কিশোরীকে খুন করে ঘরেই লুকিয়ে ছিল খুনি! by আসাদুজ্জামান
বারো
বছরের কিশোরী সাগরিকা তৃপ্তি খুন হয় নিজ বাসায়। খুনি আলম বিশ্বাস ঘরে ঢুকে
সাগরিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে সেই ঘরের মধ্যেই প্রায় দুই ঘণ্টা লুকিয়ে
ছিল। সাগরিকার মা খুনিকে দেখে ফেলায় তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
তৃপ্তি খুনের মামলা তদন্ত করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে (সিএমএম) এই তথ্য জানিয়েছে। তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করার দায়ে আলমকে অভিযুক্ত করে গত ৮ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
তৃপ্তির পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত তৃপ্তি। বাবা-মায়ের সঙ্গে তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ির তিনতলা বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকত সে। একই বাড়ির নিচতলায় থাকতেন তার বড় বোন কুলসুম। সেদিন ভোর ছয়টায় কুলসুম তৃপ্তিদের বাসায় আসেন। দেখেন, বাবা হাসান আলী নামাজ পড়তে বাইরে গেছেন। মা রওশন আরা গেছেন কারওয়ান বাজারে। তখন কুলসুম তৃপ্তিকে বলেছিলেন, ‘তৃপ্তি, স্কুলে যাবি না?’ জবাবে তৃপ্তি আটটার সময় স্কুলে যাবে বলে জানায়। এরপর বড় বোন কুলসুম নিজের বাসায় আসেন। কিন্তু ঘুমন্ত বোনকে না জাগিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেবল দরজা টেনে রেখে যান।
সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাইরে থেকে বাসার সামনে আসেন বাবা হাসান আলী। দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। লোহার দরজায় বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিরুপায় হয়ে হাসান আলী কুলসুমের স্বামী জুলফিকারকে ডেকে আনেন। জুলফিকারও জোরে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তাঁরা বাড়িওয়ালার কাছে যান। ঘটনার কথা খুলে বলেন। বাড়িওয়ালা তখন বাসার ভেন্টিলেটর ভাঙার অনুমতি দেন। দরজার ওপরের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে ঢুকে জুলফিকার দেখেন, তৃপ্তি ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর তৃপ্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় শমরিতা হাসপাতালে। যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করে যান হাসান আলী।
হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তৃপ্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে রওশন আরা বাসায় আসেন। তালা খুলে ভেতরে ঢুকে রওশন আরা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আলমকে দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিলে আলম তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, গার্মেন্টস শ্রমিক আলমই ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে তৃপ্তিকে হত্যা করে। অভিযুক্ত আসামি আলম থাকত তৃপ্তিদের বাসার সামনের একটি কক্ষে। পুলিশের ধারণা, বড় বোন ঘরের দরজা খুলে রাখার সুযোগে ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আলম। কিন্তু বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তৃপ্তির বাবা বাসায় চলে আসে। ফলে আলম আর ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
অভিযোগপত্র বলছে, চারজন লোক তৃপ্তিদের বাসার সামনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে আসামি আলমের গলায় সমস্যা দেখা দেয়। কাজে না গিয়ে সে বাসায় ছিল। তৃপ্তি সাধারণত স্কুল শেষে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে বাসায় ফিরত। ওই সময় লোকজন কম থাকত। এই সুযোগে আসামি আলম তৃপ্তিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি তৃপ্তি তার বাবা-মাকেও জানায়। আসামি আলমকে সতর্কও করে দেয়।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন তৃপ্তির মা রওশন আরা যান কারওয়ান বাজার। আর বাবা হাসান আলীও যান নামাজ পড়তে। এরপর তৃপ্তির বোন কুলসুম তৃপ্তির কক্ষে আসেন। তৃপ্তি তখন শুয়ে ছিল। কুলসুম ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে নিজের বাসায় যান। তখন আসামি আলম ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। সে তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, ধর্ষণ করে হত্যা করার পর আসামি আলম ঘরের ভেতর লুকিয়ে ছিল। তৃপ্তির মা রওশন আরাই প্রথম ঘরের ভেতর দেখে আসামি আলমকে। চিৎকার দিলে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয় আলম। মেডিকেল পরীক্ষার ফরেনসিক প্রতিবেদন বলছে, তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার কথা হয় রওশন আরার সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আলম তাঁর মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। এত দিন হয়ে গেল, পুলিশ আলমকে ধরতে পারল না। আলমের ফাঁসি চান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আলমকে ধরার জন্য চেষ্টার কমতি রাখা হয়নি। তাঁর গ্রামের বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে।
তৃপ্তি খুনের মামলা তদন্ত করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে (সিএমএম) এই তথ্য জানিয়েছে। তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করার দায়ে আলমকে অভিযুক্ত করে গত ৮ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
তৃপ্তির পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত তৃপ্তি। বাবা-মায়ের সঙ্গে তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ির তিনতলা বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকত সে। একই বাড়ির নিচতলায় থাকতেন তার বড় বোন কুলসুম। সেদিন ভোর ছয়টায় কুলসুম তৃপ্তিদের বাসায় আসেন। দেখেন, বাবা হাসান আলী নামাজ পড়তে বাইরে গেছেন। মা রওশন আরা গেছেন কারওয়ান বাজারে। তখন কুলসুম তৃপ্তিকে বলেছিলেন, ‘তৃপ্তি, স্কুলে যাবি না?’ জবাবে তৃপ্তি আটটার সময় স্কুলে যাবে বলে জানায়। এরপর বড় বোন কুলসুম নিজের বাসায় আসেন। কিন্তু ঘুমন্ত বোনকে না জাগিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেবল দরজা টেনে রেখে যান।
সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাইরে থেকে বাসার সামনে আসেন বাবা হাসান আলী। দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। লোহার দরজায় বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিরুপায় হয়ে হাসান আলী কুলসুমের স্বামী জুলফিকারকে ডেকে আনেন। জুলফিকারও জোরে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তাঁরা বাড়িওয়ালার কাছে যান। ঘটনার কথা খুলে বলেন। বাড়িওয়ালা তখন বাসার ভেন্টিলেটর ভাঙার অনুমতি দেন। দরজার ওপরের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে ঢুকে জুলফিকার দেখেন, তৃপ্তি ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর তৃপ্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় শমরিতা হাসপাতালে। যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করে যান হাসান আলী।
হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তৃপ্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে রওশন আরা বাসায় আসেন। তালা খুলে ভেতরে ঢুকে রওশন আরা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আলমকে দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিলে আলম তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, গার্মেন্টস শ্রমিক আলমই ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে তৃপ্তিকে হত্যা করে। অভিযুক্ত আসামি আলম থাকত তৃপ্তিদের বাসার সামনের একটি কক্ষে। পুলিশের ধারণা, বড় বোন ঘরের দরজা খুলে রাখার সুযোগে ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আলম। কিন্তু বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তৃপ্তির বাবা বাসায় চলে আসে। ফলে আলম আর ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
অভিযোগপত্র বলছে, চারজন লোক তৃপ্তিদের বাসার সামনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে আসামি আলমের গলায় সমস্যা দেখা দেয়। কাজে না গিয়ে সে বাসায় ছিল। তৃপ্তি সাধারণত স্কুল শেষে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে বাসায় ফিরত। ওই সময় লোকজন কম থাকত। এই সুযোগে আসামি আলম তৃপ্তিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি তৃপ্তি তার বাবা-মাকেও জানায়। আসামি আলমকে সতর্কও করে দেয়।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন তৃপ্তির মা রওশন আরা যান কারওয়ান বাজার। আর বাবা হাসান আলীও যান নামাজ পড়তে। এরপর তৃপ্তির বোন কুলসুম তৃপ্তির কক্ষে আসেন। তৃপ্তি তখন শুয়ে ছিল। কুলসুম ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে নিজের বাসায় যান। তখন আসামি আলম ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। সে তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, ধর্ষণ করে হত্যা করার পর আসামি আলম ঘরের ভেতর লুকিয়ে ছিল। তৃপ্তির মা রওশন আরাই প্রথম ঘরের ভেতর দেখে আসামি আলমকে। চিৎকার দিলে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয় আলম। মেডিকেল পরীক্ষার ফরেনসিক প্রতিবেদন বলছে, তৃপ্তিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার কথা হয় রওশন আরার সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আলম তাঁর মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। এত দিন হয়ে গেল, পুলিশ আলমকে ধরতে পারল না। আলমের ফাঁসি চান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আলমকে ধরার জন্য চেষ্টার কমতি রাখা হয়নি। তাঁর গ্রামের বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে।
No comments