কোনো দল যা ইচ্ছা তা করতে পারে না -ড. কামাল হোসেন
’৭২
সালের সংবিধানকে অবমাননা করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, স্বাধীন দেশের চিফ
জাস্টিসকে অপমান করার অর্থ রাষ্ট্রকে অপমান করা, আপনাকে-আমাকে অপমান করা
বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ
বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ। এখানে কোনো দল যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে না। এমনকি
৩শ’টি আসনে জয়লাভ করলেও যা ইচ্ছা তা করার ক্ষমতা কোনো দলের নেই। তিনি
গতকাল দুপুরে জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে আইনজীবীদের সঙ্গে এক
মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতিকে
অপসারণের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, জিয়াউর রহমানকে যখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্বীকার করা হয় তখন কষ্ট লাগে, বঙ্গবন্ধুকে যখন অপমান করা হয় তখন সহ্য করা যায় না, শেখ হাসিনাকে যখন অপমান করা হয় তখন মেনে নেয়া যায় না আবার শেখ হাসিনা কোনো অন্যায় করলে সেটাও মেনে নেয়া যায় না। সরকারের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, জিয়া অরফানেজে কোনো দুর্নীতি হয় নাই, খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেন নাই, কোনো টাকা লুটপাট হয় নাই। টাকা আছে ব্যাংকে। বেগম খালেদা জিয়া জেলে আছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তাকে যেন সম্মানের সঙ্গে রাখা হয়। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে একরকম গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। এধরনের ঘটনা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। তিনি বলেন, এ দেশে পূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই, সেই নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক জনগণ সেটা মেনে নেবে। একটা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন কাদের সিদ্দিকী।
জেলা বারের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক এমপি অ্যাড. এইএম খলিলুর রহমান। পরে গণফোরাম আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেন ড. কামাল হোসেন ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, জিয়াউর রহমানকে যখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্বীকার করা হয় তখন কষ্ট লাগে, বঙ্গবন্ধুকে যখন অপমান করা হয় তখন সহ্য করা যায় না, শেখ হাসিনাকে যখন অপমান করা হয় তখন মেনে নেয়া যায় না আবার শেখ হাসিনা কোনো অন্যায় করলে সেটাও মেনে নেয়া যায় না। সরকারের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, জিয়া অরফানেজে কোনো দুর্নীতি হয় নাই, খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেন নাই, কোনো টাকা লুটপাট হয় নাই। টাকা আছে ব্যাংকে। বেগম খালেদা জিয়া জেলে আছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তাকে যেন সম্মানের সঙ্গে রাখা হয়। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে একরকম গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। এধরনের ঘটনা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। তিনি বলেন, এ দেশে পূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই, সেই নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক জনগণ সেটা মেনে নেবে। একটা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন কাদের সিদ্দিকী।
জেলা বারের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক এমপি অ্যাড. এইএম খলিলুর রহমান। পরে গণফোরাম আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেন ড. কামাল হোসেন ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
No comments