ভালুকায় শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, আম, কাঁঠাল, লিচু বাগান ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথমে হালকা ঝড়ো হাওয়া ও পরে প্রচণ্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বড় বড় শিলা বৃষ্টি হয়। দু'দফায় দুই থেকে তিনশ' গ্রাম ওজনের শিলা বৃষ্টিতে মানুষের ঘরের টিনের চালা পর্যন্ত ছিদ্র হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে বড়চালা হোসাইনা দাখিল মাদ্রাসার পাঁচশ' হাত লম্বা টিনের বাউণ্ডারীর বেড়ার টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এমনকি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে, উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছোট কাশর, বড় কাশর, গৌরীপুর, সিডস্টোর, পাড়াগাঁও, আওলাতলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকার উপর দিয়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে গেছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সময় ভয়ে মানুষকে আজান দিতে শোনা যায়। এক ঘণ্টায় দু'দফা প্রায় টানা ৩০ মিনিট ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়।
এতে উঠতি বোরো ধান, আম, কাঁঠাল, লিচু বাগানের পাশাপাশি বেগুন, শসাসহ সবজি বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে এই উপজেলায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে বন্যায় নিচু এলাকার উঠতি বোরো ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার শিলা বৃষ্টিতে উঁচু জমির বোরো ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা বলছে, শিলাবৃষ্টিতে ক্ষেতের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে কোনো কোনো ধান ক্ষেতে কাঁচি লাগানোর পরিবেশ নেই। কাশর গ্রামের বাসিন্দা জিয়া জানান, ঘণ্টাব্যাপী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এক একটা শিলার ওজন হবে দুই থেকে তিনশ' গ্রাম। শিলাবৃষ্টিতে এলাকার বোরো ধানসহ আম, কাঁঠাল ও লিচু বাগান ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, শিলা ও ঝড়ো হওয়ার ভয়ে মানুষ আজান দিতে শোন গেছে। বড়চালা হোসাইনা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শেখ আবুল বাশার জনান, আগের বন্যায় বোরো ধান ডুবে গেছে। আর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলো। ভেঙে গেছে অনেক কাচা ঘর-বাড়ি। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলার সব এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
No comments