মিরপুরে স্কুলে হামলার চেষ্টা করেছিল জঙ্গি মাহি
পশ্চিমবঙ্গের
শিলিগুড়িতে গ্রেফতার বাংলাদেশের জঙ্গি আফতাব ওরফে মাহি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
দিয়েছে। কলকাতা পুলিশকে সে জানিয়েছে, ঢাকার মিরপুরের একটি স্কুলে সহযোগীদের
নিয়ে সে (মাহি) হামলার চেষ্টা করেছিল। স্কুলের প্রিন্সিপাল ও ভাইস
প্রিন্সিপালকে খুনের জন্য রিভলবার ও পটাশিয়াম সায়ানাইড নিয়ে সে এবং আরও দুই
জঙ্গি স্কুলে ঢুকতে চাইলে র্যাব তাদের আটকে দেয়। এ সময় র্যাবের সঙ্গে
তাদের গুলিবিনিময় হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেল নামের এক জঙ্গি ধরা পড়ে।
কিন্তু পালিয়ে যায় মাহি ও তার আরেক সহযোগী সোহেল।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ
ঘটনার পরই মাহি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। বুধবার জঙ্গি মাহিকে কলকাতার
ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন
বিচারক। মাহি গ্রেফতার হওয়ার পরই ঢাকায় র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা
পুলিশ। কারণ মাহি জানায়, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে খুনের
চেষ্টা করেছিল। কিন্তু র্যাব জানিয়ে দেয়, মাহি অধ্যাপক নয়, স্কুলের
প্রিন্সিপালকে খুনের চেষ্টা করে পলাতক রয়েছে। এরপরই ফের জেরা শুরু করে
কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ জানায়, আল কায়দা তথা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের
(এবিটি) জঙ্গি উমর ফারুক ওরফে মহম্মদ আফতাব ওরফে মাহি বাংলাদেশে একাধিক
নাশকতা, খুনের ঘটনায় জড়িত। ঢাকায় ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহের নায়ক পলাতক মেজর
জিয়ার পরামর্শে ভারতে আসে মাহি। তারপর থেকেই কলকাতা, পাটনা, রাঁচিতে
নেটওয়ার্ক তৈরি করতে থাকে সে। মাহি শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরেও আল কায়দার ঘাঁটি
তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছিল। রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মাহি,
তামিম ও নয়ন নামে আরও কয়েকজন বাংলাদেশে একাধিক অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত। মাহি
গ্রেফতার হওয়ার পর তামিম ও নয়নের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা
পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। একই সঙ্গে দুর্গাপুর এবং শিলিগুড়িতে মাহির
ডেরা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। কারণ এই দুটি জায়গায় বেশ কিছুদিন
ধরে ডেরা বেঁধেছিল সে। স্বভাবতই, সেই দুই ডেরায় কে বা কারা আসা-যাওয়া করত
তা জানতে চাইছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে স্বপন তামিমরা যাতে বাংলা
ছেড়ে পালাতে না পারে তার জন্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী থানাগুলোকে সতর্ক করা
হয়েছে। কোনো জঙ্গি যাতে সীমান্ত টপকে রাজ্যে আসতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর
দেয়া হয়েছে।
No comments