ট্রাম্পের আমলেই যুক্তরাষ্ট্র আরও মহান হবে
বিভেদ বিভাজনের প্রতীক হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিইনি। ভোট দিয়েছি আমাদের অস্তিত্বের তাগিদে। যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে, তারা সবাই বিদ্বেষ পোষা মানুষ নয়। মার্কিন জনগণ উদার। এ উদারতাই দেখা যাবে আগামী দিনগুলোতে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণে শ্বেতাঙ্গ বহুল আলাকায় স্টারবাকসের কফি হাতে নিয়ে এক নাগাড়ে কথাগুলো বললেন জর্জ আকারম্যান। মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এ ক্যাপ্টেন আরও বলেন, আমি নারী বিদ্বেষী নই। কোন ধর্ম বিদ্বেষী নই। সচেতনভাবেই ভোট দিয়েছি ট্রাম্পকে এবং বিশ্বাস করি, ট্রাম্পের আমলেই মার্কিন আবার মহান হয়ে উঠবে।
লিন্ডা গ্লেন, পেশায় একটি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক। নির্বাচনের কথা উঠতেই বলেন, নারী হিসেবে আমিও চেয়েছিলাম একজন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। কিন্তু কেবল নারী বলেই আমি হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিতে পারি না। হিলারির গত ত্রিশ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আমাদের জানা। লিন্ডা বলেন, হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজনীতিবিদের মতোই মিথ্যাবাদী। সময় এবং পরিস্থিতি বুঝে কথা বলেন। সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ কোথাও তিনি শান্তি আনতে পারেননি। উপরন্তু রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার কঠিন শর্ত ভঙ্গ করে তিনি সরকারি ইমেইল বাইরে ব্যবহার করেছেন। তাঁর পক্ষে আমেরিকার সচেতন কোনো ভোটার দাঁড়াবারই সুযোগ ছিল না—বলেই থামলেন শ্বেতাঙ্গ এ নারী।
কান্ট্রি ক্লাবে বসে সপ্তাহান্তের আড্ডায় অবসরপ্রাপ্ত এক খুদে ব্যবসায়ী টনি ড্রাগাটরী আলাপে যোগ দিল উৎসাহের সঙ্গেই। রাজনৈতিক আলাপে সহজে যোগ দিতে চায় না আমেরিকার সাধারণ লোকজন। রাজনীতি আর ধর্মকে নিয়ে মার্কিন সাধারণ লোকজনের আলাপ খুবই সংযত থাকে। এবারের নির্বাচনের পর অনেক দিনের চেনা জানা বলেই মুখ খুলছিল শ্বেতাঙ্গ এসব লোকজন সপ্তাহান্তের আড্ডায়।
টনি বলছিলেন, তোমরা বলছ অভিবাসন বিরোধিতার জন্য ট্রাম্পকে সাদারা ভোট দিয়েছে। বিষয়টি ভুল। মাত্র দুই পুরুষ হয় আমি মার্কিন হয়েছি। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ অভিবাসনে এসে যুক্তরাষ্ট্র গড়ে তুলেছে। কিন্তু কোনো দেশই তার সীমান্ত খুলে দিতে পারে না। আশে-পাশের দেশ থেকে অথবা সারা বিশ্ব থেকে অপরাধীরা আসবে, কোনো যাচাই ছাড়া—এটা তো হতে পারে না। টনি আমাকে উদ্দেশে করে বলেন, তুমি যে দেশ থেকে এসেছ, সেখানে কি যাচাই-বাছাই ছাড়া লোকজন প্রবেশ করতে পারবে? নিজেদের লোকের কাজ নেই, অবৈধ অনুপ্রবেশের পর তারা কাজ করতে পারবে? তারা কর দেবে না আবার অসুখ-বিসুখ হলে সরকারি অর্থে তাদের চিকিৎসা হবে? রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন? আমেরিকার সাদা লোকদের দিকে আঙুল দেখানোর আগে নিজেকে কি প্রশ্নগুলো করবে?
টনি বলতে থেকে, আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে ট্রাফিক আইন কেউ মানে না। প্রতিদিন উপাসনার জন্য দিনে পাঁচবার সড়কে মানুষ আটকা পড়ে। প্রতি শুক্রবারে উপাসনার জন্য লোকজন যত্র তত্র গাড়ি রেখে সামাজিক আইনের নিত্য ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। এসব বহু কারণে মানুষ রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠছে বহু এলাকায়। মানুষ সভ্য এবং আইনের প্রতি চরম শ্রদ্ধাশীল বলেই কেউ বিরক্ত হলেই কারও ওপর চড়াও হয় না। হলে তার বিচার হয়। আমার দিকে আঙুল দিয়ে টনি বলতে থাকে, তোমার দেশে তো বাড়ি ঘর পুড়িয়ে লোকজনের ওপর হামলা কর। এখানে এমন হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এখানে লোকজন অনেক সহনশীল, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেয় না।
কান্ট্রি ক্লাবে বসে একান্তে কফি পান করছিল কৃষ্ণাঙ্গ ব্রায়ান ওয়াকার। অনেকটা উৎসাহেই যোগ দেয় আলাপে। ব্রায়ান ওয়াকার বলতে থাকেন, আমি ভোট দিতেই যাইনি। ভোট কাকে দেব? বলা হয়েছিল বারাক ওবামা নির্বাচিত হলে কালোদের উত্তরণ ঘটবে। আট বছরে কিছুই হয়নি। নানা নগরীতে কালোদের ওপর পুলিশের হামলা, গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেওয়ার জন্য সময় নষ্ট করা বলে মনে করেছি বলেই ভোট দিতে যায়নি।
এন ফেরার ফ্রি লেন্স সাংবাদিক। অনেকটাই অবসরের জীবন এখন। সবার বক্তব্য শুনে এন ফেরার বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই টের পেয়েছি ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার সংবাদমাধ্যম বাজার অর্থনীতির নিয়ন্ত্রকদের দখলে। যারা বিজ্ঞাপন দেয়, যারা পুঁজির সব সূত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের বাইরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম যে যেতে পারেনি, তা এবারে আবারও প্রমাণ হয়েছে। নিজেকে দীর্ঘদিনের ডেমোক্রেটিক উল্লেখ করে এন ফেরার বলেন, এবারে ভোট প্রদানে তাঁর কোনোই উৎসাহ ছিল না। বার্নি স্যান্ডার্স প্রার্থী হলে কি ডেমোক্র্যাট জয়ী হতে পারতো—এমন প্রশ্নের জবাবে এন ফেরার মাথা নেড়ে বলেন, না। তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদের দেশ। এই পুঁজিবাদকে লালন করেই গত এক শ বছর সারা বিশ্বকে দাবড়িয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ভাবাদর্শের ভিত্তিতে আঘাত দিয়ে বার্নি স্যান্ডার্সের সামাজিক সমাজতন্ত্র যুব তরুণদের মধ্যে একধরনের উন্মাদনা সৃষ্টি করলেও, আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনে তাঁর পরাজয় হতো আরও সূচনীয় বলে এন ফেরার মনে করেন।
সব শেষে এন ফেরার বলেন, সংবাদমাধ্যম এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুঁজি করে তাদের বাজার ধরে রাখতে চাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প একা কিছুই করতে পারবেন না। রাজনীতির বাইরের এ মানুষটি কোনো দিন কোন রাজনৈতিক পদ পদবিতেও ছিল না। তাঁর কাছে থেকে আমরা রাজনৈতিক পরিশীল বক্তব্য শুনতে পাইনি এত দিন। মানুষ এসব পছন্দ করেছে। যারা পরিশীল কথা বলেছে এতদিন, তাদের কাছে জনগণ বারবার প্রতারিত হয়েছে। এবারে কিছু মৌল বিষয় নিয়ে আমেরিকার মানুষ অনেকটাই কাকতালীয় ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে বলে নিজের দৃঢ় বিশ্বাসে কথা জানায় এন ফেরার।
নির্বাচন পরবর্তী ব্যাপক বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে এন ফেরার বলেন, আমেরিকার মানুষ তাদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছে আইনের মধ্যে থেকেই। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নানা বক্তব্যের এমন প্রতিবাদ অর্থহীন নয়। এ বিক্ষোভের যেমন কারণ আছে, তেমনি এ বিক্ষোভের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। হোয়াইট হাউস, কংগ্রেস এবং বিচার বিভাগের ভারসাম্যের সঙ্গে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের চাপ সামাল দিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নেতৃত্ব দেবেন। এ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেই আমেরিকা আরও মহান হয়ে উঠবে বলে মনে করে নিউজার্সির প্রান্তিক শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর এসব লোকজন।
লিন্ডা গ্লেন, পেশায় একটি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক। নির্বাচনের কথা উঠতেই বলেন, নারী হিসেবে আমিও চেয়েছিলাম একজন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। কিন্তু কেবল নারী বলেই আমি হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিতে পারি না। হিলারির গত ত্রিশ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আমাদের জানা। লিন্ডা বলেন, হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজনীতিবিদের মতোই মিথ্যাবাদী। সময় এবং পরিস্থিতি বুঝে কথা বলেন। সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ কোথাও তিনি শান্তি আনতে পারেননি। উপরন্তু রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার কঠিন শর্ত ভঙ্গ করে তিনি সরকারি ইমেইল বাইরে ব্যবহার করেছেন। তাঁর পক্ষে আমেরিকার সচেতন কোনো ভোটার দাঁড়াবারই সুযোগ ছিল না—বলেই থামলেন শ্বেতাঙ্গ এ নারী।
কান্ট্রি ক্লাবে বসে সপ্তাহান্তের আড্ডায় অবসরপ্রাপ্ত এক খুদে ব্যবসায়ী টনি ড্রাগাটরী আলাপে যোগ দিল উৎসাহের সঙ্গেই। রাজনৈতিক আলাপে সহজে যোগ দিতে চায় না আমেরিকার সাধারণ লোকজন। রাজনীতি আর ধর্মকে নিয়ে মার্কিন সাধারণ লোকজনের আলাপ খুবই সংযত থাকে। এবারের নির্বাচনের পর অনেক দিনের চেনা জানা বলেই মুখ খুলছিল শ্বেতাঙ্গ এসব লোকজন সপ্তাহান্তের আড্ডায়।
টনি বলছিলেন, তোমরা বলছ অভিবাসন বিরোধিতার জন্য ট্রাম্পকে সাদারা ভোট দিয়েছে। বিষয়টি ভুল। মাত্র দুই পুরুষ হয় আমি মার্কিন হয়েছি। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ অভিবাসনে এসে যুক্তরাষ্ট্র গড়ে তুলেছে। কিন্তু কোনো দেশই তার সীমান্ত খুলে দিতে পারে না। আশে-পাশের দেশ থেকে অথবা সারা বিশ্ব থেকে অপরাধীরা আসবে, কোনো যাচাই ছাড়া—এটা তো হতে পারে না। টনি আমাকে উদ্দেশে করে বলেন, তুমি যে দেশ থেকে এসেছ, সেখানে কি যাচাই-বাছাই ছাড়া লোকজন প্রবেশ করতে পারবে? নিজেদের লোকের কাজ নেই, অবৈধ অনুপ্রবেশের পর তারা কাজ করতে পারবে? তারা কর দেবে না আবার অসুখ-বিসুখ হলে সরকারি অর্থে তাদের চিকিৎসা হবে? রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন? আমেরিকার সাদা লোকদের দিকে আঙুল দেখানোর আগে নিজেকে কি প্রশ্নগুলো করবে?
টনি বলতে থেকে, আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে ট্রাফিক আইন কেউ মানে না। প্রতিদিন উপাসনার জন্য দিনে পাঁচবার সড়কে মানুষ আটকা পড়ে। প্রতি শুক্রবারে উপাসনার জন্য লোকজন যত্র তত্র গাড়ি রেখে সামাজিক আইনের নিত্য ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। এসব বহু কারণে মানুষ রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠছে বহু এলাকায়। মানুষ সভ্য এবং আইনের প্রতি চরম শ্রদ্ধাশীল বলেই কেউ বিরক্ত হলেই কারও ওপর চড়াও হয় না। হলে তার বিচার হয়। আমার দিকে আঙুল দিয়ে টনি বলতে থাকে, তোমার দেশে তো বাড়ি ঘর পুড়িয়ে লোকজনের ওপর হামলা কর। এখানে এমন হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এখানে লোকজন অনেক সহনশীল, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেয় না।
কান্ট্রি ক্লাবে বসে একান্তে কফি পান করছিল কৃষ্ণাঙ্গ ব্রায়ান ওয়াকার। অনেকটা উৎসাহেই যোগ দেয় আলাপে। ব্রায়ান ওয়াকার বলতে থাকেন, আমি ভোট দিতেই যাইনি। ভোট কাকে দেব? বলা হয়েছিল বারাক ওবামা নির্বাচিত হলে কালোদের উত্তরণ ঘটবে। আট বছরে কিছুই হয়নি। নানা নগরীতে কালোদের ওপর পুলিশের হামলা, গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেওয়ার জন্য সময় নষ্ট করা বলে মনে করেছি বলেই ভোট দিতে যায়নি।
এন ফেরার ফ্রি লেন্স সাংবাদিক। অনেকটাই অবসরের জীবন এখন। সবার বক্তব্য শুনে এন ফেরার বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই টের পেয়েছি ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার সংবাদমাধ্যম বাজার অর্থনীতির নিয়ন্ত্রকদের দখলে। যারা বিজ্ঞাপন দেয়, যারা পুঁজির সব সূত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের বাইরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম যে যেতে পারেনি, তা এবারে আবারও প্রমাণ হয়েছে। নিজেকে দীর্ঘদিনের ডেমোক্রেটিক উল্লেখ করে এন ফেরার বলেন, এবারে ভোট প্রদানে তাঁর কোনোই উৎসাহ ছিল না। বার্নি স্যান্ডার্স প্রার্থী হলে কি ডেমোক্র্যাট জয়ী হতে পারতো—এমন প্রশ্নের জবাবে এন ফেরার মাথা নেড়ে বলেন, না। তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদের দেশ। এই পুঁজিবাদকে লালন করেই গত এক শ বছর সারা বিশ্বকে দাবড়িয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ভাবাদর্শের ভিত্তিতে আঘাত দিয়ে বার্নি স্যান্ডার্সের সামাজিক সমাজতন্ত্র যুব তরুণদের মধ্যে একধরনের উন্মাদনা সৃষ্টি করলেও, আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনে তাঁর পরাজয় হতো আরও সূচনীয় বলে এন ফেরার মনে করেন।
সব শেষে এন ফেরার বলেন, সংবাদমাধ্যম এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুঁজি করে তাদের বাজার ধরে রাখতে চাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প একা কিছুই করতে পারবেন না। রাজনীতির বাইরের এ মানুষটি কোনো দিন কোন রাজনৈতিক পদ পদবিতেও ছিল না। তাঁর কাছে থেকে আমরা রাজনৈতিক পরিশীল বক্তব্য শুনতে পাইনি এত দিন। মানুষ এসব পছন্দ করেছে। যারা পরিশীল কথা বলেছে এতদিন, তাদের কাছে জনগণ বারবার প্রতারিত হয়েছে। এবারে কিছু মৌল বিষয় নিয়ে আমেরিকার মানুষ অনেকটাই কাকতালীয় ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে বলে নিজের দৃঢ় বিশ্বাসে কথা জানায় এন ফেরার।
নির্বাচন পরবর্তী ব্যাপক বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে এন ফেরার বলেন, আমেরিকার মানুষ তাদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছে আইনের মধ্যে থেকেই। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নানা বক্তব্যের এমন প্রতিবাদ অর্থহীন নয়। এ বিক্ষোভের যেমন কারণ আছে, তেমনি এ বিক্ষোভের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। হোয়াইট হাউস, কংগ্রেস এবং বিচার বিভাগের ভারসাম্যের সঙ্গে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের চাপ সামাল দিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নেতৃত্ব দেবেন। এ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেই আমেরিকা আরও মহান হয়ে উঠবে বলে মনে করে নিউজার্সির প্রান্তিক শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর এসব লোকজন।
No comments