আইলার বীভৎসতা ছাপিয়ে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ফণী
দশ
বছর আগে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে বয়ে
যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে প্রাণ হারান প্রায় ৩৩৯ জন মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয় দেশের উপকূলীয়
এলাকা। ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, আয়লার বীভত্সতা ছাপিয়ে যেতে পারে প্রবল
শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমশ ওড়িশার দিকে অগ্রসর হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ফণী।
বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার করে এগিয়ে আসছে মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়। বুধবার সন্ধ্যায় পুরী থেকে এর দূরত্ব ছিল ৬১০ কিলোমিটার। আর কলকাতা এবং দিঘা থেকে এর দূরত্ব ছিল যথাক্রমে এক হাজার এবং ৮শ কিলোমিটার।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার ১৯টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিন জেলায়ও। ১ মে থেকে ৫ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যেই সব পর্যটককে হোটেল ছেড়ে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। বাঙালি পর্যটকদের জন্য পুরী-কলকাতা বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে ওড়িশা সরকার। এছাড়া ১০৩ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কলকাতা আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী চূড়ান্ত রূপে আছড়ে পড়বে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকার কাঁচা ও বেড়ার বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হতে পারে।
২০০৯ সালে যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশে এবং ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল, ঠিক সে ধরনের পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে এবার। ওই বছর আইলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১১২ কিলোমিটার। তবে ফণীর গতিবেগ আরো অনেক বেশি।
ওই বছরের ২৫ মে আইলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের উপকূলীয় এলাকা। ১৫ ফুট উচ্চতা বেগের জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে সুন্দরবন উপকূলীয় কয়েকটি জেলায়। ঝড়ের আঘাতে বাংলাদেশ এবং ভারতে প্রাণ যায় অন্তত ৩৩৯ জনের। জনজীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। রাস্তা-ঘাট ভেঙে যায়, হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যায় হাজার হাজার গবাদি পশু। সেই আয়লার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন উপকূলীয় জনপদের লাখ লাখ মানুষ।
ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, ওড়িশায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ফণী। পরে সেখান থেকে গতিপথ বদলে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার করে এগিয়ে আসছে মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়। বুধবার সন্ধ্যায় পুরী থেকে এর দূরত্ব ছিল ৬১০ কিলোমিটার। আর কলকাতা এবং দিঘা থেকে এর দূরত্ব ছিল যথাক্রমে এক হাজার এবং ৮শ কিলোমিটার।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার ১৯টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিন জেলায়ও। ১ মে থেকে ৫ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যেই সব পর্যটককে হোটেল ছেড়ে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। বাঙালি পর্যটকদের জন্য পুরী-কলকাতা বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে ওড়িশা সরকার। এছাড়া ১০৩ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কলকাতা আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী চূড়ান্ত রূপে আছড়ে পড়বে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকার কাঁচা ও বেড়ার বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হতে পারে।
২০০৯ সালে যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশে এবং ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল, ঠিক সে ধরনের পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে এবার। ওই বছর আইলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১১২ কিলোমিটার। তবে ফণীর গতিবেগ আরো অনেক বেশি।
ওই বছরের ২৫ মে আইলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের উপকূলীয় এলাকা। ১৫ ফুট উচ্চতা বেগের জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে সুন্দরবন উপকূলীয় কয়েকটি জেলায়। ঝড়ের আঘাতে বাংলাদেশ এবং ভারতে প্রাণ যায় অন্তত ৩৩৯ জনের। জনজীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। রাস্তা-ঘাট ভেঙে যায়, হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যায় হাজার হাজার গবাদি পশু। সেই আয়লার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন উপকূলীয় জনপদের লাখ লাখ মানুষ।
ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, ওড়িশায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ফণী। পরে সেখান থেকে গতিপথ বদলে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।
No comments