এ যেন রূপকথা, অভিনন্দন ইংল্যান্ড
কার
হাতে উঠছে প্রথম শিরোপা? স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড -
নিউজিল্যান্ড। এই সমীকরণের ম্যাচে রূপকথার গল্পকে হার মানানো ম্যাচে জয়
ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। খেলায় টাই। আবার সুপার ওভারেও টাই। শেষ পর্যন্ত
বিশ্বসেরা নির্ধারণ হয় বাউন্ডারির হিসেবে। আর নতুন এক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
পেলো ক্রিকেট বিশ্ব। অভিনন্দন ইংল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড।
জবাবে কিউই পেসে শুরুতে বেশ নাকাল হয় ইংলিশরা। তবে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে সমালে উঠেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি এনেছেন বেন স্টোকস ও জস বাটলারের জুটি। তবে এরপর ফের বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। হারিয়ে ফেলেন দ্রুত ২ উইকেট। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে এসে ইংল্যান্ড সব উইকেট হারিয়ে ম্যাচ টাই করে। এ মুহূর্তে চলছে সুপার ওভার। সুপার ওভারে আসে ১৫ রান। আর জাবাবে ফের ঐ ১৫ রানই আসে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। তবে বাউন্ডারিতে এগিয়ে তাকার কারণে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে আসে ৩৯ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ফেরেন ১৭ রান করে। তাকে সাজঘরের পথ দেখান ম্যাট হেনরি। রয়ের বিদায়ের পর চাপ আরো বেড়েই যায় ইংল্যান্ডের। দীর্ঘক্ষণ উইকেটে টিকে থাকার পর রুট ও বেয়ারস্টোও পথ ধরেন সাজঘরের দিকে। রুটকে (৭) গ্র্যান্ডহোম ও বেয়ারস্টোকে (৩৬) ফেরান ফার্গুসন। দলীয় অধিনায়ক এউইন মরগানও ফেরেন বড় স্কোর না করে। ব্যক্তিগত ৯ রানে দৃর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন লোকি ফার্গুসন। উইকেটটি পান জিমি নিশাম। বাটলার ফেরেন ৫৯ রানে। আর ক্রিস ওকস ফেরেন ২ রানে। লোকি ফার্গুসন ২ উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত টাই হয় ম্যাচ।
এরআগে, প্রথম ইনিংসে ব্ল্যাক ক্যাপসদের কেউই প্রতিক্ষীত ফাইনালে বড় কোনো জুটি গড়তে সক্ষম হননি। পুরো বিশ্বকাপে দাপিয়ে বেড়ানো অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসও আজ জ্বলে উড়তে পারেননি।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বেশ চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ইংলিশ বোলার আর্চার-ওকসদের পেস অ্যাটাকের মুখে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি কেন উইলিয়ামসের দল। শুরুতেই দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান গাপটিলের উইকেটটি খোয়ান তারা। কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন (৩০) ও নিকোলসের (৫৫) দায়িত্বশীল ব্যাটিং গাপটিলের বিদায়ে সৃষ্ট চাপ থেকে বের করে আনে নিউজিল্যান্ডকে। তবে ইংলিশ বোলার প্লাঙ্কেটের দুর্দান্ত বোলিং তোপে দুজনই দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশরা কিউইদের বেশ চেপে ধরেন। তবে রস টেলর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ১৯ রান করা লিয়াম প্লাঙ্কেটের শিকার হন জিমি নিশাম। ফাইনালে কিউইদের আরেক সান্ত¦না লাথাম। তার সংগ্রহ ৪৭ রান। এছাড়া দলের জন্য অবদান রাখার মতো কোনো ব্যাটসম্যান উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি।
শেষ তিন ম্যাচের মতো আজও ইংলিশ বোলাররা ছিলেন দারুণ উজ্জ্বীবিত। ব্ল্যাকক্যাপসদের আটটি উইকেটের পতন করেন তারা। তাছাড়া বড় স্কোর গড়তে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ক্রিস ওকস-প্লাঙ্কেটরা। ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান প্লাঙ্কেট। ক্রিস ওকসও সমান উইকেট নিয়ে স্বল্প রানের মধ্যে কিউইদের বেঁধে রাখেন। এছাড়া ইংলিশ বোলারদের মধ্যে আর্চার ও মার্ক উড ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রিকেটের জনক ইংলিশরা। আর টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে কিউইরা।
এর আগে ভারতকে সেমি ফাইনালের রিজার্ভ-ডে’তে ১৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে ইংলিশরা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংলিশদের বিপক্ষের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে কিউইরা। বিশ্বকাপে দুই দলের ৯ দেখায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা জিতেছে পাঁচ ম্যাচ অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জয় চারটিতে। আর এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দু’দলের ম্যাচে কিউইদের ১১৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল ইংলিশরা।
আর মোট ৮৪ বারের দেখায় নিউজিল্যান্ড জয় পায় ৪১ ম্যাচে ও ইংল্যান্ড ৩৭ ম্যাচে।
ইংল্যান্ড একাদশ
জেসন রয়, জনি বেয়ারেস্ট, জো রুট, এইউন মরগ্যান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার এবং মার্ক উড।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিয়ানায়ক), রস টেলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল সান্তনার, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন।
প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড।
জবাবে কিউই পেসে শুরুতে বেশ নাকাল হয় ইংলিশরা। তবে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে সমালে উঠেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি এনেছেন বেন স্টোকস ও জস বাটলারের জুটি। তবে এরপর ফের বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। হারিয়ে ফেলেন দ্রুত ২ উইকেট। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে এসে ইংল্যান্ড সব উইকেট হারিয়ে ম্যাচ টাই করে। এ মুহূর্তে চলছে সুপার ওভার। সুপার ওভারে আসে ১৫ রান। আর জাবাবে ফের ঐ ১৫ রানই আসে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। তবে বাউন্ডারিতে এগিয়ে তাকার কারণে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে আসে ৩৯ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ফেরেন ১৭ রান করে। তাকে সাজঘরের পথ দেখান ম্যাট হেনরি। রয়ের বিদায়ের পর চাপ আরো বেড়েই যায় ইংল্যান্ডের। দীর্ঘক্ষণ উইকেটে টিকে থাকার পর রুট ও বেয়ারস্টোও পথ ধরেন সাজঘরের দিকে। রুটকে (৭) গ্র্যান্ডহোম ও বেয়ারস্টোকে (৩৬) ফেরান ফার্গুসন। দলীয় অধিনায়ক এউইন মরগানও ফেরেন বড় স্কোর না করে। ব্যক্তিগত ৯ রানে দৃর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন লোকি ফার্গুসন। উইকেটটি পান জিমি নিশাম। বাটলার ফেরেন ৫৯ রানে। আর ক্রিস ওকস ফেরেন ২ রানে। লোকি ফার্গুসন ২ উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত টাই হয় ম্যাচ।
এরআগে, প্রথম ইনিংসে ব্ল্যাক ক্যাপসদের কেউই প্রতিক্ষীত ফাইনালে বড় কোনো জুটি গড়তে সক্ষম হননি। পুরো বিশ্বকাপে দাপিয়ে বেড়ানো অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসও আজ জ্বলে উড়তে পারেননি।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বেশ চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ইংলিশ বোলার আর্চার-ওকসদের পেস অ্যাটাকের মুখে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি কেন উইলিয়ামসের দল। শুরুতেই দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান গাপটিলের উইকেটটি খোয়ান তারা। কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন (৩০) ও নিকোলসের (৫৫) দায়িত্বশীল ব্যাটিং গাপটিলের বিদায়ে সৃষ্ট চাপ থেকে বের করে আনে নিউজিল্যান্ডকে। তবে ইংলিশ বোলার প্লাঙ্কেটের দুর্দান্ত বোলিং তোপে দুজনই দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশরা কিউইদের বেশ চেপে ধরেন। তবে রস টেলর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ১৯ রান করা লিয়াম প্লাঙ্কেটের শিকার হন জিমি নিশাম। ফাইনালে কিউইদের আরেক সান্ত¦না লাথাম। তার সংগ্রহ ৪৭ রান। এছাড়া দলের জন্য অবদান রাখার মতো কোনো ব্যাটসম্যান উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি।
শেষ তিন ম্যাচের মতো আজও ইংলিশ বোলাররা ছিলেন দারুণ উজ্জ্বীবিত। ব্ল্যাকক্যাপসদের আটটি উইকেটের পতন করেন তারা। তাছাড়া বড় স্কোর গড়তে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ক্রিস ওকস-প্লাঙ্কেটরা। ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান প্লাঙ্কেট। ক্রিস ওকসও সমান উইকেট নিয়ে স্বল্প রানের মধ্যে কিউইদের বেঁধে রাখেন। এছাড়া ইংলিশ বোলারদের মধ্যে আর্চার ও মার্ক উড ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রিকেটের জনক ইংলিশরা। আর টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে কিউইরা।
এর আগে ভারতকে সেমি ফাইনালের রিজার্ভ-ডে’তে ১৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে ইংলিশরা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংলিশদের বিপক্ষের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে কিউইরা। বিশ্বকাপে দুই দলের ৯ দেখায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা জিতেছে পাঁচ ম্যাচ অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জয় চারটিতে। আর এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দু’দলের ম্যাচে কিউইদের ১১৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল ইংলিশরা।
আর মোট ৮৪ বারের দেখায় নিউজিল্যান্ড জয় পায় ৪১ ম্যাচে ও ইংল্যান্ড ৩৭ ম্যাচে।
ইংল্যান্ড একাদশ
জেসন রয়, জনি বেয়ারেস্ট, জো রুট, এইউন মরগ্যান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার এবং মার্ক উড।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিয়ানায়ক), রস টেলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল সান্তনার, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন।
No comments