যেভাবে প্রতিষ্ঠা আজকের ঢামেক হাসপাতাল
পূর্ব
বাংলা ও আসাম প্রাদেশিক সরকারের দপ্তর ছিল ভবনটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় এখানে স্থাপন করা হয় আমেরিকান আর্ম ফোর্সেস হাসপাতাল। যুদ্ধ শেষ
হওয়ার পর ভবনটি খালি হওয়ার পর শুরু হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম।
যা আজকের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দেশের চিকিৎসা সেবার সর্ববৃহৎ
প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৬ সালের ১০ই জুলাই এর যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে এই হাসপাতালের
শয্যা ছিল ৫০০।
১৯৭৩ সালে হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৫০-এ উন্নীত করা হয়।
১৯৭৫ সালে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৫০ থেকে ৮০০তে নামিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৭০০তে উন্নীত করলেও সে অনুপাতে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি। ২০১৭ সালের ১৭ই নভেম্বর ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা এখন ২৩০০। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কেবলই একটি চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ নয়। এদেশের গৌরবময় ইতিহাসেরও একটি অংশ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু তরে ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জাগ্রত ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ। একটি মাত্র ভবন নিয়ে পথচলা শুরু করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বর্তমানে প্রায় ২৫ একর জমিতে হাসপাতাল, কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটটি রূপ পেয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। বলা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন ইউনিট এটি।
শুরুতে হাসপাতাল ভবনেই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস হলেও ১৯৫৫ সালে একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য বর্তমান কলেজ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বেসিক বিষয়গুলোর জন্য স্থান বরাদ্দের পাশাপাশি আরো কিছু স্থাপনা রয়েছে। ১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের একটি ওয়ার্ডে ছয়টি বেড নিয়ে বার্ন বিভাগের যাত্রা শুরু করেন দেশের প্রথম প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। পরে অধ্যাপক সামন্ত লালের চেষ্টায় ২০০৩ সালে সেটি ৫০ বেডের পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসাবে কাজ শুরু করে। ২০১০ সালের ৩রা জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৭ জনের মৃত্যুর পর বার্ন ইউনিটের সক্ষমতা আরো বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এই ইউনিটের বেড বাড়িয়ে প্রথমে ১০০ ও পরে ৩০০ করা হয়। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ অনেক রোগী এই বার্ন ইউনিট থেকেই চিকিৎসা নেন।
ওই সময় পুরনো টিভি হাসপাতালকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করে ওই জমিতে ৫০০ শয্যার একটি ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়। ২০১৫ সালের ২৪শে নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশের কয়েক লাখ পোড়া রোগীকে সেবা দিতে দেড় হাজার বিশেষজ্ঞ সার্জন তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালের ৬ই মার্চ এই ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। ২০১৮ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার নামে অত্যাধুনিক এই ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মোট ৩৪টি বিভাগ রয়েছে। রোগী ভর্তি হন এমন ওয়ার্ড আছে ৭১টি। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকবল রয়েছে।
১৯৭৩ সালে হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৫০-এ উন্নীত করা হয়।
১৯৭৫ সালে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৫০ থেকে ৮০০তে নামিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৭০০তে উন্নীত করলেও সে অনুপাতে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি। ২০১৭ সালের ১৭ই নভেম্বর ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা এখন ২৩০০। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কেবলই একটি চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ নয়। এদেশের গৌরবময় ইতিহাসেরও একটি অংশ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু তরে ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জাগ্রত ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ। একটি মাত্র ভবন নিয়ে পথচলা শুরু করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বর্তমানে প্রায় ২৫ একর জমিতে হাসপাতাল, কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটটি রূপ পেয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। বলা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন ইউনিট এটি।
শুরুতে হাসপাতাল ভবনেই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস হলেও ১৯৫৫ সালে একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য বর্তমান কলেজ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বেসিক বিষয়গুলোর জন্য স্থান বরাদ্দের পাশাপাশি আরো কিছু স্থাপনা রয়েছে। ১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের একটি ওয়ার্ডে ছয়টি বেড নিয়ে বার্ন বিভাগের যাত্রা শুরু করেন দেশের প্রথম প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। পরে অধ্যাপক সামন্ত লালের চেষ্টায় ২০০৩ সালে সেটি ৫০ বেডের পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসাবে কাজ শুরু করে। ২০১০ সালের ৩রা জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৭ জনের মৃত্যুর পর বার্ন ইউনিটের সক্ষমতা আরো বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এই ইউনিটের বেড বাড়িয়ে প্রথমে ১০০ ও পরে ৩০০ করা হয়। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ অনেক রোগী এই বার্ন ইউনিট থেকেই চিকিৎসা নেন।
ওই সময় পুরনো টিভি হাসপাতালকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করে ওই জমিতে ৫০০ শয্যার একটি ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়। ২০১৫ সালের ২৪শে নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশের কয়েক লাখ পোড়া রোগীকে সেবা দিতে দেড় হাজার বিশেষজ্ঞ সার্জন তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালের ৬ই মার্চ এই ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। ২০১৮ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার নামে অত্যাধুনিক এই ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মোট ৩৪টি বিভাগ রয়েছে। রোগী ভর্তি হন এমন ওয়ার্ড আছে ৭১টি। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকবল রয়েছে।
No comments