এ দুই অঞ্চলকে সরাসরি ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের আওতায় আনা হয়েছে।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরও বলেছে, জম্মু ও কাশ্মিরের মালিকানা যে বিরোধ-কবলিত বা বিতর্কিত তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত; আর তাই নয়াদিল্লির একতরফা সিদ্ধান্তে এই বিরোধের মূল প্রকৃতি বা চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। পাকিস্তান ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের স্বশাসন সংক্রান্ত আইন বাতিলের ভারতীয় পদক্ষেপের বিষয়টি বিচার করে দেখতে এবং ওই অঞ্চলকে একটি বড় কারাগারে পরিণত করা ও সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে থাকার বাস্তবতা তুলে ধরতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানায় বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাশ্মিরের বিষয়ে ভারতের আচরণ দীর্ঘ বহু বছর ধরেই ঘরে-বাইরে হচ্ছে নিন্দিত। ভারত সরকার নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে আসলেও সেখানে চালাচ্ছে বলদর্পি স্বৈরশাসন এবং নির্মম দমন-পীড়ন। লাখ লাখ কাশ্মিরির জীবন কেড়ে নেয়া ছাড়াও সেখানে নারী ও শিশুর ওপরও ভারতীয় বাহিনীর মাধ্যমে চালানো হয়েছে পাশবিক আচরণ!
জাতিসংঘের ঘোষণার আলোকে কাশ্মিরের ভাগ্য সেখানকার জনগণের ভোটে নির্ধারণ করার বিষয়টি নেহেরু সরকার মুখে মুখে মেনে নিলেও কখনও তা বাস্তবায়ন করেনি। জম্মু ও কাশ্মিরকে ভারতীয় সংবিধানে স্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হলেও ভারতের পরবর্তী সরকারগুলোও মূলত মুসলমান অধ্যুষিত এই অঞ্চলকে ভারতীয় শাসনের আওতায় ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বল প্রয়োগ করেই। ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ওই স্বায়ত্তশাসনের প্রতীকী ধারাটিও উঠিয়ে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরকে দুই ভাগ করে এবং সেখানে বহিরাগত হিন্দুদের আবাসনের ব্যবস্থা করে ইহুদিবাদী ইসরাইলি কায়দায় জনসংখ্যাগত অবস্থায়ও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে যা জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক আইনের ও এমনকি পাক-ভারত সমঝোতারও পরিপন্থী।
ম্যাথিও ক্ল্যাফিল্ডসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ের অনেক বিশ্লেষক বলছেন, জম্মু ও কাশ্মিরকে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়ের জোরে বা অবৈধ যে কোনো পন্থায় খুব দীর্ঘকাল ধরে রাখতে পারবে না ভারত। সেনা-শাসন জারি করে, স্থানীয় যুবক ও নেতাদের গণহারে বন্দি করে এবং ইন্টারনেটসহ যোগাযোগের নানা ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে কাশ্মিরিদের স্বাধিকার আদায়ের দাবিকে স্তব্ধ করা সম্ভব হবে না। জম্মু ও কাশ্মিরকে ইসরাইলি কায়দায় অবৈধভাবে ভারতের মধ্যে বিলীন করতে দিল্লির মোদি সরকারের এ ধরনের অন্যায় পদক্ষেপ কেবল সহিংসতা ও অশান্তিই বাড়াবে, কাশ্মির সংকটের কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধান বয়ে আনবে না।
জম্মু ও কাশ্মিরে যৌক্তিক ও মানবিক আচরণ করতে ভারত সরকারের ওপর মুসলিম বা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সম্মিলিত নানা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ প্রয়োগকেও অনেকেই সময়ের দাবি বলে মনে করছেন। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না বলেই ভারত দীর্ঘকাল ধরে এ অঞ্চলে বলদর্পিতা বজায় রাখতে পেরেছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন।
পাক-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জম্মু ও কাশ্মিরের অবস্থার পরিবর্তন আনাটা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব এবং এমনকি পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতারও খেলাপ। আর এ কারণে ইসলামাবাদ ভারতের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছে।'
ভারত সরকার তিন মাস আগে ঘোষিত সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মিরকে 'জম্মু ও কাশ্মির' এবং 'লাদাখ'- এই দুই নামে বিভক্ত করেছে এবং এ দুই অঞ্চলকে সরাসরি ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের আওতায় আনা হয়েছে।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরও বলেছে, জম্মু ও কাশ্মিরের মালিকানা যে বিরোধ-কবলিত বা বিতর্কিত তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত; আর তাই নয়াদিল্লির একতরফা সিদ্ধান্তে এই বিরোধের মূল প্রকৃতি বা চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। পাকিস্তান ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের স্বশাসন সংক্রান্ত আইন বাতিলের ভারতীয় পদক্ষেপের বিষয়টি বিচার করে দেখতে এবং ওই অঞ্চলকে একটি বড় কারাগারে পরিণত করা ও সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে থাকার বাস্তবতা তুলে ধরতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানায় বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাশ্মিরের বিষয়ে ভারতের আচরণ দীর্ঘ বহু বছর ধরেই ঘরে-বাইরে হচ্ছে নিন্দিত। ভারত সরকার নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে আসলেও সেখানে চালাচ্ছে বলদর্পি স্বৈরশাসন এবং নির্মম দমন-পীড়ন। লাখ লাখ কাশ্মিরির জীবন কেড়ে নেয়া ছাড়াও সেখানে নারী ও শিশুর ওপরও ভারতীয় বাহিনীর মাধ্যমে চালানো হয়েছে পাশবিক আচরণ!
জাতিসংঘের ঘোষণার আলোকে কাশ্মিরের ভাগ্য সেখানকার জনগণের ভোটে নির্ধারণ করার বিষয়টি নেহেরু সরকার মুখে মুখে মেনে নিলেও কখনও তা বাস্তবায়ন করেনি। জম্মু ও কাশ্মিরকে ভারতীয় সংবিধানে স্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হলেও ভারতের পরবর্তী সরকারগুলোও মূলত মুসলমান অধ্যুষিত এই অঞ্চলকে ভারতীয় শাসনের আওতায় ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বল প্রয়োগ করেই। ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ওই স্বায়ত্তশাসনের প্রতীকী ধারাটিও উঠিয়ে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরকে দুই ভাগ করে এবং সেখানে বহিরাগত হিন্দুদের আবাসনের ব্যবস্থা করে ইহুদিবাদী ইসরাইলি কায়দায় জনসংখ্যাগত অবস্থায়ও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে যা জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক আইনের ও এমনকি পাক-ভারত সমঝোতারও পরিপন্থী।
ম্যাথিও ক্ল্যাফিল্ডসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ের অনেক বিশ্লেষক বলছেন, জম্মু ও কাশ্মিরকে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়ের জোরে বা অবৈধ যে কোনো পন্থায় খুব দীর্ঘকাল ধরে রাখতে পারবে না ভারত। সেনা-শাসন জারি করে, স্থানীয় যুবক ও নেতাদের গণহারে বন্দি করে এবং ইন্টারনেটসহ যোগাযোগের নানা ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে কাশ্মিরিদের স্বাধিকার আদায়ের দাবিকে স্তব্ধ করা সম্ভব হবে না। জম্মু ও কাশ্মিরকে ইসরাইলি কায়দায় অবৈধভাবে ভারতের মধ্যে বিলীন করতে দিল্লির মোদি সরকারের এ ধরনের অন্যায় পদক্ষেপ কেবল সহিংসতা ও অশান্তিই বাড়াবে, কাশ্মির সংকটের কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধান বয়ে আনবে না।
জম্মু ও কাশ্মিরে যৌক্তিক ও মানবিক আচরণ করতে ভারত সরকারের ওপর মুসলিম বা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সম্মিলিত নানা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ প্রয়োগকেও অনেকেই সময়ের দাবি বলে মনে করছেন। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না বলেই ভারত দীর্ঘকাল ধরে এ অঞ্চলে বলদর্পিতা বজায় রাখতে পেরেছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন।
শিল্পীর চোখে জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতি |
No comments