টেনশনে আওয়ামী লীগের এমপিরা by কাজী সোহাগ
চলতি
মাসেই আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা। তাই
মনোনয়ন নিয়ে চরম টেনশনে দলীয় এমপিরা। জনসমর্থন পেতে নির্বাচনী এলাকায়
গণসংযোগ বাড়িয়েছেন তারা। কোনো কোনো এমপি নিজ উদ্যোগে দলীয় কোন্দল মেটানোর
চেষ্টা চালাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক এমপি এলাকায় অবস্থান করছেন লম্বা
সময় ধরে। জনসমর্থন না থাকলে মনোনয়ন নয়-দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার এমন
মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসেন তারা। জনসংযোগের পাশাপাশি তারা নির্বাচনী এলাকার
কর্মরত প্রশাসনের নানা সংস্থার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শুরু করেন। কারণ,
বেশ কয়েকটি সংস্থা স্থানীয় এমপিদের ইমেজ, জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি নিয়ে
রিপোর্ট করছেন ঢাকায়। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি রয়েছেন ২৭৪ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ২১৩, মহিলা ৬১। মহিলা এমপিদের মধ্যে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত
১৯ জন আর সংরক্ষিত আসনে ৪২ জন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় ২০ জন এমপির বক্তব্য,
এলাকায় সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করেছি। এখন অপেক্ষা করছি আগামী নির্বাচনে
মনোনয়নের জন্য। জানি না পাব কিনা। বিষয়টি নিয়ে টেনশন কাজ করছে বলে জানান
একাধিক এমপি।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা মানবজমিনকে বলেন, প্রায় শতাধিক এমপি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। আবার শেষ মুহূর্তে তারা দলের জন্য ভালো কাজ করলে অথবা জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারলে হয়তো দলের টিকিট পেয়েও যেতে পারেন। তারা বলেন, এমপিদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলে জমি দখল, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দখলবাজি, নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা প্রকল্প লুটপাট, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য ছাড়াও সব মিলিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, তাদের এক রকম কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলীয় বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় এমপিদের অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দলের শীর্ষ পর্যায়। এসব প্রতিবেদনে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের দুর্নীতি, তাদের পরিবারের সদস্যের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশয় দেয়া, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে। কোনো কোনো এমপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন দলের সিনিয়র বেশ ক’জন এমপি। বিশেষ করে, রাজধানী ঢাকা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, যশোর, খুলনা, রাজশাহী, লক্ষ্মীপুর জেলার সিনিয়র এমপিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন দলীয় সভাপতি।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে একাধিকবার বলেছেন, বিতর্কিত ও জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না। এদিকে নির্বাচনের আগে তিন মাস পর পর জরিপ চালানো হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, এজন্য আসনভিত্তিক জরিপের কাজ প্রায় শেষ করেছে দলটি। কোন এলাকায় কার অবস্থান ভালো সে বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এটি এখন নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এ কারণেই আসনভিত্তিক শক্তিশালী প্রার্থী আগেভাগেই ঠিক করতে চায় দলটি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে চলতি মাসেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য দলীয় কোন্দল, ভোটের আগে দলবদল ও বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ কারণে এমপিরা এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার ও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন, তার হয়েই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য নেতাদের কাছ থেকেও একই ধরনের প্রতিশ্রুতি আদায় করছেন তারা। প্রার্থী নন, নৌকা মার্কা দেখে ভোট ও ভোটের প্রচার করতে দলীয় নেতাকর্মীদের এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ শে জুন গণভবনে এক বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের এ নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, কে প্রার্থী আর কে প্রার্থী না, সেটা না দেখে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। যাকে আমরা নৌকা মার্কা দেবো, যাকে আমরা নির্বাচনে প্রার্থী করবো, তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এত উন্নয়ন করার ফলে মানুষ যে নৌকায় ভোট দেবে না, তা কিন্তু নয়। যদি না দেয় তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা তৃণমূল। এটাই আমার কথা। আপনারা সঠিকভাবে মানুষের কাছে যেতে পারেননি, বলতে পারেননি, বোঝাতে পারেননি, সেবা করতে পারেননি, সেজন্যই। নইলে এখানে হারার তো কোনো কথা না। নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পরিহার করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বদনাম নিতে চাই না, জনগণের মন জয় করেই ক্ষমতায় আসতে হবে। এদিকে সম্প্রতি এগারোতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকায় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ১৪ জন স্বতন্ত্র এমপি।
এ এমপিদের আসনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন পাওয়া হবে কঠিন। বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র এমপির সঙ্গে কথা বললে তারা মানবজমিনকে জানান, রাজনীতি করে, নির্বাচন করে জনগণের ভোটে এমপি হয়েছি। দলের শীর্ষ নেতারা আমাদের ভূমিকা ও জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। অন্যদের মতো আমাদেরও প্রত্যাশা রয়েছে দলের মনোনয়ন পাওয়ার।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা মানবজমিনকে বলেন, প্রায় শতাধিক এমপি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। আবার শেষ মুহূর্তে তারা দলের জন্য ভালো কাজ করলে অথবা জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারলে হয়তো দলের টিকিট পেয়েও যেতে পারেন। তারা বলেন, এমপিদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলে জমি দখল, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দখলবাজি, নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা প্রকল্প লুটপাট, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য ছাড়াও সব মিলিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, তাদের এক রকম কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলীয় বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় এমপিদের অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দলের শীর্ষ পর্যায়। এসব প্রতিবেদনে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের দুর্নীতি, তাদের পরিবারের সদস্যের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশয় দেয়া, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে। কোনো কোনো এমপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন দলের সিনিয়র বেশ ক’জন এমপি। বিশেষ করে, রাজধানী ঢাকা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, যশোর, খুলনা, রাজশাহী, লক্ষ্মীপুর জেলার সিনিয়র এমপিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন দলীয় সভাপতি।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে একাধিকবার বলেছেন, বিতর্কিত ও জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না। এদিকে নির্বাচনের আগে তিন মাস পর পর জরিপ চালানো হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, এজন্য আসনভিত্তিক জরিপের কাজ প্রায় শেষ করেছে দলটি। কোন এলাকায় কার অবস্থান ভালো সে বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এটি এখন নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এ কারণেই আসনভিত্তিক শক্তিশালী প্রার্থী আগেভাগেই ঠিক করতে চায় দলটি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে চলতি মাসেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য দলীয় কোন্দল, ভোটের আগে দলবদল ও বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ কারণে এমপিরা এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার ও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন, তার হয়েই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য নেতাদের কাছ থেকেও একই ধরনের প্রতিশ্রুতি আদায় করছেন তারা। প্রার্থী নন, নৌকা মার্কা দেখে ভোট ও ভোটের প্রচার করতে দলীয় নেতাকর্মীদের এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ শে জুন গণভবনে এক বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের এ নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, কে প্রার্থী আর কে প্রার্থী না, সেটা না দেখে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। যাকে আমরা নৌকা মার্কা দেবো, যাকে আমরা নির্বাচনে প্রার্থী করবো, তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এত উন্নয়ন করার ফলে মানুষ যে নৌকায় ভোট দেবে না, তা কিন্তু নয়। যদি না দেয় তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা তৃণমূল। এটাই আমার কথা। আপনারা সঠিকভাবে মানুষের কাছে যেতে পারেননি, বলতে পারেননি, বোঝাতে পারেননি, সেবা করতে পারেননি, সেজন্যই। নইলে এখানে হারার তো কোনো কথা না। নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পরিহার করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বদনাম নিতে চাই না, জনগণের মন জয় করেই ক্ষমতায় আসতে হবে। এদিকে সম্প্রতি এগারোতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকায় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ১৪ জন স্বতন্ত্র এমপি।
এ এমপিদের আসনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন পাওয়া হবে কঠিন। বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র এমপির সঙ্গে কথা বললে তারা মানবজমিনকে জানান, রাজনীতি করে, নির্বাচন করে জনগণের ভোটে এমপি হয়েছি। দলের শীর্ষ নেতারা আমাদের ভূমিকা ও জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। অন্যদের মতো আমাদেরও প্রত্যাশা রয়েছে দলের মনোনয়ন পাওয়ার।
No comments