দৌলতপুরে দৈনিক পুড়ছে ৩০ হাজার মণ জ্বালানি কাঠ, হুমকির মুখে পরিবেশ
কুষ্টিয়ার
দৌলতপুরে অবৈধ স্থায়ী বা অস্থায়ী চিমনির ইটভাটাগুলোতে অবাধে চলছে জ্বালানি
হিসেবে কাঠপোড়ানোর মহোৎসব। সরকারি ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন না মেনে
উপজেলার প্রায় ৩০টি ইটভাটায় দেদার পোড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি
কাঠ বা কাঠের গুঁড়ি। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এর
ফলে উজাড় হচ্ছে সবুজ বৃক্ষ। উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন বনাঞ্চল
থেকে গাছ কিনে এসব অসাধু ভাটা মালিকরা জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার করছে।
আর এসব ইটভাটাগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হয়ে পড়ছে চারপাশের
পরিবেশ। এতে একদিকে যেমন উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল অপরদিকে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে
হুমকির মুখে। দৌলতপুর উপজেলার হাসপাতাল রোডের সরকারি শেখ ফজিলাতুনেছা
মুজিব মহিলা কলেজ সংলগ্ন স্থানে গড়ে ওঠা ৪টি ইটভাটাসহ কল্যাণপুর, ডাংমড়কা,
মানিকদিয়াড়, সাদীপুর, রিফায়েতপুর, চকদৌলতপুর, ঝাউদিয়া, সংগ্রামপুর,
বড়গাংদিয়া, বোয়ালিয়া, স্বরূপপুর ও প্রাগপুর এলাকার সব ইটভাটায় হাজার হাজার
মণ গাছের গুঁড়ির স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
শুধু তাই নয়, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ছোট-বড় ৯টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার চুল্লিগুলোতে ১২০ ফুট উঁচু স্থায়ী চিমনির পরিবর্তে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ ফুট উচু ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে পোড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চলের সবুজ বৃক্ষ। দৌলতপুর উপজেলার সদরে স্বরূপপুর, মানিকদিয়াড় ও সাদীপুর এলাকার ইটভাটাসহ সব ইটভাটাতে অবাঁধে কাঠ পোড়ানো হলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন লতিবমোড়ে প্রতিদিন প্রকাশ্যেই ট্রাকভর্তি জ্বালানি কাঠ ওজন দেয়া হচ্ছে। আর এসব নিষিদ্ধ ইটভাটায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সেই মাটি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট। প্রতিটি ভাটায় এক রাউন্ড ইট পোড়াতে সময় লাগে ১২-১৫ দিন। সে হিসেবে একটি মৌসুমে প্রায় ১০ থেকে ১২ রাউন্ড ইট পোড়ানো সম্ভব। এক রাউন্ড ইট পোড়াতে ১০ থেকে ১২ হাজার মণ জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী প্রতিটি ইটভাটায় এক মৌসুমে এক লাখ মণ জ্বালানি হিসেবে সবুজ বৃক্ষ বা কাঠ পোড়ানো হলে ৩০টি ভাটায় ৩০ লাখ মণেরও বেশি প্রয়োজন। এছাড়াও ইটভাটাগুলো সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো উর্বর ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠায় ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে, পরিবেশ হচ্ছে বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে আবাদি জমি ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি জমির উর্বরাশক্তি হারাচ্ছে। তবে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বেশ কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর দায়ে অর্থদণ্ড ও ভাটা মালিকদের সতর্ক করলেও ভাটা মালিকরা তা না মেনে অবাধ পূর্বের ধারাবাহিকতায় কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে। তাই বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের নজরে নেয়া প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। একই সঙ্গে পরিবেশ ও আবাদি জমি রক্ষায় এসব অবৈধ স্থায়ী বা অস্থায়ী চিমনির ভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে সচেতন মহলের দাবি।
শুধু তাই নয়, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ছোট-বড় ৯টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার চুল্লিগুলোতে ১২০ ফুট উঁচু স্থায়ী চিমনির পরিবর্তে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ ফুট উচু ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে পোড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চলের সবুজ বৃক্ষ। দৌলতপুর উপজেলার সদরে স্বরূপপুর, মানিকদিয়াড় ও সাদীপুর এলাকার ইটভাটাসহ সব ইটভাটাতে অবাঁধে কাঠ পোড়ানো হলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন লতিবমোড়ে প্রতিদিন প্রকাশ্যেই ট্রাকভর্তি জ্বালানি কাঠ ওজন দেয়া হচ্ছে। আর এসব নিষিদ্ধ ইটভাটায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সেই মাটি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট। প্রতিটি ভাটায় এক রাউন্ড ইট পোড়াতে সময় লাগে ১২-১৫ দিন। সে হিসেবে একটি মৌসুমে প্রায় ১০ থেকে ১২ রাউন্ড ইট পোড়ানো সম্ভব। এক রাউন্ড ইট পোড়াতে ১০ থেকে ১২ হাজার মণ জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী প্রতিটি ইটভাটায় এক মৌসুমে এক লাখ মণ জ্বালানি হিসেবে সবুজ বৃক্ষ বা কাঠ পোড়ানো হলে ৩০টি ভাটায় ৩০ লাখ মণেরও বেশি প্রয়োজন। এছাড়াও ইটভাটাগুলো সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো উর্বর ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠায় ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে, পরিবেশ হচ্ছে বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে আবাদি জমি ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি জমির উর্বরাশক্তি হারাচ্ছে। তবে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বেশ কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর দায়ে অর্থদণ্ড ও ভাটা মালিকদের সতর্ক করলেও ভাটা মালিকরা তা না মেনে অবাধ পূর্বের ধারাবাহিকতায় কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে। তাই বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের নজরে নেয়া প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। একই সঙ্গে পরিবেশ ও আবাদি জমি রক্ষায় এসব অবৈধ স্থায়ী বা অস্থায়ী চিমনির ভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে সচেতন মহলের দাবি।
No comments