সৌহার্দ্যপূর্ণ আয়োজনে স্কয়ার পরিবারের মিলনোৎসব
বসন্তের শুভ্র সকাল। রঙিন সাজে সজ্জিত চারপাশ। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষে পূর্ণ পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম। শব্দযন্ত্রে বেজে উঠল জাতীয় সংগীত। জাতীয় ও প্রতিষ্ঠানের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো দিনব্যাপী আয়োজন। মালিক থেকে শ্রমিক—সবাই আছেন। সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা। খেলাধুলা, গল্প, খাওয়া-দাওয়া, হাসি-আনন্দ।
এ যেন মহামিলনোৎসব। এমন বর্ণাঢ্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আয়োজনে গতকাল শুক্রবার হয়ে গেল দেশের খ্যাতনামা শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপের ফ্যামিলি স্পোর্টস ডে। অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন পাবনায় কর্মরত স্কয়ার পরিবারের ২৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে ৪৫ হাজার মানুষ। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজন শুরু। স্কয়ারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শোভাযাত্রা এসে মিলিত হয় শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে। সেখানে জাতীয় ও স্কয়ার গ্রুপের পতাকা উত্তোলন করেন স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের আবাসিক উপদেষ্টা দবির উদ্দিন আহমেদ। এ সময় স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন স্কয়ার পরিবারের প্রবীণতম সদস্য নির্মল কুমার সাহা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক সাইফুল আলম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল পাবনা জেলা ইউনিটের কমান্ডার হাবিবুর রহমান,
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি শিবজিত নাগসহ স্থানীয় সুধীজনেরা। পায়রা উড়িয়ে ও মশাল প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফ্যামিলি স্পোর্টস। দিনব্যাপী এই আয়োজনে দৌড়, লং জাম্প, গোলক নিক্ষেপ, সাইক্লিং, মিউজিক পিলো, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ ৩৪ ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মিলে প্রায় ৫০০ জন অংশ নেন। বিকেলে উপস্থিত অতিথিরা বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী বিশাল এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্কের সেতুবন্ধ রচনার লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে ফ্যামিলি স্পোর্টস ডে আয়োজন শুরু করেন। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে।
No comments