রাজশাহীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার পেল ১০৮২ জন শিক্ষার্থী
‘আমার সামনে বসা তোমরা জাতির ভবিষ্যৎ। আর পেছনে টেবিলভরা পুরস্কার। এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে তোমাদের দেশের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলো। তোমরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, আজকের দিনটা তোমাদের নতুন জীবনের ডাক দিয়ে গেল।’ বছরজুড়ে বইপড়া কর্মসূচিতে নিজের উৎকর্ষের পরিচয় দেওয়ার জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান হয়। তিনি আরও বলেন, ‘বই সব সময়ই মানবিকতার কথা বলে। আমরা সবাই যদি মানবিক হই, দেখব, বাংলাদেশ একদিন পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ সকাল সাড়ে আটটায় আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন উপসচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মো. মাসুদ। অনুষ্ঠানে ১ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৬ সালে রাজশাহী নগরের ৩৪টি স্কুলের ৪ হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মূল্যায়ন পর্বে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মনির হোসেন, নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নান সরকার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অলক মৈত্র, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাইফুর রহমান ও গ্রামীণফোনের রাজশাহী অঞ্চলের হেড অব সার্কেল মার্কেটিং সোহেল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে প্রায় ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইপড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী বইপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকা ও বরিশালের স্কুলগুলোর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে চট্টগ্রাম ও খুলনা নগরের শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী উৎসব হবে।
No comments