রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা: মধ্যস্থতার পথেই রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট
মধ্যস্থতার
পথেই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তিন সদস্যের একটি
প্যানেল তৈরি করে দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি
ইব্রাহিম খলিফুল্লার নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিকে আট সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা
দিতে বলা হয়েছে।
প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন ধর্মগুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর এবং আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু। চার সপ্তাহের মধ্যে মধ্যস্থতার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছিলেন, বাবর কী করেছিলেন, তা এখন আর পাল্টানো যাবে না। সে সময় মন্দির ছিল না মসজিদ, তা-ও এখন বদলানো সম্ভব নয়।
কারণ অতীতের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে মস্তিষ্ক ও মনের ক্ষতে মলম দেওয়া সম্ভব।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছেন, এটি শুধু সম্পত্তির বিবাদ নয়। সম্ভব হলে, মস্তিষ্ক, হৃদয় ও ক্ষত নিরাময়ের বিষয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার মাধ্যমে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদ মেটানোর পক্ষে সওয়াল করলেও উত্তরপ্রদেশ সরকার অবশ্য আগেই মধ্যস্থতার বিরোধিতা করেছে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মতো মুসলিম পক্ষ, হিন্দুদের মধ্যে নির্মোহী আখড়া রাজি থাকলেও, হিন্দু মহাসভা এর বিরোধিতা করে যুক্তি দিয়েছে, এটা শুধু মামলাকারী দু’পক্ষের বিষয় নয়। দুই সম্প্রদায়ের সমস্যা। আমজনতা এই মধ্যস্থতা মানবে না। অযোধ্যায় সমঝোতার উদ্যোগ অবশ্য এর আগেও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর ও নরসিংহ রাওয়ের সময়ে আলোচনায় অযোধ্যা বিতর্ক মেটানোর চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টায় কোনও ফল পাওয়া যায় নি।
২০১০-এর অগস্টে মধ্যস্থতায় গুরুত্ব দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে আপত্তি জানিয়েছিলেন হিন্দু মামলাকারীরা। এরপর ২০১৭-এর মার্চে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর নিজেই মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। তবে তা শেষ পর্যন্ত এগোয়নি। এরই মধ্যে ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করও মধ্যস্ততার চেষ্টা করেছিলেন। মধ্যস্থতার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অযোধ্যায় বিরাজমান রামলালা-র আইনজীবী। আদালতে রামলালার আইনজীবী বলেছেন, রামের জন্মস্থানেই মন্দির তৈরি করতে হবে। রাম যে অযোধ্যাতেই জন্ম নিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও বিবাদ নেই। বিবাদ হল, সেই জন্মস্থান ঠিক কোথায়? রামের জন্মস্থান নিয়ে কোনও মধ্যস্থতা হতে পারে না। অযোধ্যা বিবাদে এর আগেও মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে আপত্তি ওঠায় বিচারপতি বোবদে বলেছেন, আমাদের ইতিহাস বোঝাবেন না। আমরাও ইতিহাস জানি। অতীতের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
কে হানা দিয়েছিল, বাবর কী করেছিলেন, কে সে সময় রাজা ছিলেন, সেখানে মসজিদ ছিল না মন্দির, তার উপরে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আদালতে দু’পক্ষের মধ্যস্থতা দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মানবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেছেন, আমরা কী ভাবে মধ্যস্থতা লক্ষ লক্ষ মানুষের উপরে চাপিয়ে দেব? এটা ততখানি সরল হবে না। কিন্তু বিচারপতি বোবদে বলেছেন, যখন এক পক্ষ একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছে, তা আদালতের লড়াই হোক বা মধ্যস্থতা, তা মানতেই হবে।
প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন ধর্মগুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর এবং আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু। চার সপ্তাহের মধ্যে মধ্যস্থতার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছিলেন, বাবর কী করেছিলেন, তা এখন আর পাল্টানো যাবে না। সে সময় মন্দির ছিল না মসজিদ, তা-ও এখন বদলানো সম্ভব নয়।
কারণ অতীতের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে মস্তিষ্ক ও মনের ক্ষতে মলম দেওয়া সম্ভব।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছেন, এটি শুধু সম্পত্তির বিবাদ নয়। সম্ভব হলে, মস্তিষ্ক, হৃদয় ও ক্ষত নিরাময়ের বিষয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার মাধ্যমে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদ মেটানোর পক্ষে সওয়াল করলেও উত্তরপ্রদেশ সরকার অবশ্য আগেই মধ্যস্থতার বিরোধিতা করেছে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মতো মুসলিম পক্ষ, হিন্দুদের মধ্যে নির্মোহী আখড়া রাজি থাকলেও, হিন্দু মহাসভা এর বিরোধিতা করে যুক্তি দিয়েছে, এটা শুধু মামলাকারী দু’পক্ষের বিষয় নয়। দুই সম্প্রদায়ের সমস্যা। আমজনতা এই মধ্যস্থতা মানবে না। অযোধ্যায় সমঝোতার উদ্যোগ অবশ্য এর আগেও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর ও নরসিংহ রাওয়ের সময়ে আলোচনায় অযোধ্যা বিতর্ক মেটানোর চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টায় কোনও ফল পাওয়া যায় নি।
২০১০-এর অগস্টে মধ্যস্থতায় গুরুত্ব দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে আপত্তি জানিয়েছিলেন হিন্দু মামলাকারীরা। এরপর ২০১৭-এর মার্চে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর নিজেই মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। তবে তা শেষ পর্যন্ত এগোয়নি। এরই মধ্যে ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করও মধ্যস্ততার চেষ্টা করেছিলেন। মধ্যস্থতার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অযোধ্যায় বিরাজমান রামলালা-র আইনজীবী। আদালতে রামলালার আইনজীবী বলেছেন, রামের জন্মস্থানেই মন্দির তৈরি করতে হবে। রাম যে অযোধ্যাতেই জন্ম নিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও বিবাদ নেই। বিবাদ হল, সেই জন্মস্থান ঠিক কোথায়? রামের জন্মস্থান নিয়ে কোনও মধ্যস্থতা হতে পারে না। অযোধ্যা বিবাদে এর আগেও মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে আপত্তি ওঠায় বিচারপতি বোবদে বলেছেন, আমাদের ইতিহাস বোঝাবেন না। আমরাও ইতিহাস জানি। অতীতের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
কে হানা দিয়েছিল, বাবর কী করেছিলেন, কে সে সময় রাজা ছিলেন, সেখানে মসজিদ ছিল না মন্দির, তার উপরে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আদালতে দু’পক্ষের মধ্যস্থতা দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মানবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেছেন, আমরা কী ভাবে মধ্যস্থতা লক্ষ লক্ষ মানুষের উপরে চাপিয়ে দেব? এটা ততখানি সরল হবে না। কিন্তু বিচারপতি বোবদে বলেছেন, যখন এক পক্ষ একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছে, তা আদালতের লড়াই হোক বা মধ্যস্থতা, তা মানতেই হবে।
No comments