কানে হেডফোন ৪২২ মৃত্যু by শুভ্র দেব
কানে
হেডফোন। কখনো হাসছে, কখনো নাচছে। আশেপাশে কি হচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই।
আনমনে হেঁটে চলেছে রেললাইন ধরে। ট্রেনের বিকট হুইসেলও তার কানে পৌঁছায়নি।
এক পর্যায়ে ট্রেন চলে যায় তাকে পিষ্ট করে।
কাটা পড়ে দেহ। খণ্ড-বিখণ্ড দেহ পড়ে থাকে রেললাইনের পাশে। এমন করুণ মৃত্যু বেশ ক’বছর ধরে অহরহ ঘটছে। কিন্তু তারপরও অসচেতন যুবকরা। কানে হেডফোন লাগিয়ে আনমনা হাঁটতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নানাভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে গত সাড়ে ৭ বছরে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৬৪ জনের। কানে হেডফোন লাগিয়ে ক্যান্টনমেন্টের স্টাফ রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ২০ বছরের টগবগে যুবক রায়হান হোসেন। রেললাইন ধরে বেখেয়ালে হাঁটছিলেন রায়হান। এ সময়ই পেছন থেকে হুইসেল দিতে দিতে ছুটে আসে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস। নিশ্চিত মৃত্যু জেনে দূর থেকে মানুষজনও চিৎকার করে ডাকছিল তাকে। ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে-সরে দাঁড়ান-এ চিৎকারও তার কানে পৌঁছায়নি। চোখের সামনে তরতাজা যুবক রায়হান ট্রেনে কাটা পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এভাবেই ৪২২ মায়ের বুক খালি হয়েছে। কানে হেডফোন কেড়ে নিয়েছে এসব পরিবারের স্বপ্ন। কেউ হয়েছেন বিধবা। কোনো সন্তান হয়েছে পিতৃহারা। গত ৩রা সেপ্টেম্বরের কথা। ভৈরব থেকে ছেড়ে আসে ঢাকাগামী একটি ট্রেন। ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশনে থামার জন্য আরশিনগর এলাকা অতিক্রম করছিল। ঠিক তখনই তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর চরসিন্দুর এলাকার বাসিন্দা মোবারক মিয়া। একই সঙ্গে রাস্তা পার হতে চান অজ্ঞাতনামা আরেক মহিলা। কিন্তু রেললাইন তারা পার হতে পারেননি। দু’জনকেই কেটে সবার সামনে দিয়ে চলে যায় ট্রেন। তাদের দু’জনের রক্তে লাল হয় রেললাইনের সাদা পাথর। কয়েক টুকরা হয় তাদের দেহ। দু’বছর আগের কথা চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজের প্রফেসর ওয়াজিউল্লাহ বেড়াতে আসেন ঢাকায়। নববিবাহিত ওয়াজিউল্লাহ ওঠেন তেজকুনিপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাসায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। নববধূর সঙ্গে হেডফোনে কথা বলতে বলতেই ট্রেনের নিচে চলে যান। দেহ টুকরো হয়ে রেললাইনের দু’পাশে পড়ে থাকে। এমন বে-খেয়ালে রেললাইন ধরে হাঁটা বিপজ্জনক জেনেও মানুষ হাঁটছে। অকালে মারা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রায়ই শোনা যায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। রেলওয়ে পুলিশের হিসাবে দেখা গেছে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে মোট নিহত হয়েছেন ২২৬৪ জন। এর মধ্যে হেডফোনের কারণে নিহত হয়েছেন ৪২২ জন। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৫৬ জন।
ঢাকা জিআরপি থানাসূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তাদের আওতাধীন এলাকায় ২ হাজার ২৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২০৩ জন (পুরুষ ১৬৫ ও মহিলা ৩৮), ২০১১ সালে ২৫৬ (পুরুষ ২১৫ ও মহিলা ৪১), ২০১২ সালে ৩০৬, (পুরুষ ২৬৭ ও মহিলা ৩৯), ২০১৩ সালে ৩১৮, (পুরুষ ২৭৮ ও মহিলা ৪০), ২০১৪ সালে ৩০৫ (পুরুষ ২৪২ ও মহিলা ৬৩), ২০১৫ সালে ২৯২, (পুরুষ ২৪৮ ও মহিলা ৪৪), ২০১৬ সালে ৩০৫ (পুরুষ ২৪৪ ও মহিলা ৬২) এবং ২০১৭ সালে ২৭৯টি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জিআরপি থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আবার দু,একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এসব দুর্ঘটনা রোধে নানা উদ্যোগ নিলেও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না রেল দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি না হলে ট্রেনে কাটা রোধ করা যাবে না।
ঢাকা রেলওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই সাড়ে সাত বছরে ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষ বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ বয়সের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৫ জন। ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২০৩ জন এবং ৫১ থেকে তদূর্ধ্ব ৩৪৮ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, সাড়ে সাত বছরে মামলা হয়েছে ২ হাজার ৪৯টি। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২০৩টি, ২০১১ সালে ২৫৬টি, ২০১২ সালে ৩০৬টি, ২০১৩ সালে ৩১৮, ২০১৪ সালে ৩০৫টি, ২০১৫ সালে ২৮৫টি, ২০১৬ সালে ৩০৫টি। নিহতের মধ্যে শিক্ষার্থী ৫৬ জন, শ্রমজীবী ৪২৬ জন, চাকরিজীবী ৩৭৯ জন, অন্যান্য পেশার ১ হাজার ৭৫ জন। নিহতদের মধ্যে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার জন্য ৪২২, ট্রেন লাইনের ওপর বসা বা চলাচলের জন্য ৫৫৪, রেলক্রসিং এ দ্রুত পারাপারের জন্য ৮৯৮, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ৫৫ ও টেম্পোর সঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে কাজ করছে ঢাকা রেলওয়ে থানা। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া লিফলেট বিলি করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও একই কাজ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও ট্রেনে কাটা রোধ করা যাচ্ছে না। তবে এসব ঘটনায় অনেক সময় অপমৃত্যু মামলা করা হয় আবার বছরে এক দুইটি হত্যা মামলাও করা হয়। হত্যা মামলা নিয়ে রেলওয়ে থানার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে হত্যা মামলার সংখ্যা খুবই কম। আর যে দুই একটা মামলা আছে এগুলোর তদন্ত কার্যক্রম খুব দ্রুতই শেষ করা হচ্ছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে দেশের সব জায়গায়ই মানুষ নিহত হচ্ছেন। এর জন্য সচেতনতা দরকার। কারণ অসাবধানতার কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে। তবে এসব অসাবধানতার জন্য তিনি অবৈধ রেলক্রসিং, অবৈধ স্থাপনা, রেললাইনের উপরে হাটবাজার, হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে রাস্তা পার হওয়াসহ আরো কিছু কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু রেললাইন দিয়ে যারা চলাচল করেন তারা যদি সচেতন না হন তাহলে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যাবে না।
কাটা পড়ে দেহ। খণ্ড-বিখণ্ড দেহ পড়ে থাকে রেললাইনের পাশে। এমন করুণ মৃত্যু বেশ ক’বছর ধরে অহরহ ঘটছে। কিন্তু তারপরও অসচেতন যুবকরা। কানে হেডফোন লাগিয়ে আনমনা হাঁটতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নানাভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে গত সাড়ে ৭ বছরে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৬৪ জনের। কানে হেডফোন লাগিয়ে ক্যান্টনমেন্টের স্টাফ রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ২০ বছরের টগবগে যুবক রায়হান হোসেন। রেললাইন ধরে বেখেয়ালে হাঁটছিলেন রায়হান। এ সময়ই পেছন থেকে হুইসেল দিতে দিতে ছুটে আসে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস। নিশ্চিত মৃত্যু জেনে দূর থেকে মানুষজনও চিৎকার করে ডাকছিল তাকে। ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে-সরে দাঁড়ান-এ চিৎকারও তার কানে পৌঁছায়নি। চোখের সামনে তরতাজা যুবক রায়হান ট্রেনে কাটা পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এভাবেই ৪২২ মায়ের বুক খালি হয়েছে। কানে হেডফোন কেড়ে নিয়েছে এসব পরিবারের স্বপ্ন। কেউ হয়েছেন বিধবা। কোনো সন্তান হয়েছে পিতৃহারা। গত ৩রা সেপ্টেম্বরের কথা। ভৈরব থেকে ছেড়ে আসে ঢাকাগামী একটি ট্রেন। ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশনে থামার জন্য আরশিনগর এলাকা অতিক্রম করছিল। ঠিক তখনই তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর চরসিন্দুর এলাকার বাসিন্দা মোবারক মিয়া। একই সঙ্গে রাস্তা পার হতে চান অজ্ঞাতনামা আরেক মহিলা। কিন্তু রেললাইন তারা পার হতে পারেননি। দু’জনকেই কেটে সবার সামনে দিয়ে চলে যায় ট্রেন। তাদের দু’জনের রক্তে লাল হয় রেললাইনের সাদা পাথর। কয়েক টুকরা হয় তাদের দেহ। দু’বছর আগের কথা চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজের প্রফেসর ওয়াজিউল্লাহ বেড়াতে আসেন ঢাকায়। নববিবাহিত ওয়াজিউল্লাহ ওঠেন তেজকুনিপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাসায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। নববধূর সঙ্গে হেডফোনে কথা বলতে বলতেই ট্রেনের নিচে চলে যান। দেহ টুকরো হয়ে রেললাইনের দু’পাশে পড়ে থাকে। এমন বে-খেয়ালে রেললাইন ধরে হাঁটা বিপজ্জনক জেনেও মানুষ হাঁটছে। অকালে মারা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রায়ই শোনা যায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। রেলওয়ে পুলিশের হিসাবে দেখা গেছে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে মোট নিহত হয়েছেন ২২৬৪ জন। এর মধ্যে হেডফোনের কারণে নিহত হয়েছেন ৪২২ জন। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৫৬ জন।
ঢাকা জিআরপি থানাসূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তাদের আওতাধীন এলাকায় ২ হাজার ২৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২০৩ জন (পুরুষ ১৬৫ ও মহিলা ৩৮), ২০১১ সালে ২৫৬ (পুরুষ ২১৫ ও মহিলা ৪১), ২০১২ সালে ৩০৬, (পুরুষ ২৬৭ ও মহিলা ৩৯), ২০১৩ সালে ৩১৮, (পুরুষ ২৭৮ ও মহিলা ৪০), ২০১৪ সালে ৩০৫ (পুরুষ ২৪২ ও মহিলা ৬৩), ২০১৫ সালে ২৯২, (পুরুষ ২৪৮ ও মহিলা ৪৪), ২০১৬ সালে ৩০৫ (পুরুষ ২৪৪ ও মহিলা ৬২) এবং ২০১৭ সালে ২৭৯টি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জিআরপি থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আবার দু,একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এসব দুর্ঘটনা রোধে নানা উদ্যোগ নিলেও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না রেল দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি না হলে ট্রেনে কাটা রোধ করা যাবে না।
ঢাকা রেলওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই সাড়ে সাত বছরে ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষ বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ বয়সের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৫ জন। ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২০৩ জন এবং ৫১ থেকে তদূর্ধ্ব ৩৪৮ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, সাড়ে সাত বছরে মামলা হয়েছে ২ হাজার ৪৯টি। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২০৩টি, ২০১১ সালে ২৫৬টি, ২০১২ সালে ৩০৬টি, ২০১৩ সালে ৩১৮, ২০১৪ সালে ৩০৫টি, ২০১৫ সালে ২৮৫টি, ২০১৬ সালে ৩০৫টি। নিহতের মধ্যে শিক্ষার্থী ৫৬ জন, শ্রমজীবী ৪২৬ জন, চাকরিজীবী ৩৭৯ জন, অন্যান্য পেশার ১ হাজার ৭৫ জন। নিহতদের মধ্যে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার জন্য ৪২২, ট্রেন লাইনের ওপর বসা বা চলাচলের জন্য ৫৫৪, রেলক্রসিং এ দ্রুত পারাপারের জন্য ৮৯৮, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ৫৫ ও টেম্পোর সঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে কাজ করছে ঢাকা রেলওয়ে থানা। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া লিফলেট বিলি করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও একই কাজ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও ট্রেনে কাটা রোধ করা যাচ্ছে না। তবে এসব ঘটনায় অনেক সময় অপমৃত্যু মামলা করা হয় আবার বছরে এক দুইটি হত্যা মামলাও করা হয়। হত্যা মামলা নিয়ে রেলওয়ে থানার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে হত্যা মামলার সংখ্যা খুবই কম। আর যে দুই একটা মামলা আছে এগুলোর তদন্ত কার্যক্রম খুব দ্রুতই শেষ করা হচ্ছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে দেশের সব জায়গায়ই মানুষ নিহত হচ্ছেন। এর জন্য সচেতনতা দরকার। কারণ অসাবধানতার কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে। তবে এসব অসাবধানতার জন্য তিনি অবৈধ রেলক্রসিং, অবৈধ স্থাপনা, রেললাইনের উপরে হাটবাজার, হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে রাস্তা পার হওয়াসহ আরো কিছু কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু রেললাইন দিয়ে যারা চলাচল করেন তারা যদি সচেতন না হন তাহলে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যাবে না।
No comments