যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বাংলাদেশের হতাশা
আন্তর্জাতিক
পর্যবেক্ষকদের ভিসা না দেয়া এবং সবচেয়ে বড় বিদেশি পর্যবেক্ষক মিশনের
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘটনায় ঢাকা-ওয়াশিংটন শব্দের লড়াই
শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমে হতাশা ব্যক্ত করে
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তা
খণ্ডনের চেষ্টা করেছে ঢাকা। ২১শে ডিসেম্বর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের
উপ-মুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো এক বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ
মিশন আনফ্রেলের পর্যবেক্ষকদের ভিসা ও অনুমোদন দিতে বাংলাদেশ ব্যর্থ হওয়ায়
হতাশ যুক্তরাষ্ট্র। যথাসময়ে অনুমোদন ও ভিসা না পাওয়ার কারণেই আনফ্রেল
বাংলাদেশে তাদের পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য হয়েছে। ওই
সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের
জন্য নিযুক্ত হয়েছিল। জবাবে বাংলাদেশের তরফে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বহিঃপ্রচার অনুবিভাগ প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়- বাংলাদেশে নির্বাচন
পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠনের ১৭৫ প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন
করেছেন। আনফ্রেলসহ বেশকিছু সংগঠনের প্রতিনিধির পর্যবেক্ষণের অনুমোদন বা
স্বীকৃতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস
(আনফ্রেল)-এর পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিজস্ব মন্তব্য
করে জানানো হয়- তা সত্ত্বেও তাদের আবেদনকারীদের প্রায় অর্ধেকের ইতিমধ্যে
অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং বাকিদের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে ৩২ জন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে- জানিয়ে একটি বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশন চালানোর মতো সময়ের মধ্যে তাদের পরিচয়পত্র (অ্যাক্রিডিটেশন) ও ভিসা প্রদান নিশ্চিতে ঢাকার প্রতি অনুরোধ করেছিল। নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেও বিষয়টি অবহিত করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন দোরগোড়ায় এলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি আনফ্রেলের অধিকাংশ পর্যবেক্ষকের ভিসা হয়নি। এ অবস্থায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ-মুখপাত্র তার বিবৃতিতে বলেন, এবারের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় বাংলাদেশ সরকারকে স্থানীয় এনজিওগুলোর গঠন করা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইউডব্লিউজি)কে স্বীকৃতি দিতে হবে। যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অত্যাবশ্যক কাজগুলো করতে পারেন। এরমধ্যে ইউএসএআইডির অর্থায়ন করা বেশ কয়েকটি এনজিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগ থাকতে হবে। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে যাতে তারা নির্বাচনের সকল সংবাদ প্রচার করতে পারে। হুমকি, সহিংসতা ও হয়রানি ছাড়াই প্রত্যেকে যাতে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির জবাবে বাংলাদেশ সরকারের গতকালের বিবৃতিতে দাবি করা হয়- একাদশ সংসদ নির্বাচন ‘উৎসবমুখর পরিবেশে’ হচ্ছে। ওই নির্বাচনে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি বাংলাদেশকে হতাশ করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়- নির্বাচন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং তারা তাদের কাজ স্বাধীনভাবে করে যাচ্ছে। আনফ্রেলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশের এনজিও ‘অধিকার’-এর কার্যক্রমের কড়া সমালোচনা করে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়- ‘অধিকার বাংলাদেশ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বৈপরীত্য ও পক্ষপাতিত্বের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। যা তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে; এমনকি ২০১৮ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্টেও স্পষ্ট। এর আগে অধিকারের অন্যতম একজন শীর্ষ স্থানীয় বাংলাদেশি সদস্যকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। যা তার সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে অযোগ্য করে তোলে। বিবৃতিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানায় উল্লেখ করে বলা হয়- নির্বাচন কমিশনের আইন ও নির্দেশিকা অনুসারে প্রত্যেক আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী নিশ্চিতভাবে পূরণের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
ঢাকার বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে- স্থানীয়ভাবে ১১৮টি সংগঠন এবং ২৫ হাজার ৯২০ জনকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়- বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে সহযোগী ও বন্ধুদের কাছ থেকে আনা গঠনমূলক সমালোচনা আশা করে। ঢাকা অবশ্য সেই সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। উল্লেখ্য, গত ২০ বছরের মধ্যে এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য (ব্যতিক্রম ২০১৪’র ৫ই জানুয়ারি) সবচেয়ে কম সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় বেশিরভাগই (নিবন্ধিতদের) ৩০শে ডিসেম্বরের ভোটের আগে ঢাকা আসতে পারছেন না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে ৩২ জন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে- জানিয়ে একটি বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশন চালানোর মতো সময়ের মধ্যে তাদের পরিচয়পত্র (অ্যাক্রিডিটেশন) ও ভিসা প্রদান নিশ্চিতে ঢাকার প্রতি অনুরোধ করেছিল। নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেও বিষয়টি অবহিত করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন দোরগোড়ায় এলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি আনফ্রেলের অধিকাংশ পর্যবেক্ষকের ভিসা হয়নি। এ অবস্থায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ-মুখপাত্র তার বিবৃতিতে বলেন, এবারের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় বাংলাদেশ সরকারকে স্থানীয় এনজিওগুলোর গঠন করা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইউডব্লিউজি)কে স্বীকৃতি দিতে হবে। যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অত্যাবশ্যক কাজগুলো করতে পারেন। এরমধ্যে ইউএসএআইডির অর্থায়ন করা বেশ কয়েকটি এনজিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগ থাকতে হবে। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে যাতে তারা নির্বাচনের সকল সংবাদ প্রচার করতে পারে। হুমকি, সহিংসতা ও হয়রানি ছাড়াই প্রত্যেকে যাতে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির জবাবে বাংলাদেশ সরকারের গতকালের বিবৃতিতে দাবি করা হয়- একাদশ সংসদ নির্বাচন ‘উৎসবমুখর পরিবেশে’ হচ্ছে। ওই নির্বাচনে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি বাংলাদেশকে হতাশ করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়- নির্বাচন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং তারা তাদের কাজ স্বাধীনভাবে করে যাচ্ছে। আনফ্রেলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশের এনজিও ‘অধিকার’-এর কার্যক্রমের কড়া সমালোচনা করে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়- ‘অধিকার বাংলাদেশ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বৈপরীত্য ও পক্ষপাতিত্বের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। যা তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে; এমনকি ২০১৮ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্টেও স্পষ্ট। এর আগে অধিকারের অন্যতম একজন শীর্ষ স্থানীয় বাংলাদেশি সদস্যকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। যা তার সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে অযোগ্য করে তোলে। বিবৃতিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানায় উল্লেখ করে বলা হয়- নির্বাচন কমিশনের আইন ও নির্দেশিকা অনুসারে প্রত্যেক আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী নিশ্চিতভাবে পূরণের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
ঢাকার বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে- স্থানীয়ভাবে ১১৮টি সংগঠন এবং ২৫ হাজার ৯২০ জনকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়- বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে সহযোগী ও বন্ধুদের কাছ থেকে আনা গঠনমূলক সমালোচনা আশা করে। ঢাকা অবশ্য সেই সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। উল্লেখ্য, গত ২০ বছরের মধ্যে এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য (ব্যতিক্রম ২০১৪’র ৫ই জানুয়ারি) সবচেয়ে কম সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় বেশিরভাগই (নিবন্ধিতদের) ৩০শে ডিসেম্বরের ভোটের আগে ঢাকা আসতে পারছেন না।
No comments