দেখব ঘুরে ইরান এবার: ইরানি তুর্কামানদের বিয়ের অনুষ্ঠান
তুর্কামানদের
বিভিন্ন গোত্র রয়েছে। গোত্রভেদে তাদের বিয়ের আয়োজন অনুষ্ঠানেও কিছু কিছু
পার্থক্য রয়েছে। আমরা মোটামুটি বিয়ের যেসব আনুষ্ঠানিকতায় অভিন্নতা রয়েছে
সেগুলোর দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করবো। অপরাপর কওমের মতো তুর্কামানদের মাঝেও
বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।
তাদের বিশ্বাস হলো প্রত্যেকটি মানুষেরই বিয়ে করা উচিত। ধর্মীয় বিধি বিধানের অনেক আগে থেকেই তাঁবুবাসী তুর্কামানদের মাঝে এই বিয়ের প্রথা চালু ছিল বলে মনে করা হয়। বিয়ের এই প্রথার ক্ষেত্রে তুর্কামান উপজাতি কিংবা গ্রামবাসীদের মাঝে খুব কমই পরিবর্তন এসেছে। আজো তাদের বিয়ের উৎসব অনুষ্ঠানাদিতে সেই প্রাচীন উপজাতীয় রীতি রেওয়াজ বা ঐতিহ্য লক্ষ্য করা যায়।
বিশেষ করে বলা যায় তুর্কামানরা এখনো অল্প বয়সেই বিয়ে করে পরিবার গঠনে মনোনিবেশ করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুর্কামানদের সামাজিক এবং পারিবারিক জীবন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসা সত্ত্বেও এখনো নিজেদের ঐতিহ্যবাহী রীতি রেওয়াজগুলো তাদের মাঝে রয়ে গেছে। নিজেদের গোত্রগত প্রীতিকে আরো দৃঢ়তরো করতে প্রাচীন বহু রীতিনীতি এখনো তারা পালন করে যাচ্ছে। তাদের মাঝে ‘দারুনে হামসারি’ নামে একটা বিধান আছে।
এর অর্থ হচ্ছে নিজেদের ভেতরেই বর কনে পছন্দ করা। এর ফলে একান্ত কাছের আত্মীয় স্বজনের মধ্য থেকেই পাত্র পাত্রী নির্বাচন করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই নীতি অনুযায়ী অন্য কোনো গোত্র থেকে পাত্র কিংবা নির্বাচন করার চেয়ে নিজেদের গোত্র থেকে নির্বাচন করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তুর্কামানদের বাইরে বিয়ে করার উদাহরণ তেমন একটা মেলে না। কেউ যদি করেও বসে তাহলে তুর্কামানদের সামাজিক আইনে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।
তুর্কামানদের মাঝে প্রচলিত বিয়ের সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। তুর্কামান উপজাতীয় অধিবাসীরা বিয়ে করার ক্ষেত্রে বা বলা ভালো পাত্র পাত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নীতিমালা ও মূল্যবোধকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। পাত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কণের মায়ের ব্যক্তিত্বের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস হলো এমন পাত্রী নির্বাচন করতে হবে যার মায়ের যোগ্যতা এবং উপযুক্ততা প্রশ্নাতীত হয়। এর বাইরে কাজে কর্মে গুণবতী হওয়া, শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া, ধৈর্য শক্তি থাকা, বিপদ আপদে ভেঙে না পড়া, যে-কোনো বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলার মানসিকতা থাকা ইত্যাদি বিষয়কেও কণের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়।
বিবাহ পরবর্তী দাম্পত্য জীবনের শুরুটা যেহেতু সবার জন্যেই আনন্দের সেজন্যে তুর্কামানদের মাঝে অভিন্ন জীবন শুরুর অনুষ্ঠানও বেশ জাঁকজমকের সাথে বিশেষ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। এইসব অনুষ্ঠানের পরতে পরতে তুর্কামানদের সমাজে বিদ্যমান বিচিত্র বিশ্বাস ও মূল্যবোধের চিত্র ফুটে ওঠে। তুর্কামানদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কয়েকটি পর্ব আছে। একেক পর্বে একেক ধরনের আয়োজন হয়। যেমন, বিয়ের প্রথম পর্বটি বর কনে নয় বরং তাদের বাবা মায়ের সাথে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে জামাই অর্থাৎ বরের বাবা মাকে নির্বাচিত পাত্রীর সাথে বিয়ের আয়োজনের জন্যে রাজি করানো হয় এই পর্বে। তাদের সম্মতি ছাড়া কিছুতেই বিয়ে হবার নয়।
একইভাবে পাত্রীর বাবাকেও রাজি করানোর বিষয়টি রয়েছে এই পর্বে। তার মানে দাঁড়ালো কেবল পাত্র আর পাত্রী নিজেরা নিজেদেরকে পছন্দ করে বিয়ে করা যাবে না। অবশ্যই উভয় পক্ষের মুরব্বিরা অর্থাৎ বাবা-মায়ের সম্মতি থাকতে হবে। বরের বাবা সম্মত হলে তিনি পরিবারের সবার সাথে পরামর্শ করে পরিবারের একজন বয়স্ক সদস্যকে কনের বাড়িতে পাঠান তাদের সম্মতি নেওয়ার জন্যে। মোটামুটি পরিবার, সংসার সম্পর্কে যার অভিজ্ঞতা আছে সেরকম একজন অভিজ্ঞ এবং দূরদর্শী ব্যক্তিকেই কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। কনের বাবা বা মুরব্বি যদি বর পক্ষের প্রস্তাবে রাজি হন তাহলেই কেবল দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হয়।
দ্বিতীয় পর্ব হলো কনের জন্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া। বর পক্ষের প্রস্তাবে কনে পক্ষ যদি সম্মতি দেয় তাহলে বর পক্ষের পরিবার একটা সুন্দর দিনক্ষণ ঠিক করে পরিবারের এক দল নারী সদস্যকে পাঠায় পাত্রী পক্ষের বাড়িতে। কনে পক্ষ তখন পাত্র পক্ষের অতিথিদেরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে ভালোভাবে আদর আপ্যায়ন করে। এই অনুষ্ঠানটিতে শুধুমাত্র নারী সদস্যরাই অংশ গ্রহণ করে। বর পক্ষ থেকে বিচিত্র মিষ্টি এবং হাতে তৈরি রুটি পাঠানো হয় কনের বাড়িতে। তুর্কামান নারীদের তৈরি এই বিশেষ আয়োজনের বিশেষ মিষ্টির নাম হচ্ছে ‘সচক’। এই সচক কেবল অ্যাঙ্গেইজমেন্ট অনুষ্ঠানের জন্যেই তৈরি করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বর এবং কনে পক্ষের আত্মীয়রাই এই সচক সরবরাহ করে থাকে। এই মিষ্টি আদান প্রদানও করা হয় বর এবং কনে পক্ষের মাঝে। তাতে দুপক্ষের মাঝে নিবীড় বন্ধন তৈরি হয়।
তুর্কামানদের মাঝে প্রচলিত বিয়ের পরবর্তী পর্ব হলো ‘শিরবাহ’। এই শিরবাহ অনুষ্ঠানটি মূলত উপহার আদান প্রদানের আয়োজন। এই উপহারের ক্ষেত্রে নগদ টাকা, কোনো মাল বা পণ্য এমনকি দুম্বা, গরু, উটও হতে পারে। এরপরের পর্বেই থাকে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে বর পক্ষ একটা দুম্বা জবাই করে এবং তার একটা অংশকে রূপার কয়েন দিয়ে সাজানো হয়। কয়েনে সাজানো মাংসের সাথে আরো অনেক উপহার সামগ্রী দিয়ে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। এদিন বিয়ের কনে একটি নির্দিষ্ট তাঁবুতে বসে থাকে। এই তাঁবুটি তুর্কামান উপজাতীদের বিয়ের বিশেষ তাঁবু। কিংবা নিকট কোনো আত্মীয়ের বাসাতেও বসতে পারে। তাকে ঘিরে থাকে পরিবারের নারী সদস্যরা। এখানে বর পক্ষের নারীরাও সমবেত হয়। কনে এদিন খুব একটা কথাবার্তা বলে না। দুপক্ষের মুরব্বিদের প্রতিই কনের অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি থাকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন বিশেষ উৎসবের আয়োজন হয়। বরের ঘরে নেওয়ার সময় কনের মাথার পরে লাল রঙের ওড়না পরানো হয়। লাল রঙ তুর্কামানদের মাঝে আনন্দের প্রতীক। আনন্দ উৎসব হৈ হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে কনেকে বরের বাড়িতে নেওয়ার সাথে সাথে অতিথিদের আপ্যায়নের কাজ শুরু হয়ে যায়। সেইদিনই বিকেলে একজন আলেম ডেকে আকদ অনুষ্ঠান করা হয়। এই আকদই হলো মূলত বিয়ে। দুপক্ষের সম্মতিতে আকদ হয়ে যাবার পর আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। বিয়ের জন্যে বিশেষ একটি আনন্দ আয়োজনের নাম হলো ‘সেচমেক’।
তাদের বিশ্বাস হলো প্রত্যেকটি মানুষেরই বিয়ে করা উচিত। ধর্মীয় বিধি বিধানের অনেক আগে থেকেই তাঁবুবাসী তুর্কামানদের মাঝে এই বিয়ের প্রথা চালু ছিল বলে মনে করা হয়। বিয়ের এই প্রথার ক্ষেত্রে তুর্কামান উপজাতি কিংবা গ্রামবাসীদের মাঝে খুব কমই পরিবর্তন এসেছে। আজো তাদের বিয়ের উৎসব অনুষ্ঠানাদিতে সেই প্রাচীন উপজাতীয় রীতি রেওয়াজ বা ঐতিহ্য লক্ষ্য করা যায়।
বিশেষ করে বলা যায় তুর্কামানরা এখনো অল্প বয়সেই বিয়ে করে পরিবার গঠনে মনোনিবেশ করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুর্কামানদের সামাজিক এবং পারিবারিক জীবন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসা সত্ত্বেও এখনো নিজেদের ঐতিহ্যবাহী রীতি রেওয়াজগুলো তাদের মাঝে রয়ে গেছে। নিজেদের গোত্রগত প্রীতিকে আরো দৃঢ়তরো করতে প্রাচীন বহু রীতিনীতি এখনো তারা পালন করে যাচ্ছে। তাদের মাঝে ‘দারুনে হামসারি’ নামে একটা বিধান আছে।
এর অর্থ হচ্ছে নিজেদের ভেতরেই বর কনে পছন্দ করা। এর ফলে একান্ত কাছের আত্মীয় স্বজনের মধ্য থেকেই পাত্র পাত্রী নির্বাচন করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই নীতি অনুযায়ী অন্য কোনো গোত্র থেকে পাত্র কিংবা নির্বাচন করার চেয়ে নিজেদের গোত্র থেকে নির্বাচন করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তুর্কামানদের বাইরে বিয়ে করার উদাহরণ তেমন একটা মেলে না। কেউ যদি করেও বসে তাহলে তুর্কামানদের সামাজিক আইনে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।
তুর্কামানদের মাঝে প্রচলিত বিয়ের সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। তুর্কামান উপজাতীয় অধিবাসীরা বিয়ে করার ক্ষেত্রে বা বলা ভালো পাত্র পাত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নীতিমালা ও মূল্যবোধকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। পাত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কণের মায়ের ব্যক্তিত্বের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস হলো এমন পাত্রী নির্বাচন করতে হবে যার মায়ের যোগ্যতা এবং উপযুক্ততা প্রশ্নাতীত হয়। এর বাইরে কাজে কর্মে গুণবতী হওয়া, শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া, ধৈর্য শক্তি থাকা, বিপদ আপদে ভেঙে না পড়া, যে-কোনো বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলার মানসিকতা থাকা ইত্যাদি বিষয়কেও কণের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়।
বিবাহ পরবর্তী দাম্পত্য জীবনের শুরুটা যেহেতু সবার জন্যেই আনন্দের সেজন্যে তুর্কামানদের মাঝে অভিন্ন জীবন শুরুর অনুষ্ঠানও বেশ জাঁকজমকের সাথে বিশেষ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। এইসব অনুষ্ঠানের পরতে পরতে তুর্কামানদের সমাজে বিদ্যমান বিচিত্র বিশ্বাস ও মূল্যবোধের চিত্র ফুটে ওঠে। তুর্কামানদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কয়েকটি পর্ব আছে। একেক পর্বে একেক ধরনের আয়োজন হয়। যেমন, বিয়ের প্রথম পর্বটি বর কনে নয় বরং তাদের বাবা মায়ের সাথে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে জামাই অর্থাৎ বরের বাবা মাকে নির্বাচিত পাত্রীর সাথে বিয়ের আয়োজনের জন্যে রাজি করানো হয় এই পর্বে। তাদের সম্মতি ছাড়া কিছুতেই বিয়ে হবার নয়।
একইভাবে পাত্রীর বাবাকেও রাজি করানোর বিষয়টি রয়েছে এই পর্বে। তার মানে দাঁড়ালো কেবল পাত্র আর পাত্রী নিজেরা নিজেদেরকে পছন্দ করে বিয়ে করা যাবে না। অবশ্যই উভয় পক্ষের মুরব্বিরা অর্থাৎ বাবা-মায়ের সম্মতি থাকতে হবে। বরের বাবা সম্মত হলে তিনি পরিবারের সবার সাথে পরামর্শ করে পরিবারের একজন বয়স্ক সদস্যকে কনের বাড়িতে পাঠান তাদের সম্মতি নেওয়ার জন্যে। মোটামুটি পরিবার, সংসার সম্পর্কে যার অভিজ্ঞতা আছে সেরকম একজন অভিজ্ঞ এবং দূরদর্শী ব্যক্তিকেই কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। কনের বাবা বা মুরব্বি যদি বর পক্ষের প্রস্তাবে রাজি হন তাহলেই কেবল দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হয়।
দ্বিতীয় পর্ব হলো কনের জন্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া। বর পক্ষের প্রস্তাবে কনে পক্ষ যদি সম্মতি দেয় তাহলে বর পক্ষের পরিবার একটা সুন্দর দিনক্ষণ ঠিক করে পরিবারের এক দল নারী সদস্যকে পাঠায় পাত্রী পক্ষের বাড়িতে। কনে পক্ষ তখন পাত্র পক্ষের অতিথিদেরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে ভালোভাবে আদর আপ্যায়ন করে। এই অনুষ্ঠানটিতে শুধুমাত্র নারী সদস্যরাই অংশ গ্রহণ করে। বর পক্ষ থেকে বিচিত্র মিষ্টি এবং হাতে তৈরি রুটি পাঠানো হয় কনের বাড়িতে। তুর্কামান নারীদের তৈরি এই বিশেষ আয়োজনের বিশেষ মিষ্টির নাম হচ্ছে ‘সচক’। এই সচক কেবল অ্যাঙ্গেইজমেন্ট অনুষ্ঠানের জন্যেই তৈরি করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বর এবং কনে পক্ষের আত্মীয়রাই এই সচক সরবরাহ করে থাকে। এই মিষ্টি আদান প্রদানও করা হয় বর এবং কনে পক্ষের মাঝে। তাতে দুপক্ষের মাঝে নিবীড় বন্ধন তৈরি হয়।
তুর্কামানদের মাঝে প্রচলিত বিয়ের পরবর্তী পর্ব হলো ‘শিরবাহ’। এই শিরবাহ অনুষ্ঠানটি মূলত উপহার আদান প্রদানের আয়োজন। এই উপহারের ক্ষেত্রে নগদ টাকা, কোনো মাল বা পণ্য এমনকি দুম্বা, গরু, উটও হতে পারে। এরপরের পর্বেই থাকে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে বর পক্ষ একটা দুম্বা জবাই করে এবং তার একটা অংশকে রূপার কয়েন দিয়ে সাজানো হয়। কয়েনে সাজানো মাংসের সাথে আরো অনেক উপহার সামগ্রী দিয়ে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। এদিন বিয়ের কনে একটি নির্দিষ্ট তাঁবুতে বসে থাকে। এই তাঁবুটি তুর্কামান উপজাতীদের বিয়ের বিশেষ তাঁবু। কিংবা নিকট কোনো আত্মীয়ের বাসাতেও বসতে পারে। তাকে ঘিরে থাকে পরিবারের নারী সদস্যরা। এখানে বর পক্ষের নারীরাও সমবেত হয়। কনে এদিন খুব একটা কথাবার্তা বলে না। দুপক্ষের মুরব্বিদের প্রতিই কনের অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি থাকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন বিশেষ উৎসবের আয়োজন হয়। বরের ঘরে নেওয়ার সময় কনের মাথার পরে লাল রঙের ওড়না পরানো হয়। লাল রঙ তুর্কামানদের মাঝে আনন্দের প্রতীক। আনন্দ উৎসব হৈ হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে কনেকে বরের বাড়িতে নেওয়ার সাথে সাথে অতিথিদের আপ্যায়নের কাজ শুরু হয়ে যায়। সেইদিনই বিকেলে একজন আলেম ডেকে আকদ অনুষ্ঠান করা হয়। এই আকদই হলো মূলত বিয়ে। দুপক্ষের সম্মতিতে আকদ হয়ে যাবার পর আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। বিয়ের জন্যে বিশেষ একটি আনন্দ আয়োজনের নাম হলো ‘সেচমেক’।
No comments