শ্রীমঙ্গলে মাল্টা চাষে সফলতা
শ্রীমঙ্গলে
প্রথমবারের মতো মাল্টা চাষে সফলতা এসেছে। দু’বছরের মাথায় শ্রীমঙ্গল
উপজেলার ৪৮টি বারি মাল্টা-১ এর প্রদর্শনী প্লটে শতকরা ৬০ শতাংশ গাছে ফল
ধরেছে। তৃতীয় বছরে অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে শতভাগ গাছে মাল্টা
ফল ধরবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। শ্রীমঙ্গল কৃষি অধিদপ্তরের
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান,
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০০৩ সালে বারি মাল্টা-১ নামে মাল্টার এই
উন্নতজাত উদ্ভাবন করে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে মাল্টার সফল চাষ হয়েছে।
কোথাও কোথাও বাম্পার ফলনও হয়েছে মাল্টার। মোনালিসা সুইটি বলেন, এটি নিয়মিত
ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। ফল গোলাকার ও পাকা ফলের রঙ সবুজ।
খুবই রসালো, খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। গাছ প্রতি ৩০০-৪০০টি ফল ধরে। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ২০ টন। বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়, নরসিংদী ও খাগড়াছড়ি সহ দেশের অন্য সব অঞ্চল চাষের জন্য এই মাল্টা উপযোগী। মোনালিসা সুইটি আরও বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের ‘সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের’ আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারের মতো মাল্টা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সেমতে, মাল্টা চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে চারা, সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় এবং উপজেলার সিন্দুরখান, কালাপুর, ভূনবীর, মাজডিহি, ডলুছড়া, দিলবরনগর, আশিদ্রোন, গন্ধর্বপুর ও মির্জাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এক বিঘা করে ৪৮টি মাল্টার প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হয়। দু’বছরের মাথায় এসব প্রদর্শনী প্লটের ৬০ শতাংশ গাছে ফল ধরেছে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এসব প্লটে শতভাগ গাছে ফল ধরবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের সফল চাষি মো. তাহির মিয়া জানান, তিনি দু’বছর আগে ২ বিঘা জমিতে দুইটি বারি মাল্টা-১ এর প্রদর্শনী প্লট করেন। ২টি প্লটে তিনি ৮০টি করে ১৬০টি মাল্টার চারা রোপণ করেন। দু’বছরে সার, গোবর, কীটনাশক, আগাছা পরিষ্কার ইত্যাদি বাবদ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, দু’বছরের মাথায় এখন তার প্লটে ১৬০টি গাছেই ফল ধরেছে। তিনি মাল্টা চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রকেন্দ্র শর্ম্মা জানান, শ্রীমঙ্গলের মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া দেশের পাহাড়ি এলাকায় বারি মাল্টা-১ চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। পাহাড়ি ঢালু জমিতে মাল্টা চাষ ভালো হয়ে থাকে। এসব বিবেচনা শ্রীমঙ্গলসহ বৃহত্তর সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় মাল্টা চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল জানান, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ মাল্টা একটি সুস্বাদু ফল। সাইট্রাস ফলের মধ্যে এটি অন্যতম জনপ্রিয় ফল। মাল্টাচাষিরা যদি নিয়মিত পরিচর্যা, আগাছা দমন, সেচ ও কীটনাশক স্প্রে করেন এবং যত্নবান হন তবে সামান্য খরচে প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদিত মাল্টা বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রতি বিঘাতে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারেন। অজিত পাল আরও বলেন, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রদর্শনী প্লটগুলো নিয়মিত পরিদর্শন ও দেখভাল করছেন এবং চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
খুবই রসালো, খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। গাছ প্রতি ৩০০-৪০০টি ফল ধরে। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ২০ টন। বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়, নরসিংদী ও খাগড়াছড়ি সহ দেশের অন্য সব অঞ্চল চাষের জন্য এই মাল্টা উপযোগী। মোনালিসা সুইটি আরও বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের ‘সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের’ আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারের মতো মাল্টা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সেমতে, মাল্টা চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে চারা, সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় এবং উপজেলার সিন্দুরখান, কালাপুর, ভূনবীর, মাজডিহি, ডলুছড়া, দিলবরনগর, আশিদ্রোন, গন্ধর্বপুর ও মির্জাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এক বিঘা করে ৪৮টি মাল্টার প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হয়। দু’বছরের মাথায় এসব প্রদর্শনী প্লটের ৬০ শতাংশ গাছে ফল ধরেছে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এসব প্লটে শতভাগ গাছে ফল ধরবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের সফল চাষি মো. তাহির মিয়া জানান, তিনি দু’বছর আগে ২ বিঘা জমিতে দুইটি বারি মাল্টা-১ এর প্রদর্শনী প্লট করেন। ২টি প্লটে তিনি ৮০টি করে ১৬০টি মাল্টার চারা রোপণ করেন। দু’বছরে সার, গোবর, কীটনাশক, আগাছা পরিষ্কার ইত্যাদি বাবদ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, দু’বছরের মাথায় এখন তার প্লটে ১৬০টি গাছেই ফল ধরেছে। তিনি মাল্টা চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রকেন্দ্র শর্ম্মা জানান, শ্রীমঙ্গলের মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া দেশের পাহাড়ি এলাকায় বারি মাল্টা-১ চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। পাহাড়ি ঢালু জমিতে মাল্টা চাষ ভালো হয়ে থাকে। এসব বিবেচনা শ্রীমঙ্গলসহ বৃহত্তর সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় মাল্টা চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল জানান, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ মাল্টা একটি সুস্বাদু ফল। সাইট্রাস ফলের মধ্যে এটি অন্যতম জনপ্রিয় ফল। মাল্টাচাষিরা যদি নিয়মিত পরিচর্যা, আগাছা দমন, সেচ ও কীটনাশক স্প্রে করেন এবং যত্নবান হন তবে সামান্য খরচে প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদিত মাল্টা বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রতি বিঘাতে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারেন। অজিত পাল আরও বলেন, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রদর্শনী প্লটগুলো নিয়মিত পরিদর্শন ও দেখভাল করছেন এবং চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
No comments