গাজায় আরেকটি যুদ্ধ আসন্ন: ইসরায়েলি সামরিক প্রতিবেদক
দখলকৃত
গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ খুব বেশি
দূরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের এক সামরিক প্রতিবেদক। ইসরায়েলি
সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের সামরিক প্রতিবেদক আনা আহরোনহেইম এই
মন্তব্য করেছেন। এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, সেই যুদ্ধ হবে আগের
যেকোনও যুদ্ধের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক।
২০০৮ সালে জাতিসংঘের অনুমোদিত এক নির্বাচনে হামাস জয়লাভের পর থেকেই গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল ও মিসর। এতে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রায় আড়াই হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। মারা যায় ৬৮ জন ইসরায়েলি সেনা ও ছয় নাগরিক। আর গত মে মাসে দুই পক্ষের সর্বশেষ যুদ্ধে পাঁচ ইসরায়েলি নাগরিক ও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
গত শুক্রবার জেরুজালেম পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সর্বাত্মক জয় পাবে যাতে অন্য পক্ষ ভবিষ্যতে আবারও যুদ্ধে জড়ানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবে।
জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোচাভি এরইমধ্যে যুদ্ধকালীন অভিযান পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। এছাড়া পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হলে উপকূলীয় ভূখন্ডটির সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা বানাতে সম্প্রতি একটি প্রশাসনিক ইউনিট গঠন করেছেন সেনা প্রধান।
আগের যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের চেয়ে চার গুণ বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর সামরিক গোয়েন্দারা শত শত লক্ষ্যবস্তু প্রস্তুত করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিনিধি।
সামরিক প্রতিবেদক আনা আহরোনহেইম-এর মতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানে যে পরবর্তী যুদ্ধের অন্তর্ভূক্ত থাকবে ভূমিতে সর্বাত্মক হামলা। আর সেকারণে হাজার হাজার সেনা সদস্য ট্যাঙ্ক, সামরিক গাড়ি নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে। তাদের সুরক্ষা দেবে আকাশে যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত দশ বছরে তিনটি বড় যুদ্ধে গাজা চরমভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে স্বীকার করে নিয়েছেন জেরুজালেম পোস্টের এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা অবরোধের অবসান ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে হামাস।
ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতি দীর্ঘমেয়াদে গাজা উপত্যকাকে চুপ রাখতে সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে পরবর্তী যুদ্ধ জয়ের প্রয়োজন।
২০০৮ সালে জাতিসংঘের অনুমোদিত এক নির্বাচনে হামাস জয়লাভের পর থেকেই গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল ও মিসর। এতে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রায় আড়াই হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। মারা যায় ৬৮ জন ইসরায়েলি সেনা ও ছয় নাগরিক। আর গত মে মাসে দুই পক্ষের সর্বশেষ যুদ্ধে পাঁচ ইসরায়েলি নাগরিক ও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
গত শুক্রবার জেরুজালেম পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সর্বাত্মক জয় পাবে যাতে অন্য পক্ষ ভবিষ্যতে আবারও যুদ্ধে জড়ানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবে।
জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোচাভি এরইমধ্যে যুদ্ধকালীন অভিযান পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। এছাড়া পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হলে উপকূলীয় ভূখন্ডটির সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা বানাতে সম্প্রতি একটি প্রশাসনিক ইউনিট গঠন করেছেন সেনা প্রধান।
আগের যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের চেয়ে চার গুণ বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর সামরিক গোয়েন্দারা শত শত লক্ষ্যবস্তু প্রস্তুত করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিনিধি।
সামরিক প্রতিবেদক আনা আহরোনহেইম-এর মতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানে যে পরবর্তী যুদ্ধের অন্তর্ভূক্ত থাকবে ভূমিতে সর্বাত্মক হামলা। আর সেকারণে হাজার হাজার সেনা সদস্য ট্যাঙ্ক, সামরিক গাড়ি নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে। তাদের সুরক্ষা দেবে আকাশে যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত দশ বছরে তিনটি বড় যুদ্ধে গাজা চরমভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে স্বীকার করে নিয়েছেন জেরুজালেম পোস্টের এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা অবরোধের অবসান ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে হামাস।
ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতি দীর্ঘমেয়াদে গাজা উপত্যকাকে চুপ রাখতে সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে পরবর্তী যুদ্ধ জয়ের প্রয়োজন।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির অভ্যন্তরে এক ফিলিস্তিনি কিশোর |
No comments