পদত্যাগী মন্ত্রীর ক্ষমা না চাওয়ায় ঢাকায় নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশে
পড়তে আসা নেপালি ছাত্রীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করেছেন
দেশটির আইনমন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং। তবে তার এ পদত্যাগেও সন্তুষ্ট নন
সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, পদত্যাগের সঙ্গে মন্ত্রীর দুঃখ
প্রকাশ করা দরকার ছিল। গতকাল এ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ
ক্যাম্পাসে নেপালি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
সীমায়াদব (সীমা) এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখানে অনেক নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে পড়াশোনা করি। নিয়মিত পরীক্ষা দেই। ক্লাস করি। একটা সিস্টেমের মধ্যে আছি। যথেষ্ট নিরাপত্তায় আছি। কিন্তু উনি (মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং) যেটা বলেছেন, এটা একেবারেই ঠিক না। উনার এই মন্তব্য করার আগে যাচাই-বাছাই করা দরকার ছিল। উনি তার আত্মীয়দের মাধ্যমে কি শুনেছেন, তা মোটেই ঠিক না।
তার এ ধরনের কথা বলার আগে ভাবা উচিত ছিল। তিনি তা করেননি। বাংলাদেশে আমরা নেপালি অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করি। তাদের অবস্থাটা কি মন্ত্রী অনুধাবন করেননি। হুট করে মনে যা এসেছে বলে দিয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। একই প্রতিষ্ঠানের একই বর্ষের আরেক নেপালি শিক্ষার্থী আইয়ুশ শ্রেষ্টা। আইয়ুশ বলেন, মন্ত্রী এত খারাপ একটা মন্তব্য করেছেন, তার পদত্যাগ করাই উচিত ছিল এবং তাই করেছেন। একই সঙ্গে সরি (দুঃখ) প্রকাশ করার দরকার ছিল।
উনি তা করেননি। মন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের মন্তব্য কোনোক্রমে গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে আমরা যারা পড়াশোনা করি এবং ইতিপূর্বে যারা পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের কাছে এরকম কথা কোনোদিনই শুনিনি। উনি (মন্ত্রী) না বুঝেই এধরনের মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশে যারা আমরা পড়াশোনা করি, মন্ত্রীর উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে কথা বলা। উনি তা করেননি। যাচাই-বাছাই ছাড়াই বলে দিয়েছেন। এটা ঠিক না। আমরা বাংলাদেশে অনেক নেপালি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করি। ওদের নিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চিন্তা করার দরকার ছিল। মন্ত্রী একটি বড় পদ। উনি যেটা বলবেন মানুষ সেটা শুনবে। সুতরাং এই পদে থেকে এধরনের খারাপ মন্তব্য করা উচিত নয় বলে শিক্ষার্থী আইয়ুশ শ্রেষ্টা মনে করেন। বিদেশে পড়তে এসে ফরেন শিক্ষার্থী হিসেবে যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই তা মন্ত্রী হাইলাইটস করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে একটি অশালীন-আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পড়তে আসা নেপালি ছাত্রীদের নিয়ে অশালীন-আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন দেশটির আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। গত ২৪শে জুলাই কাঠমাণ্ডুতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে উত্তেজনা ও বিতর্ক ঠেকাতে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার দু’দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নেপালি মন্ত্রী তামাং বলেছিলেন বাংলাদেশের মেডিকেলে পড়তে যাওয়া নেপালি ছাত্রীরা একটি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দেয়।
তিনি অনেকের কাছ থেকে এটি শুনছেন বলেও দাবি করেন। মন্ত্রীর আপত্তিকর ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশ ও নেপাল উভয় দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকাস্থ নেপালের রাষ্ট্রদূতকে সোমবার তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। ঢাকায় থাকা নেপালি শিক্ষার্থী কূটনৈতিক জোনে থাকা নেপাল দূতাবাস ঘেরাও করে এবং মন্ত্রীর অশালীন বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এবং পদত্যাগের দাবি করে।
তারা এ নিয়ে দূতাবাসে একটি স্মারকলিপিও দেয়। কাঠমাণ্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস মানবজমিনকে বলেন- বাংলাদেশে বর্তমানে নেপালের প্রায় ১৫ শতাধিক মেডিকেল স্টুডেন্ট রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে নেপালি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে মেডিকেল পড়তে যাচ্ছে। কেউই কোনোদিন এমন অভিযোগ তুলেনি। মন্ত্রীর আচমকা এ মন্তব্যে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। ঢাকার তীব্র অসন্তোষের পর মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। নেপালের মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং গত রোববার দেশটির একটি এডুকেশন ইনস্টিটিউটে বক্তৃতা করছিলেন। সেখানে তিনি অন্য অনেক বিষয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গ তুলেন। তার বক্তব্যটি ছিল ঠিক এরকম- ‘বাংলাদেশে এমবিবিএস কোর্সে পড়তে যাওয়া নেপালের ছাত্রীরা নিজেকে বিক্রি করে দিয়ে থাকেন। তারা নিজেকে বিক্রি করে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করেন।’ আরেকটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশে মেডিকেল ছাড়া আরো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
সীমায়াদব (সীমা) এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখানে অনেক নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে পড়াশোনা করি। নিয়মিত পরীক্ষা দেই। ক্লাস করি। একটা সিস্টেমের মধ্যে আছি। যথেষ্ট নিরাপত্তায় আছি। কিন্তু উনি (মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং) যেটা বলেছেন, এটা একেবারেই ঠিক না। উনার এই মন্তব্য করার আগে যাচাই-বাছাই করা দরকার ছিল। উনি তার আত্মীয়দের মাধ্যমে কি শুনেছেন, তা মোটেই ঠিক না।
তার এ ধরনের কথা বলার আগে ভাবা উচিত ছিল। তিনি তা করেননি। বাংলাদেশে আমরা নেপালি অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করি। তাদের অবস্থাটা কি মন্ত্রী অনুধাবন করেননি। হুট করে মনে যা এসেছে বলে দিয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। একই প্রতিষ্ঠানের একই বর্ষের আরেক নেপালি শিক্ষার্থী আইয়ুশ শ্রেষ্টা। আইয়ুশ বলেন, মন্ত্রী এত খারাপ একটা মন্তব্য করেছেন, তার পদত্যাগ করাই উচিত ছিল এবং তাই করেছেন। একই সঙ্গে সরি (দুঃখ) প্রকাশ করার দরকার ছিল।
উনি তা করেননি। মন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের মন্তব্য কোনোক্রমে গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে আমরা যারা পড়াশোনা করি এবং ইতিপূর্বে যারা পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের কাছে এরকম কথা কোনোদিনই শুনিনি। উনি (মন্ত্রী) না বুঝেই এধরনের মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশে যারা আমরা পড়াশোনা করি, মন্ত্রীর উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে কথা বলা। উনি তা করেননি। যাচাই-বাছাই ছাড়াই বলে দিয়েছেন। এটা ঠিক না। আমরা বাংলাদেশে অনেক নেপালি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করি। ওদের নিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চিন্তা করার দরকার ছিল। মন্ত্রী একটি বড় পদ। উনি যেটা বলবেন মানুষ সেটা শুনবে। সুতরাং এই পদে থেকে এধরনের খারাপ মন্তব্য করা উচিত নয় বলে শিক্ষার্থী আইয়ুশ শ্রেষ্টা মনে করেন। বিদেশে পড়তে এসে ফরেন শিক্ষার্থী হিসেবে যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই তা মন্ত্রী হাইলাইটস করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে একটি অশালীন-আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পড়তে আসা নেপালি ছাত্রীদের নিয়ে অশালীন-আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন দেশটির আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। গত ২৪শে জুলাই কাঠমাণ্ডুতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে উত্তেজনা ও বিতর্ক ঠেকাতে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার দু’দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নেপালি মন্ত্রী তামাং বলেছিলেন বাংলাদেশের মেডিকেলে পড়তে যাওয়া নেপালি ছাত্রীরা একটি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দেয়।
তিনি অনেকের কাছ থেকে এটি শুনছেন বলেও দাবি করেন। মন্ত্রীর আপত্তিকর ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশ ও নেপাল উভয় দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকাস্থ নেপালের রাষ্ট্রদূতকে সোমবার তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। ঢাকায় থাকা নেপালি শিক্ষার্থী কূটনৈতিক জোনে থাকা নেপাল দূতাবাস ঘেরাও করে এবং মন্ত্রীর অশালীন বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এবং পদত্যাগের দাবি করে।
তারা এ নিয়ে দূতাবাসে একটি স্মারকলিপিও দেয়। কাঠমাণ্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস মানবজমিনকে বলেন- বাংলাদেশে বর্তমানে নেপালের প্রায় ১৫ শতাধিক মেডিকেল স্টুডেন্ট রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে নেপালি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে মেডিকেল পড়তে যাচ্ছে। কেউই কোনোদিন এমন অভিযোগ তুলেনি। মন্ত্রীর আচমকা এ মন্তব্যে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। ঢাকার তীব্র অসন্তোষের পর মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। নেপালের মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং গত রোববার দেশটির একটি এডুকেশন ইনস্টিটিউটে বক্তৃতা করছিলেন। সেখানে তিনি অন্য অনেক বিষয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গ তুলেন। তার বক্তব্যটি ছিল ঠিক এরকম- ‘বাংলাদেশে এমবিবিএস কোর্সে পড়তে যাওয়া নেপালের ছাত্রীরা নিজেকে বিক্রি করে দিয়ে থাকেন। তারা নিজেকে বিক্রি করে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করেন।’ আরেকটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশে মেডিকেল ছাড়া আরো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
No comments