বিসিআইএম ইকনমিক করিডোরের জন্য ভারতের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ by হু ওয়েজিয়া
বেল্ট
এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অধীতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছে
বাংলাদেশ ও চীন। কিন্তু এই উদ্যোগের পুরো সম্ভাবনা হাসিল করার জন্য নয়া
দিল্লি’র সমর্থন প্রয়োজন।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়। বিআরআই’র মধ্যে একটি চমৎকার অবস্থানের অধিকারী হওয়া তা ভারতীয় বাজারের জন্য একটি স্প্রিংবোর্ডে পরিণত করেছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে বেইজিং গিয়েছেন এবং সেখানে তিনি বিআরআই ও বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম) ইকনমিক করিডোর এগিয়ে নিতে তার দেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় চীন। শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয় যে, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ৩১ বিলিয়ন ডলারের ইকনমিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ইকনমিক করিডোরটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন।
এই অঞ্চলের উন্নয়ন জোরদারের মানে এই নয় যে চীন বাংলাদেশের উপর নয়া দিল্লির প্রভাব কমাতে চায়। চীন কখনো এই অঞ্চলের নেতৃত্ব গ্রহণের চেষ্টা করেনি। অন্যদিকে, চীন মনে করে অর্থনৈতিক করিডোরটি নির্মাণে ভারত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যারা এই অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বকে খাটো করে দেখে তারা ভাবতে পারেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বাড়লে বেইজিং নয়া দিল্লিকে উপেক্ষা করেই এই অঞ্চলে বিআরআই এগিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু এখন বিশ্বায়নের যুগ, কোন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই একচেটিয়া নয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় চীন, যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার উপর ভারতের প্রভাব অনেক। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় মসৃণভাবে বিআরআই এগিয়ে নিতে হলে নয়া দিল্লির সমর্থন প্রয়োজন।
ভারতকে ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় সমৃদ্ধ অর্থনীতি তৈরি করা সম্ভব নয়। চীনা কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশে সড়ক, সেতু ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিনিয়োগ আরো কার্যকর হবে যদি এশিয়ায় একটি আন্ত:সংযুক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করে ভারত। তাই ভারত বিসিআইএম ইকনমিক করিডোর নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়। ইকনমিক করিডোর সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে চীনের কাছ থেকে ভারত কৃতিত্ব কেড়ে নেবে এমন ভাবনার তোয়াক্কা করে না চীন।
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমন্বয় সাধনের জন্য ইকনমিক করিডোর এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ভারত টেকসই সুবিধা লাভ করতে পারে। ওইসব প্রচেষ্টা ভারতকে এই অঞ্চলে আরো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত করবে।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়। বিআরআই’র মধ্যে একটি চমৎকার অবস্থানের অধিকারী হওয়া তা ভারতীয় বাজারের জন্য একটি স্প্রিংবোর্ডে পরিণত করেছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে বেইজিং গিয়েছেন এবং সেখানে তিনি বিআরআই ও বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম) ইকনমিক করিডোর এগিয়ে নিতে তার দেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় চীন। শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয় যে, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ৩১ বিলিয়ন ডলারের ইকনমিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ইকনমিক করিডোরটি নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন।
এই অঞ্চলের উন্নয়ন জোরদারের মানে এই নয় যে চীন বাংলাদেশের উপর নয়া দিল্লির প্রভাব কমাতে চায়। চীন কখনো এই অঞ্চলের নেতৃত্ব গ্রহণের চেষ্টা করেনি। অন্যদিকে, চীন মনে করে অর্থনৈতিক করিডোরটি নির্মাণে ভারত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যারা এই অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বকে খাটো করে দেখে তারা ভাবতে পারেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বাড়লে বেইজিং নয়া দিল্লিকে উপেক্ষা করেই এই অঞ্চলে বিআরআই এগিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু এখন বিশ্বায়নের যুগ, কোন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই একচেটিয়া নয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় চীন, যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার উপর ভারতের প্রভাব অনেক। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় মসৃণভাবে বিআরআই এগিয়ে নিতে হলে নয়া দিল্লির সমর্থন প্রয়োজন।
ভারতকে ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় সমৃদ্ধ অর্থনীতি তৈরি করা সম্ভব নয়। চীনা কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশে সড়ক, সেতু ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিনিয়োগ আরো কার্যকর হবে যদি এশিয়ায় একটি আন্ত:সংযুক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করে ভারত। তাই ভারত বিসিআইএম ইকনমিক করিডোর নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়। ইকনমিক করিডোর সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে চীনের কাছ থেকে ভারত কৃতিত্ব কেড়ে নেবে এমন ভাবনার তোয়াক্কা করে না চীন।
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমন্বয় সাধনের জন্য ইকনমিক করিডোর এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ভারত টেকসই সুবিধা লাভ করতে পারে। ওইসব প্রচেষ্টা ভারতকে এই অঞ্চলে আরো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত করবে।
No comments