ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে দালাইলামার জন্মদিনের উৎসব বানচাল করে দিলো চীনা সৈন্যরা
সম্প্রতি
ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মিরের লাদাখ অঞ্চলের একটি গ্রামে তিব্বতি
আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার জন্ম দিনের বার্ষিক উৎসবে বাধা সৃষ্টি করেছে
চীনা সৈন্যরা। ৬ জুলাই এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তিব্বতি পতাকা উড়তে দেখে চীনা সৈন্যরা উত্তেজিত হয়ে তাতে আপত্তি জানাতে আসে। পরে তারা ইস্টার্ন লাদখের ডেমচকের কাছে কয়ুল গ্রাম ত্যাগ করার আগে তারা তাদের চীনা পতাকা উড়িয়ে দেয়।
ভারতীয় সরকারি সূত্র জানায়, দুটি গাড়িতে করে ১১ জন চীনা সৈন্য নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করে। তারা প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করে।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের সময় চীনা সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি বলে সূত্র জানায়। দোকলাম সঙ্ঘাতের দুই বছর পর এ ঘটনা ঘটল।
ঘটনা সম্পর্কে অবগত সরকারি সূত্র জানায়, চীনা সৈন্যরা গাড়িতে করে সাদা পোশাকে আসে। ৬ জুলাই সেখানে গিয়ে তারা তিব্বতিদের দালাই লামার জন্মদিন উৎযাপনের প্রতিবাদ জানায়। তারা গ্রামবাসীদের প্রতি ‘তিব্বতকে বিভক্তকারী সব কার্যক্রম বন্ধ করো’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করে।
কয়ুল গ্রামের প্রধান (তিনি ভারতীয় ক্ষমতাসীন বিজেপির সদস্য) উরগাইউন চোডন বলেন, চীনা সৈন্যরা ভারতীয় সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছিল। তারা তখন দালাই লামার জন্ম দিন উদযাপন করছিলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের উৎসব কয়েক বছর ধরে পালিত হচ্ছে। আমরা এসময় জাতীয় পতাকা, বৌদ্ধ পতাকা ও তিব্বতি পতাকা উড়াই। এবার চীনারা আমাদের ভূখণ্ডের কয়েক কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে বলছে যে আমরা তাদের উস্কানি দিচ্ছি। তারা আমাদেরকে পতাকা উড়াতে নিষেধ করে।
তিনি বলেন, তিনি ওই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানিয়েছেন।
লাদাখ অটোনোমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কাউন্সিলর রিগজিন স্প্যালবার স্পুটনিককে বলেন, সরকারের উচিত চীনা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটি একটি গুরুতর ব্যাপার। এবার তারা কাবজুঙ উপত্যকা নামে পরিচিত নতুন ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, চীনাদের বিরুদ্ধে কথা না বলায়, সত্য গোপন করায় তারা আসলে সাহসী হয়ে ওঠছে।
স্থানীয় ভারতীয় নেতারা ভারতীয় সৈন্যদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, তাদের কাছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তারা কেন এসেছিল। তাদের উচিত ছিল আমাদের বাহিনীকে অবগত করা।
গ্রামপ্রধান বলেন, তারা আমাদের শীতকালীন তৃণভূমি দখল করার গোপন উদ্দেশ্যে এসেছিল।
চলতি বছরের প্রথম দিকে স্থানীয় অধিবাসীরা দাবি করেন, চীনা সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে একটি রাস্তা নির্মাণ করেছে।
তারা অত্যন্ত গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তামূলক এই ঘটনাটি বিবেচনা করার জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে ৭৩ দিনের দোকলাম সঙ্কটের পর এই প্রথম চীনাদের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল।
ওই ঘটনার জের ধরে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ওহান অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের মাধ্যমে তা প্রশমন করা হয়।
দোকলাম এলাকায় অতীতের অচলাবস্থার কারণে ডেমচুক এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী শতাধিক ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে।
জানা গেছে, তিব্বতি পতাকা উড়তে দেখে চীনা সৈন্যরা উত্তেজিত হয়ে তাতে আপত্তি জানাতে আসে। পরে তারা ইস্টার্ন লাদখের ডেমচকের কাছে কয়ুল গ্রাম ত্যাগ করার আগে তারা তাদের চীনা পতাকা উড়িয়ে দেয়।
ভারতীয় সরকারি সূত্র জানায়, দুটি গাড়িতে করে ১১ জন চীনা সৈন্য নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করে। তারা প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করে।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের সময় চীনা সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি বলে সূত্র জানায়। দোকলাম সঙ্ঘাতের দুই বছর পর এ ঘটনা ঘটল।
ঘটনা সম্পর্কে অবগত সরকারি সূত্র জানায়, চীনা সৈন্যরা গাড়িতে করে সাদা পোশাকে আসে। ৬ জুলাই সেখানে গিয়ে তারা তিব্বতিদের দালাই লামার জন্মদিন উৎযাপনের প্রতিবাদ জানায়। তারা গ্রামবাসীদের প্রতি ‘তিব্বতকে বিভক্তকারী সব কার্যক্রম বন্ধ করো’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করে।
কয়ুল গ্রামের প্রধান (তিনি ভারতীয় ক্ষমতাসীন বিজেপির সদস্য) উরগাইউন চোডন বলেন, চীনা সৈন্যরা ভারতীয় সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছিল। তারা তখন দালাই লামার জন্ম দিন উদযাপন করছিলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের উৎসব কয়েক বছর ধরে পালিত হচ্ছে। আমরা এসময় জাতীয় পতাকা, বৌদ্ধ পতাকা ও তিব্বতি পতাকা উড়াই। এবার চীনারা আমাদের ভূখণ্ডের কয়েক কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে বলছে যে আমরা তাদের উস্কানি দিচ্ছি। তারা আমাদেরকে পতাকা উড়াতে নিষেধ করে।
তিনি বলেন, তিনি ওই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানিয়েছেন।
লাদাখ অটোনোমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কাউন্সিলর রিগজিন স্প্যালবার স্পুটনিককে বলেন, সরকারের উচিত চীনা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটি একটি গুরুতর ব্যাপার। এবার তারা কাবজুঙ উপত্যকা নামে পরিচিত নতুন ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, চীনাদের বিরুদ্ধে কথা না বলায়, সত্য গোপন করায় তারা আসলে সাহসী হয়ে ওঠছে।
স্থানীয় ভারতীয় নেতারা ভারতীয় সৈন্যদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, তাদের কাছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তারা কেন এসেছিল। তাদের উচিত ছিল আমাদের বাহিনীকে অবগত করা।
গ্রামপ্রধান বলেন, তারা আমাদের শীতকালীন তৃণভূমি দখল করার গোপন উদ্দেশ্যে এসেছিল।
চলতি বছরের প্রথম দিকে স্থানীয় অধিবাসীরা দাবি করেন, চীনা সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে একটি রাস্তা নির্মাণ করেছে।
তারা অত্যন্ত গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তামূলক এই ঘটনাটি বিবেচনা করার জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে ৭৩ দিনের দোকলাম সঙ্কটের পর এই প্রথম চীনাদের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল।
ওই ঘটনার জের ধরে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ওহান অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের মাধ্যমে তা প্রশমন করা হয়।
দোকলাম এলাকায় অতীতের অচলাবস্থার কারণে ডেমচুক এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী শতাধিক ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে।
No comments