স্বাস্থ্যের পর এবার মমতার নজরে শিক্ষা খাতে
কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও নার্সিংহোমে চিকিৎসার খরচে লাগাম টেনে ধরতে ও চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় স্বাস্থ্যসংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ উদ্যোগে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। স্বাস্থ্যের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর নজর কলকাতাসহ রাজ্যের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশাল অঙ্কের অনুদান ও ফি নেওয়ার দিকে। গতকালই বিধানসভায় স্বাস্থ্য বিল নিয়ে সমাপনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বেসরকারি হাসপাতালের লাগাম ধরতে তিনি যেভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, এবার বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার নামে লাখ লাখ টাকা ডোনেশন নেওয়া আটকাতে তিনি উদ্যোগী হবেন। প্রয়োজনে তিনি এ-সংক্রান্ত বিল বিধানসভায় পেশ করে তা পাস করাবেন। বলেন, এ নিয়ে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মমতা বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’ আজ শনিবার একটি প্রতিবেদনে কলকাতার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি ফির একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ভর্তি ফি নেয় ৩ লাখ ১১ হাজার রুপি। একইভাবে লা মার্টিনিয়ার বয়েজ স্কুল ২ লাখ ৩৬ হাজার, হেরিটেজ বোর্ডিং ১ লাখ ৭০ হাজার, এপিজে স্কুল ১ লাখ ১৫ হাজার, গার্ডেন হাইস্কুল ১ লাখ, ক্যালকাটা গার্লস ৯৬ হাজার, ক্যালকাটা বয়েজ ৯৫ হাজার, মডার্ন হাইস্কুল ৮৫ হাজার রুপি ভর্তি ফি নিয়ে থাকে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে আইসিএসসি বোর্ডের অধীনে ৩৯০টি স্কুল ও সিবিএসই স্কুল রয়েছে ৪০টির মতো। আবার ১৮০টি স্কুল রয়েছে, যেগুলো বেসরকারি স্কুল হলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস অনুযায়ী চলে। এসব বেসরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি এবং ডেভেলপমেন্ট ফির নামে ইচ্ছেমতো টাকা নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, সরকারকে ফাঁকি দিতে টিউশন ফি কমিয়ে ডেভেলপমেন্ট ফির নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
No comments