সিইসির সঙ্গে বৈঠক: ব্যক্তিগত মত দেইনি, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়েছি
সমালোচনার
জবাব দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। বলেছেন, বাংলাদেশের
রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন নিয়ে তিনি যা বলেছেন বা বলছেন তা তার
ব্যক্তিগত মতামত নয়। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানই জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন। প্রায় পৌনে দুই
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তিন সিটি নির্বাচন ছাড়াও জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন
বিষয়ে আলোচনা হয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বর্তমান ইসির অধীনেই সামনের নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বার্নিকাট। গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের সমালোচনাকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। বার্নিকাট বলেন, এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যা বলেন সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না- সেটা আপনি বলতে পারেন। বাংলাদেশের সরকার আমার মন্তব্যে দ্বিমত করেছে। সেটা বলার সামর্থ্য তারা রাখেন। মার্কিন সরকার প্রতিউত্তর দিয়েছে, আমি এখানে ব্যক্তিগত কারণে কোনো মন্তব্য করিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মার্কিন সরকারের হয়ে কথা বলেছি। সমালোচনাও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতার মতো গণতন্ত্রের অংশ। এটা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সমালোচনার পরও সংলাপের সুযোগ আছে। সেই সুযোগ গ্রহণ না করলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই সংলাপ চালিয়ে চাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ইসির অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী কিনা এমন প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। ভুল থাকতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির আছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে খুঁজলে এমন উদাহরণ পাওয়া যাবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে উন্নত করা। আমি আশাবাদী বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও। বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিস্তর বিষয়ে কথা বলেছি। কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা যায় সেই বিষয়ে কথা হয়েছে। এটা চলমান সংলাপের অংশ। চিন্তাভাবনার বিনিময়ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যা সংশ্লিষ্ট। দীর্ঘ সময় বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেই। আমরা সব সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরামর্শ দেই। বৈঠকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর বিল মোয়েলার, পলিটিক্যাল অফিসার রুম্মান দস্তগীর উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। বার্নিকাটের ওই উদ্বেগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ‘বিএনপির মুখপাত্রে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে জয় লিখেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। তাই বক্তব্যটি বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসেরই বলে ধরে নেয়া যায়। বোঝাই যাচ্ছে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের বিএনপির বন্ধুদের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছেন আজকাল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত অনিয়মের তদন্ত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন: সচিব
বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, আগামী তিন সিটি নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। সিইসি বলেছেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সভা করেছি। গতকাল পুলিশ কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনজন কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া আছে এবং তারা সেখানে অবস্থান করছেন। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। ওনাকে অবহিত করা হয়েছে।
সচিব আরো জানান, সিটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি আমাদের প্রস্তুতি আইন ও সংবিধান মোতাবেক যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। সিটি নির্বাচনের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগমনকে অস্বাভাবিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, স্বাভাবিকভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এদেশ ছেড়ে শিগগিরই চলে যাবেন। এটা ওনার বিদায়ী সাক্ষাৎ বলা যায়। যেহেতু এখন দেশে নির্বাচন বড় ঘটনা। সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, খুলনা ও গাজীপুরে নির্বাচন নিয়ে ওনারা কিছু বলেননি। নির্বাচনে যে সমস্ত অনিয়ম হয়ে থাকে সেগুলো কীভাবে তদন্ত করা হয় এবং তদন্তের পরে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সিইসি বলেছেন, খুলনাতে যে অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর তদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসার এবং পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি গাজীপুরের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তার উদ্বেগের প্রেক্ষিতে একজন কমিশনার কারচুপির প্রমাণ চেয়েছিলেন। গতকালে বৈঠকে কোনো প্রমাণ চাওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা কূটনীতির কথার জায়গা না। এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। যেহেতু উনি একজন কূটনীতিক। তিনি কথা না বললে আমরা প্রশ্ন তুলি না। সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রাখতে পারে। উনারা কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদেরও কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। সবগুলো আমাদের নলেজে আছে। যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা আমরা দ্রুত নেব। তিন সিটি নিয়ে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, নির্বাচন কমিশনের যে প্রস্তুতি আছে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বর্তমান ইসির অধীনেই সামনের নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বার্নিকাট। গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের সমালোচনাকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। বার্নিকাট বলেন, এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যা বলেন সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না- সেটা আপনি বলতে পারেন। বাংলাদেশের সরকার আমার মন্তব্যে দ্বিমত করেছে। সেটা বলার সামর্থ্য তারা রাখেন। মার্কিন সরকার প্রতিউত্তর দিয়েছে, আমি এখানে ব্যক্তিগত কারণে কোনো মন্তব্য করিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মার্কিন সরকারের হয়ে কথা বলেছি। সমালোচনাও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতার মতো গণতন্ত্রের অংশ। এটা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সমালোচনার পরও সংলাপের সুযোগ আছে। সেই সুযোগ গ্রহণ না করলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই সংলাপ চালিয়ে চাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ইসির অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী কিনা এমন প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। ভুল থাকতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির আছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে খুঁজলে এমন উদাহরণ পাওয়া যাবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে উন্নত করা। আমি আশাবাদী বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও। বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিস্তর বিষয়ে কথা বলেছি। কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা যায় সেই বিষয়ে কথা হয়েছে। এটা চলমান সংলাপের অংশ। চিন্তাভাবনার বিনিময়ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যা সংশ্লিষ্ট। দীর্ঘ সময় বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেই। আমরা সব সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরামর্শ দেই। বৈঠকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর বিল মোয়েলার, পলিটিক্যাল অফিসার রুম্মান দস্তগীর উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। বার্নিকাটের ওই উদ্বেগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ‘বিএনপির মুখপাত্রে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে জয় লিখেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। তাই বক্তব্যটি বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসেরই বলে ধরে নেয়া যায়। বোঝাই যাচ্ছে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের বিএনপির বন্ধুদের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছেন আজকাল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত অনিয়মের তদন্ত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন: সচিব
বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, আগামী তিন সিটি নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। সিইসি বলেছেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সভা করেছি। গতকাল পুলিশ কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনজন কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া আছে এবং তারা সেখানে অবস্থান করছেন। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। ওনাকে অবহিত করা হয়েছে।
সচিব আরো জানান, সিটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি আমাদের প্রস্তুতি আইন ও সংবিধান মোতাবেক যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। সিটি নির্বাচনের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগমনকে অস্বাভাবিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, স্বাভাবিকভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এদেশ ছেড়ে শিগগিরই চলে যাবেন। এটা ওনার বিদায়ী সাক্ষাৎ বলা যায়। যেহেতু এখন দেশে নির্বাচন বড় ঘটনা। সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, খুলনা ও গাজীপুরে নির্বাচন নিয়ে ওনারা কিছু বলেননি। নির্বাচনে যে সমস্ত অনিয়ম হয়ে থাকে সেগুলো কীভাবে তদন্ত করা হয় এবং তদন্তের পরে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সিইসি বলেছেন, খুলনাতে যে অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর তদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসার এবং পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি গাজীপুরের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তার উদ্বেগের প্রেক্ষিতে একজন কমিশনার কারচুপির প্রমাণ চেয়েছিলেন। গতকালে বৈঠকে কোনো প্রমাণ চাওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা কূটনীতির কথার জায়গা না। এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। যেহেতু উনি একজন কূটনীতিক। তিনি কথা না বললে আমরা প্রশ্ন তুলি না। সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রাখতে পারে। উনারা কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদেরও কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। সবগুলো আমাদের নলেজে আছে। যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা আমরা দ্রুত নেব। তিন সিটি নিয়ে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, নির্বাচন কমিশনের যে প্রস্তুতি আছে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন।
No comments