মাইক পেন্সের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ই–মেইল ব্যবহারের অভিযোগ
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর থাকার সময় সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন বলে খবর দিয়েছে মার্কিন প্রচারমাধ্যম। ইন্ডিয়ানাপোলিস স্টার পত্রিকার সংগৃহীত ই-মেইলে দেখা গেছে, মাইক পেন্স কখনো কখনো ‘স্পর্শকাতর বিষয়’ ও ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করতে ওই ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। ইন্ডিয়ানাপোলিস স্টার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের মাঝামাঝি মাইক পেন্সের ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছিল। ‘পাবলিক রেকর্ডস’ অনুরোধের আওতায় পত্রিকাটি ই-মেইলগুলো সংগ্রহ করেছে। পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের অনুসন্ধানের জবাবে ভাইস প্রেসিডেন্টের দপ্তর তাঁর ‘একটি সরকারি ও একটি ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে পেন্সের দপ্তর এ-ও বলেছে,
‘গভর্নর হিসেবে তিনি ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়ে ইন্ডিয়ানার আইন পুরোপুরি মেনে চলতেন।’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ২০১৬ সালের প্রচারণার সময় মাইক পেন্স সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। পুরো প্রচারণার সময়জুড়ে ওই কেলেঙ্কারি হিলারিকে তাড়া করেছে। খবরটি ফাঁস করা প্রতিবেদক টনি কুক সিএনএনকে বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, তাঁর ঘটনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ও ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মতো গুরুতর নয়। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের আইনে সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। তবে সাধারণত এগুলো সরকারি তথ্য হিসেবে সংরক্ষণ করার নিয়ম রয়েছে। পেন্সের কার্যালয় ইন্ডিয়ানাপোলিস স্টার পত্রিকাকে বলেছে, তাঁর নির্বাচনী ব্যবস্থাপক দল বাইরের কাউন্সেলরদের দিয়ে সরকারি বিষয়ে করা ব্যক্তিগত ই-মেইলগুলো অঙ্গরাজ্যের সরকারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেছিল।
No comments